*খাদ্যাভ্যাস- ডোনাট, আটার রুটি, সোডা পানীয় এবং পোড়ানো আলু খাওয়া বাদ দিতে হবে। চিনি ও স্টার্চ বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্যতালিকার বাইরে রাখলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আর স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে।
*দুশ্চিন্তা দূর করা- মানসিক ও শারীরিক চাপে থাকলে ব্রণ হতে পারে। তাই চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
*ভুল প্রসাধনী- অনেক সময় বিশেষ ধরনের প্রসাধনী ও ক্লেনজিং পণ্য ব্যবহারেও ব্রণ উঠতে পারে। তাই তৈলাক্ত বা কড়া প্রসাধনীর পাশাপাশি যেসব পণ্যে অ্যালার্জি হয় সেগুলো বাদ দিতে হবে। এগুলো লোমকূপ বন্ধ করে ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে, ফলে ব্রণ হয়।
*ঘাম মুঝে ফেলা- প্রচণ্ড গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ঘামে প্রচুর টক্সিন এবং জীবাণু থাকে, তাই ঘাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুঝে ফেলা উচিত। এই গরমে সবসময় হাতের কাছে একটি রুমাল বা পাতলা তোয়ালে রাখা উচিত। ঘামার কারণে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার হয়ে যায়, তবে এর জন্য ঘাম মুছে ফেলাও জরুরি। তা না হলে ত্বকে ঘাম জমে ব্রণ এবং র্যাবশ হতে পারে।
*নিয়মিত মুখ ধোয়া- নিয়মিতভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নেওয়া উচিত। এতে ত্বকের ধুলাবালি ধুয়ে যায় ও ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকে।
*প্রতিদিনের খাবারে ফল ও সবজি- সুস্থ ত্বকের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ফল ও সবুজ শাক-সবজি থাকা দরকার। পুরো শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদাও পূরণ করে এই খাবারগুলো। ফলমূল ও সবজির পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বকের ব্রণ ও র্যাবশ কমাতে সাহায্য করে।
*পর্যাপ্ত পানি পান করা- প্রতিদিন যেন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা হয়, এদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরি। পানি শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর কর ত্বক পরিষ্কার রাখে ও ত্বক নমনীয় রাখে।
*ব্যায়াম ও ইয়োগা- সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও সতেজ রাখে।
*ব্যায়ামের পর শরীর পরিষ্কার করা- ব্যায়ামের কারণে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। আর ব্যায়ামের পর শরীরে প্রচুর মৃত কোষ জমে যায়। তাই তা পরিষ্কার করা জরুরি। তা না হলে ত্বকে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে।
*আরামদায়ক পোশাক পরা- পোশাক ত্বকের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। পোশাক বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন ত্বকে অস্বস্ত সৃষ্টি না হয়। তাই কাপড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে, প্রাকৃতিক তন্তু বা সুতির পোশাক বেছে নেওয়া উচিত।