আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিদিনই ঘরের বাইরে যেতে হয় কম বেশি সবার। আর বাইরে গেলেই ধূলোবালিতে চুল হয়ে যায় মলিন, প্রাণহীন। দেখা দেয় খুশকি, যা চুল ঝরে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। ধোয়ার সময় একটুখানি যত্ন আত্তিই সমাধান করতে পারে এই সমস্যার। আপনি বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন স্বাস্থ্যজ্বল, ঝলমলে চুল। এমনকি খুব বেশি সময় দেয়ারও প্রয়োজন নেই। চলুন দেখি চুল ধোয়ার জন্য আগে এবং পরে কী কী করলে চুলের সমস্যা থেকে অনেকটা পরিত্রান পাওয়া যায়।
চুল ধোয়ার আগে :
১। প্রতিদিন চুল ধোয়ার আগে অন্তত আধ ঘণ্টা চুলে তেল দিয়ে রাখুন । সম্ভব হলে রাতে তেল দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২। যাদের চুলে খুশকি খুব বেশি তারা প্রতিদিন টক দই চুলে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন । এক সপ্তাহ টানা করলে খুশকি প্রায় পুরোটাই চলে যায়।
৩ । টকদই ব্যাবহারে যাদের চুলে অসুবিধা হয় তারা লেবু আর অলিভ অয়েল হাল্কা গরম করে চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪। চুল মলিন হয়ে গেলে পাকা কলা আর মধু এক সাথে চটকে চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
চুল ধোয়ার সময় :
১। চুলে শ্যাম্পু করলে সরাসরি শ্যাম্পু মাথায় লাগাবেন না, এতে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। আগে পানির সাথে মিশিয়ে তারপর চুলে লাগান।
২। চুল একবার ধোয়ার পর দ্বিতীয় বার অল্প শ্যাম্পু দিয়ে পুনরায় ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের তেলতেলে ভাব আর থাকবে না।
৩।যারা প্রতিদিন শ্যাম্পু করেন তারা ১ মিনিটের বেশি সময় শ্যাম্পু মাথায় রাখবেন না আর যারা সপ্তাহে ২ বার করেন তারা ৩ মিনিটের বেশি রাখবেন না।
৪। খেয়াল রাখবেন চুল ধোয়ার পর চুলে যেন কোন শ্যাম্পু অবশিষ্ট না থাকে।
৫। যদি প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পরিষ্কার করতে চান তো রিঠা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে ওই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন।
চুল ধোয়ার পর :
১। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভালো কোন কন্ডিশনার লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন । তবে যাদের কন্ডিশনার ব্যাবহারে চুল ঝরে তাদের ব্যবহার না করাই ভালো।
২। চুলে কন্ডিশনার লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখবেন কন্ডিশনার যেন কখনই চুলের গোঁড়ায় না লাগে । কন্ডিশনার চুলের গোঁড়ায় লাগলে তা চুলের গোঁড়াকে নরম করে ফেলে আর এতে করে অনেক চুল ঝরে।
৩। চুলে কন্ডিশনার লাগানোর পর ভালমতো চুল ধুয়ে নিবেন যেন ধোয়ার পর চুলে কন্ডিশনার লেগে না থাকে।
৪। যারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে নরম ও মোলায়েম করতে চান তারা চুল ধোয়ার পর চায়ের লিকার অথবা এক মগ পানিতে লেবু চিপে সেই পানি অথবা মধু এবং চায়ের লিকার একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান।
৪।চুল কখনো টাওয়াল অথবা গামছা দিয়ে জোরে জোরে ঘষে মুছবেন না।
৫। ভেজা চুল কখনো চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না।
লক্ষ্য করুন , একই ব্রান্ডের শ্যাম্পু সবসময়য় ব্যবহার করবেন না। ৬ মাস পর পর শাম্পুর ব্রান্ড পরিবর্তন করুন ।