গরমের সময়ে এমনিতেই ত্বকের রুক্ষতা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি রোদের প্রকোপ এবং ধুলোবালির জন্য ত্বকের অনেক সমস্যা পোহাতে হয় অনেককেই। আর এখন চলছে রোজার মাস, এই গরমের রোজায় সারাদিন পানি পান করতে না পারার কারণে ত্বকের রুক্ষতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির খুবই সহজ উপায় রয়েছে। যদি আপনি সামান্য একটু সতর্কতা ও বাড়তি একটু যত্ন নিতে পারেন তাহলেই সমস্যার সমাধান পাবেন খুব সহজেই।
১) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজার সবচাইতে বড় সমস্যা হয় দেহে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতার কারণে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যাতেও পড়েন অনেকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ইফতারের পর থেকেই। পুরো দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিন ভালো করে।
২) নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব করুন। রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক এবং অতিরিক্ত রোদ ও গরমের কারণে ত্বকের উপরে কোষ মরে যায় বেশি, এর ফলে আরও বেশি কালচে হয়ে উঠে ত্বক। এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা যায়। তাই ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করে নিন।
৩) দিনে ২ বার অবশ্যই ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন এবং অবশ্যই বাসায় ফেরার পর ত্বক ভালো করে ক্লিনজার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলবেন। মোট কথা ত্বকে কোনো ধরণের ময়লা জমতে দেবেন না।
৪) সাথে সব সময় ছাতা, স্কার্ফ, ক্যাপ এবং ওয়েট টিস্যু রাখুন। এতে রোদের হাত থেকে রোজায় রক্ষা পাবেন এবং সেই সাথে রোদে পোড়ার হাত থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েট টিস্যুর ব্যবহার ত্বকের উপরের ময়লা নিমেষেই দূর করে দিতে পারবেন।
৫) রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে দুধে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকের উপরে বুলিয়ে নিন। এরপর এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ত্বক ময়েসচারাইজ হয়ে যাবে ভালো করেই। এবং রোজার রুক্ষতা ত্বক থেকে দূর করে দিতে পারবেন অনায়েসেই।
৬) ইফাতারিতে তেলেভাজা খাবার বেশি খাওয়া হয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার না খেতে। প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শসা খান রোজায়। এতে ত্বক ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। এই রোজাতেও ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে পারবেন।