*নখ দিয়ে ব্রণ খুঁটিয়ে তোলা-
ব্রণ বা ত্বকের ফুসকুরি জাতীয় কিছু নখ দিয়ে আঁচড় দেওয়া মানেই সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটানো। এর থেকে বাজে কিছুও হতে পারে।
*গরম পানিতে গোসল করা-
দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে গোসল করার পর সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেলেও আপনার চামড়ার সজীবতা কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে গরম পানির তাপে মুখের ত্বকের সূক্ষ্ম নালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসঙ্গে চামড়ায় লালাভ ভাব চলে আসে।
*মেকআপের কাজে নোংরা ব্রাশ ব্যবহার-
মেয়েদের জন্য এ বিষয়টিতে খেয়াল রাখা উচিত। মেকআপের সময় ব্রাশে ময়লা থাকলে তা ত্বকে লোমকূপের গোড়া বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণ ওঠে। এখান থেকে ইনফেকশনও হতে পারে।
*ধূমপান-
ত্বকের স্বাভাবিকতা হারানোর জন্য এই একটি বদঅভ্যাসই যথেষ্ট যা ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। ধূমপানে চামড়ায় রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া নিকোটিনের মতো ভয়াবহ একটি বিষ সরাসরি আপনার রক্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে ব্রণ ওঠে। আবার নিকোটিনের কারণে ত্বকের ঔজ্জল্য হারিয়ে যায়।
*মদ্যপান-
এটা মারাত্মক একটি কারণ। গবাষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রার সাথে সাথে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। প্রতি বছর এ কারণে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু ঘটে মদ্যপানে। তা ছাড়া এর প্রভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চামড়ার প্রাকৃতিক তেলতেলে ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সূক্ষ্ম নালীগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে যা স্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
*মোবাইলে অতিরিক্ত কথা বলা-
বিশ্বাস না হলেও সত্যি যে, অতিরিক্ত ফোনে কথা বললে ত্বকের ক্ষতি হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফোনের ইলেকট্রিক উত্তাপে কারণে বা ময়লার কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে কালো ভাব আসতে পারে। আর ব্রণ তো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
...স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে অয়েলি ও রিচ ফুড এড়িয়ে চলা, হাতের নখ ছোট রাখা, মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ও পানি পান করার অভ্যাস গরে তুলুন।