*অলিভ অয়েল বাথঃ
এক বালতি পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন আর গোসল করুণ। আর এরপর অনুভব করুন তুলতুলে নরম, সিল্কি ত্বকের স্পর্শ অথবা আপনি যদি গোসলের আগে অভিল অয়েল দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করে নেন তাহলেও সেই একই ফলাফল পাবেন।
*নখের যত্নেঃ
অলিভ অয়েল একটা বাটিতে নিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এরপর দেখুন আপনার নখ গুলো কেমন শাইন দিচ্ছে আর এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে।
*আই ক্রিমঃ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার রিং ফিঙ্গার দিয়ে আলতো হাতে অলিভ অয়েল বুলিয়ে দিন। অলিভ অয়েল চোখের চারপাশের কুঁচকে থাকা ত্বককে হাইড্রেট করে আর নরম করে তোলে।
*পা ফাটা রোধঃ
নরম তুলতুলে পায়ের জন্য, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিন, তারপর মোজা পরে ঘুমান।
*ঠোঁটের যত্নেঃ
আপনার নরম কোমল ঠোঁটের কোমলতা আর উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে, নিয়ম করে প্রতিদিন অল্প অলিভ অয়েল ঠোঁটে বুলিয়ে নিন।
*মেক-আপ রিমুভারঃ
আঙ্গুলের ডগায় অথবা কটন প্যাডে অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর সার্কুলার মোশনে আস্তে আস্তে সমস্ত মেক-আপ তুলে ফেলুন। তারপর ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যাদের সেনসেটিভ স্কিন তারা নিরাপদে মেক-আপ তুলুন।
*মুখের যত্নঃ
মাস্ক– একটি ডিমের কুসুমের সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর ৩ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নরমাল অথবা শুষ্ক ত্বকে এই মাস্ক আর্দ্রতা বজায় রাখবে সেই সঙ্গে নরম কোমল করে তুলবে।
ময়েশচারাইজার– ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে একটি সলিউশন তৈরি করুন। যা রাতে ঘুমানোর সময় নাইট ক্রিমের মত ব্যবহার করতে পারবেন। অলিভ অয়েল স্কিনকে নরম করে, ভিনেগার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
সান প্রোটেকশন– অভিল অয়েলে ভিটামিন এ এবং ই আছে সেই সঙ্গে ৩ রকমের antioxidants আছে, যা আপানাকে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে। তাই যদি বাইরে যাওয়ার আগে অলিভ অয়েলের প্রলেপ দিয়ে বের হন তবে সান্ টান থেকে অনেকটাই মুক্তি লাভ করবেন।
ব্রণ প্রতিরোধক– ৪ টেবিল চামচ লবণের সাথে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট ২ মিনিট ধরে মুখে ম্যাসাজ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ করুন। আপনি অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
*চুলের যত্নঃ
ফ্রিজি চুলের সমাধান– একটি চিরুনি অলিভ অয়েলের মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর ফ্রিজি চুলে আঁচড়ে নিন। এতে চুল ময়েশচার হয়ে ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।
হেয়ার কন্ডিশনার– শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো ভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন।
ডিপ কন্ডিশন– সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে ২/৩ ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। তারপর নিজেই লক্ষ করবেন শাইনি আর স্বাস্থ্যকর চুলের বাহার।
খুশকি থেকে মুক্তি– সমপরিমাণ অলিভ অয়েল আর বাদামের তেল একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে আসবে।
নতুন চুল গজানো– মাথায় অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে গরম পানিতে ডুবানো তোয়ালে দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তোয়েল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে মাইক্রোওয়েভে আবার গরম করে নিন। এভাবে কয়েকবার করুন।
হেয়ার মাস্ক– একটি ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৫ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। চুলে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল হয়ে উঠবে নরম আর উজ্জ্বল।
*কোষ্ঠকাঠিন্য রোধেঃ
পেট পরিষ্কার না থাকার কারণে আমাদের অনেকেরই মুখে ব্রণ দেখা দেয়। তাই ব্রণের সমসসা সমাধানের সাথে সাথে পেটের সমস্যাও সমাধান করতে হবে আমাদের। প্রতিদিন সকালে কিছু খাওয়ার আগে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খাবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার সমস্যার সমাধান হবে।
*চোখের যত্নেঃ
মাশকারার বদলে চোখের পাপড়ি, ভ্রু তে অলিভ অয়েল লাগান, আর বাড়িয়ে তুলুন আপনার চোখের সৌন্দর্য।