*তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন-
বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা বেশি জমে। তিন-চারবার পানির ঝাপটা দিতে পারেন মুখে। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল দূর হবে। ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
এ ছাড়া তুলার সাহায্যে টোনার দিয়ে মুখ মুছে ফেলতে হবে। তেলমুক্ত ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। আলতো করে মুখ মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
এ ছাড়াও বাড়িতে আগে থেকে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। মসুরের ডাল অথবা মটরে ডালের বেসন, শসার রস ও সামান্য পরিমাণ টকদই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকে শসার রস পরিমাণে বেশি রাখতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিনই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।
*মিশ্র ত্বকের যত্ন-
এ ধরনের ত্বকে কোনো অংশ তৈলাক্ত আবার কোনো অংশ স্বাভাবিক বা শুষ্ক হয়ে থাকে। তাই মিশ্র ত্বকে প্রতিদিন টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন, যাতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে যায়।
প্রতিদিন যেকোনো ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আপনার প্রয়োজনমতো ত্বক মালিশ করুন। হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। এরপর বাড়িতে বানানো প্যাক লাগাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তৈলাক্ত ত্বকের প্যাকে শসার রসের পরিমাণ একই রেখে সয়াবিন পাউডার দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। টকদই ব্যবহার করবেন না।
*শুষ্ক ত্বকের যত্ন-
এ ধরনের ত্বকে টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের ব্যবহারের ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ, ত্বক পরিষ্কার করে নিন। দুধ, মধু, সামান্য পরিমাণ টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।
এ ছাড়া তিলের তেল, দুধ ও মধু একত্রে মিশিয়ে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা আসবে। টমেটো, আলুর রস ভালো ক্লেনজার হিসেবে কাজ করে।