ছেলে মেয়ে উভয়ই চুলের যে সম্যসাটাতে বেশি ভোগেন তা হল খুশকি! চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় খুশকিকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। এই খুশকি দূর করার জন্য আমরা কত রকমের শ্যাম্পুই তো ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সেই সকল শ্যাম্পু খুশকি দূর করার চেয়ে চুলের ক্ষতিটাই বেশী করে থাকে। চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ্ম ও শুষ্ক। খুশকিও ফিরে আসে কিছুদিনের মাঝেই। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে চিরদিনের জন্য দূর করা যায় খুশকি। আসুন জেনে নিই, উপায়গুলো
১। অ্যাস্পিরিন
অ্যাস্পিরিনে স্যালিসিলিক এসিড আছে যা চুলের খুশকি দূর করে থাকে। সাধারণত খুশকি দূর করার শ্যাম্পুগুলোতে এই উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দুইটি অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুটি চুলে ব্যবহার করুন ১/২ বার। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন।
২। বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দিয়ে মাথার তালুতে কিছুক্ষণ ঘষুন। বেকিং সোডা ব্যবহারের আগে মাথা ভিজিয়ে নিন। তারপর বেকিং সোডা ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করবেন না। চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি হয়তো আপনার চুলকে শুষ্ক করে দিতে পারে সাময়িকভাবে কিন্তু আপনার মাথা থেকে খুশকি দূর করে দেবে।
৩। নারকেল তেল
৪-৫ ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে তালুতে ম্যাসাজ করুন। কমপক্ষে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল থেকে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
৪। লবণ
লবণও খুশকি দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। কিছু পরিমাণ লবণ নিয়ে তালুতে ঘষুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করুন। কিছুদিনের মধ্যে মাথা থেকে খুশকি গায়েব হয়ে যাবে।
৫। লেবুর রস
৩-৪ টুকরা লেবু নিন এবং ৪-৫ কাপ পানির মধ্যে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। এরপর এটি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার আপনার মাথার চুল ধোয়ার সময় এটি ব্যবহার করুন। কমপক্ষে ১ সপ্তাহ এটি ব্যবহার করবেন। এছাড়া ১ কাপ পানির মধ্যে ১ চা চমচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।