পাউরুটি দিয়েই তৈরি মজাদার ব্রেড কচুরি চাট
সৌন্দর্য প্রীতি
আদিকাল থেকে মানুষ সর্বদাই সৌন্দর্য সচেতন ছিল। তবে এই সৌন্দর্য চেতনা নানা বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। সব মানুষই চায় নিজেকে নতুনরূপে সাজিয়ে আত্নতৃপ্তি পেতে। প্রতিনিয়ত নতুন কৌশলে রঙে বর্ণে আবরণে এবং আভরণে নিজেদের সাজিয়ে চলেছে। এই সৌন্দর্য সচেতনতা যে কত বাহারি রকমের হতে পারে তা নিজ চোখে না দেখলে কল্পনাই করা যায় না। প্রাচীনযুগে বিষয়টি সাধারণ থাকলেও বর্তমান আধুনিক যুগে ব্যাপারটি তত সাধারণ নয়। আজ কর্পোরেট জগত, সংসার, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ব্যক্তিত্বের পূর্ণতা সৃষ্টিতে রূপ সচেতনতা আবশ্যকীয় স্থান দখল করেছে। এই দিক দিয়ে নারী বা পুরুষ কেউই পিছিয়ে নেই। শিশু, কিশোর, পুরুষ, প্রবীণ, খেলোয়াড় বা যে কোন পেশাজীবী এমনকি গৃহিনীরাও এখন বেশ রূপসচেতন। তাই বলা যায় সুন্দরভাবে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপনের কলাকৌশল প্রক্রিয়াই মূলত রূপচর্চা। তাই সমাজে সব ক্ষেত্রে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সবাই এখন রূপচর্চা সম্পর্কে অনেক সচেতন।
প্রসাধনের ইতিহাস সম্পর্কে পর্যালোচনা করে দেখা যায় কল্পিত দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্যে প্রাচীন যুগের মানুষেরা নিজেদের নানান রঙে-বর্ণে-অলঙ্কারে সাজিয়ে তুলত। সুরক্ষিত গুহায় মেয়েদের রেখে পুরুষরা গায়ে, মুখমন্ডলে রং-এর জাদু মেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বের হত শিকারে। জ্ঞানের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে মানুষ হিংস্র পশু এবং তার চেয়ে হিংস্র ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বা আত্মগোপন করতে তারা মুখ ও সারা শরীর চিত্রিত করা আরম্ভ করলো। এরপর সম্প্রদায় সৃষ্টির সাথে সাথে প্রসাধনের জটিলতাও বাড়লো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,
১। প্রাচীন মিশরীয়রা শরীরে উল্কি এঁকে রাখত। তারা রেড়ির বীজ থেকে তেল বের করে গায়ে মাখতো সূর্যের আলো থেকে চামড়া বাঁচাতে। এছাড়া তারা মুখ ও চোখের পাতা রাঙাত বুনো রেড়ির তেলে সবুজ ম্যালাকাইট (তামার আকর) গুলে।
২। মিশরের বেনী হাসান নামক স্থানে...
সঠিকভাবে মেকাপ করুন
প্রায় সব নারীরাই মেকআপ করতে ভালোবাসেন। প্রতিদিন খুব ভারী মেকআপ না করলেও বাইরে যাওয়ার আগে হালকা মেকআপ করেন। ফেইস পাউডার সবচেয়ে কমন একটি আইটেম। এছাড়াও আছে কাজল ও লিপস্টিক। ঠোঁটে লিপিস্টিকের হালকা প্রলেপ না লাগিয়ে বাসা থেকে বের হন না অনেক সৌন্দর্য সচেতন নারী। অনেকেই আবার ত্বকের বাড়তি সুরক্ষা নিয়ে থাকেন। এই লক্ষ্যে মুখে ফাউন্ডেশন লাগান। কারণ ফাউন্ডেশন ত্বকের ওপর একটি সুরক্ষা পর্দা তৈরি করে যা সারাদিনের ধুলোবালি বা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের গভীরে যেতে বাধা দেয়। এই সাধারণ বিষয়গুলোতেও অনেকে ভুল করেন। ফলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার ত্বপের। আসুন জানা যাক সেই সাধারণ সব ভুলগুলোঃ
ভুল শেডের ফাউন্ডেশন লাগানো থেকে বিরত থাকুন
অনেকেই নিজের ত্বকের শেডের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান না। ফলে মুখ সাদা দেখা যায় অথবা বেশী লাল লাগে। মেকআপের জন্য সঠিক শেডের ফাউন্ডেশন অত্যন্ত জরুরী। প্রথমে জেনে নিন আপনার ত্বকের শেড কোনটি। যে কোন বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বললেই তিনি বলে দিতে পারবেন আপনার ত্বকের জন্য কত নাম্বারের ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। এছাড়া আপনি নিজেও আয়নায় মুখের ত্বক দেখে নিয়ে এক শেড হালকা কিংবা গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন কিনুন।
গলায় ফাউন্ডেশন লাগান
মেকআপ করার সময় অনেকেই যে ভুলটি করে থাকেন তা হল গলায় ফাউন্ডেশন না লাগানো। শুধুমাত্র মুখে ফাউন্ডেশন লাগালে মুখের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে কিন্তু গলা কিংবা ঘাড়ের ত্বকের রঙ আগের মতই থাকবে। এতে মেকআপ ভালো দেখায় না। যত হালকা মেকআপই করুন না কেন গলায় ও ঘাড়ে মুখের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান।
অতিরিক্ত আইশাডো থেকে দূরে থাকুন
অনেকেই আইশাডো লাগাতে বেশ পছন্দ করেন। প্রতিদিনের হালকা মেকআপের সাথে হালকা আইশাডো যোগ করলে সৌন্দর্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। কিন্তু আইশাডো...
ব্লাউজ যেমন হওয়া দরকার
শপিং করতে গেলে শাড়ি সহজেই পছন্দ হয়ে যায় কিন্তু তার সাথে মানানসই ব্লাউজ খোঁজা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর যাই হোক এ ব্যাপারটি কোন মতেই বেমানান হলে চলবে না। কারণ এর মধ্যে জড়িয়ে আছে আপনার সৌন্দর্য এবং রুচি। একজন রুচিশীল নারী হিসেবে তাই জেনে নিন কিরকম ব্লাউজ পরিধান করা উচিত।
১। শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ মানাবে বিষয়টি নির্ভর করবে পাড়ের ডিজাইন এবং কোন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরা হবে তার ওপর।
২। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন ব্লাউজের রঙটা হবে কন্ট্রাস্ট।
৩। স্থূলকায় হলে হাতাকাটা বা ছোট হাতার ব্লাউজ পরা ঠিক নয়।
৪। বেশি ক্ষীণকায় হলেও হাতাকাটা ব্লাউজ ভালো দেখাবে না।
৫। পিঠে দাগ থাকলে বন্ধগলার ব্লাউজ পরাই ভালো।
৬। শাড়ি ও ব্লাউজ দুটোই জমকালো হলে চলবে না।
৭। ব্লাউজের ডিজাইন কেমন হবে তা শাড়ির কথা মাথায় রেখে নির্ধারণ করুন।
৮। ব্লাউজের কাজ বেশি হলে শাড়ির কাজ কম হবে, একইভাবে বিপরীত নিয়ম
৯। মেনে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
১০। শারীরিক গঠনের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজ তৈরি করুন।
১১। শাড়ি ও ব্লাউজে যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হবে, গয়নাতেও একই মিল রাখার চেষ্টা করুন।
১২। ব্যাগের মধ্যেও কাজটি যেন শাড়ি ও ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই হয়।
১৩। কাজ করা দামি ব্লাউজগুলো আলমারীতে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।
জনপ্রিয় কিছু ব্লাউজের মধ্যে রয়েছেঃ
হল্টারনেক
হাতাছাড়া এ ধরনের ব্লাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ ব্লাউজ পরতে পারেন।
টিউব চোলি
এই ব্লাউজে কোনো শোল্ডার বা স্লিভ থাকে না। মাপজোখ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ ব্লাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে।...
ছেলেদের ত্বকের যত্ন নিন সারা বছর
বর্তমান যুগে শুধু মেয়েরাই নয়, ত্বকের যত্ন প্রয়োজন ছেলেদেরও। কারণ এই প্রতিযোগিতার যুগে ভাল লুকিং একটা বড় বিষয়। তাই ছেলেদের পিছিয়ে পড়লে চলবে না। অনেক সময়ই একজন ছেলের ভাল লুকিং এর অভাবে সেরা চাকরিটিও হাতছাড়া হয়ে যায়। সেজন্যে জেনে নেই ছেলেরা কিভাবে তাদের ভাল লুকিং ধরে রাখবে।
ছেলেদের ত্বকটা বলতে গেলে একটু রুক্ষ হয়ে যায়। এজন্যে অনেক ছেলেই বাজারের অনেক ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এসব না ব্যবহার করাই ভাল। বরং খুব সহজলভ্য কিছু সবজি এর সমাধান হতে পারে। এগুলো মুখ ও গলায় ১০ মিনিট ধরে ঘষতে হবে। সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে,
১। আলু,
২। পাতি লেবুর রস,
৩। কচি শসার রস
এতে আপনি অভাবনীয় উপলার পাবেন। আপনার ত্বক থাকবে কোমল।
এবার আসুন দেখি ফেস ওয়াশের বিকল্প কি হতে পারে।
১। পেঁপে,
২। গাজর,
৩। শসা,
৪। কমলা,
৫। আপেল
উপরোক্ত ফলগুলোর পেস্ট করে স্ক্র্যাব করে নিতে পারেন। এই পেস্ট দিয়ে ফেসিয়াল করলে উপকার পাবেন। বাজারের যে কোন ফেস ওয়াশের চেয়ে বেশি উপকার দিবে বাসায় তৈরি করা এই পেস্ট। আপনার মুখের সকল ব্ল্যাক হেডসগুলো নিমেষেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। মাসে অন্তত দুবার ফেসিয়াল করা উচিত।
আবার অন্যভাবেও নিতে পারেন ত্বকের যত্ন। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে তবে
১। দুই চামচ কাঠবাদাম বাটা এবং
২। মুগ ডালের গুড়ার সাথে ১ চা চামচ
এগুলো গোলাপ জল দিয়ে গলা ও মুখে মাখুন। এরপর ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে এমন পুরুষও আছেন যাদের ত্বক থাকে শুষ্ক। তাদের আরেকটু বাড়তি কাজ করতে হবে।
১। দুই চামচ মুগ ডাল গুড়া,
২। সমপরিমাণ ময়দা,
৩। দুই...
চুলের সমস্যায় ছয়টি বাজে অভ্যাস
অনেকেই চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় আছেন। কোন কিছুতেই কাজ হয় না। কিন্তু কিছু খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করলেই চুল পড়া বন্ধ হবে এবং অন্যান্য সমস্যাও দূর হবে। জেনে নিন ছয়টি বাজে অভ্যাস।
১. পুরনো ও নোংরা চিরুনি ব্যবহার করবেন না। অনেকে চুলের ক্লিপ পরিষ্কার না করেই বার বার পড়ে থাকেন। এতে জন্মে নেওয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া চুলের ক্ষতি করে, খুশকির জন্ম নেয়। ফলে চুল পড়া শুরু হয়।
২. হেয়ার ড্রায়ার কখনোই ব্যবহার করবেন না। হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাসের বদলে ঠাণ্ডা বাতাসে চুল শুকান। এরপর আয়রন ব্যবহার করুন।
৩. জীবনযাত্রার প্রভাবেও চুলের ক্ষতি হতে পারে। যেমন, অনেকে ব্যস্ত জীবনযাপন করে থাকেন, মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খান ও কম ঘুমান তাহলে তা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর হবে।
৪. গরম পানিতে চুল ধোয়া ঠিক নয়। এতে চুল শুকিয়ে যায় এবং ভেঙে যায়। তবে শীতকালে সামান্য উষ্ণ পানিতে চুল ধোয়া যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫. ক্ষতিকর প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেকে চুলের ক্ষতি করে থাকেন। যেমন, জেল, স্প্রে ইত্যাদি।
৬. চুল টাইট করে বেঁধে রাখলে চুলের ওপর চাপ পড়ে এবং চুল নষ্ট করে। নির্দিষ্ট একটি স্থানে নিয়মিত ক্লিপ ইত্যাদি লাগানোর ফলে চুলে চাপ পড়ে এবং সে স্থানটির চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
শীতকালীন ত্বকের যত্ন
দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকাল মানেই প্রকৃতির সাথে সাথে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠার পাশাপাশি ত্বকে কালচে, মলিন হয়ে যয়। আর এই শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল চেহারার জন্য এ সময়ে দরকার বাড়তি কিছু ত্বকের যত্ন এবং সেই যত্ন অবশ্যই হতে হবে যথাযথ। একটু সচেতন হয়ে সঠিক এবং সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলেই শীতকালের ত্বক ও চুল উজ্জ্বল আর মসৃন রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেই শীতকালীন ত্বকের যত্ন কীভাবে নিবো-
১. মুখে ও হাতে-পায়ে ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। প্রতিবার হাত-মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করুন এতে বজায় থাকবে ত্বকের আদ্রতা। আর শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো সময় হল গোসলের পর এবং রাতে শোবার আগে। শীতকালে আমাদের ত্বক থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি শুকিয়ে যায় যার কারণে হাত-পায়ের চামড়ায় টানটান ভাব আসে আর ময়েশ্চারাইজারের কাজ হল শরীরের পানির অভাব পূরণ করে ত্বককে সজীব ও মোলায়েম করে তোলা।
২. নিয়মিত ফেস প্যাক ব্যবহার... যা অন্য সময়ের থেকে হবে একটু আলাদা-
ময়দা, পাকা কলা ও পাকা পেপে এক সঙ্গে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই পেস্টটি ১০/১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃন।
৩. কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন আর সম্ভব হলে গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে। আর শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মাঝে মাঝেই মুখে পানির ঝাপটা দিন।...
ব্যথামুক্ত ব্ল্যাকহেডস দূরীকরণ
ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বক নোংরা, অনুজ্জ্বল ও কালো দেখায় আর ত্বক অমসৃণ হয়ে যায়। বেশিরভাগ সবারই নাকের উপরে, নাকের আশেপাশে ও ঠোঁটের নিচে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডস হয়ে থাকে। একবার হলে সহজে যেতে চায়না ব্ল্যাকহেডস, পার্লারে গিয়ে পরিষ্কার করাতে হয় আর ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক। আজ আমরা জানবো কীভাবে বাসাতেই ব্যথামুক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায়-
উপকরণঃ
১.ডিমের সাদা অংশ- ১টা
২.লেবুর রস- ২
৩.মধু- ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
*মুখে গরম পানির ভাপ নিন।
*আলতো করে শুকনো টাওয়েল মুখ মুছে নিন।
*একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
*মিশ্রণটি আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকের মত করে।
*অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট শুকানোর জন্য।
*শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন, বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো ভালোভাবে ঘষুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ভালোভাবে।
*তারপর মুখ ধুয়ে নিন ঠান্ডা পানি দিয়ে। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
*আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে।
...এই পদ্ধতি সপ্তাহে দুবার করে নিয়মিত অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।
খুশকিমুক্ত সুন্দর চুল
বাইরে বের হলে চুলে সহজেই ধুলাবালি প্রবেশ করে। রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়- যার কারনে প্রায় সবারই খুশকির ঝামেলা পোহাতে হয়। সুন্দর এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুলের প্রথম প্রধান শর্ত হলো খুশকি মুক্ত চুল। খুশকির কারণে চুল পরা, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। খুশকি চুলের ক্ষতির পাশাপাশি মুখের ব্রণও সৃষ্টি করে থাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাথা থেকে খুশকি দূর করা উচিত। খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এন্টিড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু দেখা যায় এরপরও খুশকি পুরোপুরি দূর হয় না এবং বার বার ফিরে আসে। কিন্তু কিছু টিপস নিয়মিত অনুসরণ করলে আমরা খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন জেনে নেই খুশকি থেকে মুক্তির উপায়-
১. হালকা উষ্ণ বাদাম তেল, নারিকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েল মাথার তালুতে ম্যাসেজ করলে খুশকি দূর হয়।
২. এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে ৫ টেবিল চামচ নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিক্সার মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২/৩ সপ্তাহ পর পর এটা করলে খুশকি থাকবে না।
৩. দুটো ডিম ভেঙে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগান। এক ঘণ্টা পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি মাসে এক বার ফলো করুন খুশকি দূর করতে এবং চুল পড়া কমাতে অনেক কমে যাবে।
৪. গোসলে যাওয়ার আগে লেবুর রস দিয়ে মাথার তালুতে ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন। এরপর ১৫-২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন ব্যবহারে দেখবেন খুশকি চলে যাবে।
৫. চার টুকরা লেবু ৪-৫ কাপ পানির মধ্যে দিন। এরপর লেবু মিশ্রিত পানি ১৫-২০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন ও পরে এটি ঠান্ডা করুন। মাথার চুল ধোঁয়ার সময় এই ঠাণ্ডা মিশ্রণটি ব্যবহার...
কমলার গুণে ব্রণ থেকে মুক্তি
কমলায় নানা গুণের পাশাপাশি এর মধ্যে রয়েছে ব্রণ প্রতিরোধী একটি গুণ। কমলার রসে এক ধরণের উপাদান আছে যা ব্রণকে বড় হতে বাধা দেয়। কমলার রস দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে মুক্ত থাকা যায়। চলুন দেখে নেই কীভাবে প্যাকটি তৈরি করবো-
*কমলার খোসা বেঁটে তার সাথে এক টেবিল চামচ কমলার রস নিয়ে নিন।
*ভাল ভাবে মিশ্রণ তৈরী করে তা সারা মুখে প্রয়োগ করুন। এভাবে পনেরো মিনিট রাখুন।
*এরপর হালকা ফুটন্ত পানি দিয়ে মুখে শুকিয়ে যাওয়া প্রলেপটি ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহারে আপনার মুখে ব্রণে কমে যাবে এবং ব্রণের ক্ষতের দাগও দূর হবে। কমলায় যে এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে তা ব্রণ দূর করার পাশাপাশি মুখের তৈলাক্ততাও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।