চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে লোমকূপের সমস্যা কমানোর কিছু উপায়-
*মেয়োনেইজে আছে ভিনেগার এবং ডিম। যা খোলা লোমকূপ বন্ধ করে ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। তবে যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য মেয়োনেইজ ব্যবহার উপযোগী। পরিমাণ মতো মেয়োনেইজ নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোমতো ধুয়ে ফেলতে হবে।
*এক টেবিল-চামচ দইয়ের সঙ্গে কুচি করে কাটা আপেল, এক টেবিল-চামচ মধু এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে হবে। এই মাস্ক পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এই মাস্ক ত্বক কোমল করতে এবং বড় লোমকূপ সংকুচিত করতে সাহায্য করে।
*এক কাপের তিনভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাজু বাদাম নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে যেন পাউডার হয়ে যায়। এরপর খানিকটা পানি এই পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটি প্রথমে নাকে এরপর ত্বকের যেখানে খোলা লোমকূপের সমস্যা আছে সেখানে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পেস্ট ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
*অল্প পরিমাণ পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখে লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস ত্বক টানটান করে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তবে রোদে বের হওয়ার আগে এই মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত নয়।
*মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে পাকাপেঁপের ভিতরের অংশ পুরো মুখে ঘষে নিতে হবে। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এটি খোলা লোমকূপ সংকোচন ছাড়াও ব্রণের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
*ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ গুঁড়াদুধ ভালোমতো মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণের সঙ্গে এক টুকরা আপেল ও শসা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সেটা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
...আমরা সাধারণত ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করার পরও মুখের কিছু কিছু জায়গার বড় লালচে লোমকূপ দেখা যায়। এই সমস্যাটা তৈলাক্ত ত্বকেই বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণও বৃদ্ধি হতে থাকে। লোমকূপের এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার বেশ কিছু উপায় থাকলেও রাসায়নিক পদ্ধতির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে যদি সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে সেটি বেছে নেওয়াই ভালো। কারণ এক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে না।