*ডিম ও মেয়োনিযের হেয়ার মাস্ক-
• বাটিতে দুটি ডিম ভেঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে আধ কাপ মেয়োনিয মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন যেন দুটি উপকরণ একেবারে মিশে যায়।
• এরপর এই ক্রিমের মতো মাস্কটি চুলের আগা-গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিটি চুলে মাস্কটি পৌঁছায়। আগে মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন, এতে মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লেগে যাবে।
• চুলে প্রসেসিং ক্যাপ পড়ে নিন। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে ক্যাপের চারপাশে পেঁচিয়ে নিয়ে এক ঘন্টা রাখুন। তোয়ালে ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম পানিতে ভিজিয়ে নেবেন।
• এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
এই মাস্কটি মাসে দু বার ব্যবহার করুন। এটি চুল ভাঙা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। চুল ভাঙা প্রতিরোধে মেয়োনিয চমৎকার কাজ করে। এটি আপনার চুলকে পুষ্টি যোগায়, সাথে সাথে চুলে নরম ও উজ্জ্বল ভাবও নিয়ে আসে। আর ডিমে থাকা প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে।
*ডিম ও মধুর তৈরি হেয়ার মাস্ক-
• একটি ডিমের কুসুম, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান।
• ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
এই মাস্কটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করুন। চুল ভাঙা চলে যাবে। ডিম প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। আমাদের চুল মূলত প্রোটিনের তৈরি, তাই ডিমের ব্যবহার চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও ডিম চুলকে করে নরম এবং সুন্দর, জট ছাড়াতে এবং ভাঙন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
*দই-আমলকী হেয়ার মাস্ক-
• ৩ টেবিল চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ আমলা হেয়ার প্যাক, পরিমাণ মত পানি সব একসাথে মিশিয়ে নিয়ে চুল ও চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন।
• এরপর হারবাল কন্ডিশনিং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতি সপ্তাহে দুদিন এভাবে চুলে লাগান। দইয়ে থাকা প্রোটিন চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে, নতুন চুলও গজায়। দইয়ে আরো আছে জিঙ্ক ও ল্যাকটিক এসিড যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ায়। আর আমলকীতে আছে ভিটামিন সি আর সাইট্রিক এসিড যা চুল মজবুত ও ঝলমলে করে।