গৃহস্থালী কাজে নারীদের অমূল্য শ্রমের কারণেই যুগ যুগ ধরে টিকে রয়েছে আমাদের পরিবার বা সামাজিক অবকাঠামো। তবে এসব কাজের বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক বা নগদ অর্থ দেয়া হয় না বলে, এগুলোকে মূল্যহীন বা অদৃশ্য কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। নারীর গৃহস্থালী কাজকে অদৃশ্য গণনার সাথে সাথে নারীকেও মূল্যহীন ধরে নেয়া হয়।
সুখী, সুন্দর পরিবার গড়তে নারী-পুরুষ উভয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তবে সময়ের সাথে সাথে জীবনের অধিকাংশ বিষয়কে অর্থ মূল্যে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নগদ অর্থ উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে পরিবারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
কেবলমাত্র অর্থ উপার্জনমূলক কর্মকান্ডকে প্রাধান্য দেয়ায় গৃহিনীদের গৃহস্থালী শ্রমকে গুরুত্বহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নারীর গৃহস্থালী অবদানের হিসাব না করা হলেও, বেসরকারী পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কয়েকটি গবেষণা রয়েছে। ২০১১ সালের জিডিপি’র পরিমাণ ছিল ১১২ বিলিয়ন ডলার। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর গৃহস্থালী কাজের অবদান শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, গৃহিণীরা বিনামূল্যে যেসব গৃহস্থালী কাজ করে সেগুলোর আনুমানিক মূল্য বছরে ইউএস $২২৭.৯৩ বিলিয়ন থেকে $২৫৮.৮২ বিলিয়ন ডলার (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ২০১৩)।
Comments (3)
''কথা বাড়াতে চাই না। আসলে মানুষ যদি মানবতাবোধ ও সৃজনশীলতা নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে নিজের জীবনকে ধাপে ধাপে ভাগ করে নিতে পারে এবং ধৈর্য সহকারে সেগুলো অতিক্রম করতে পারে তাহলে তার বা তাদের জীবনে সুখ আসতে বাধ্য।''
এর পর তো আর কোন কথা থাকেনা । অনেক সুন্দর গোছানো একটি লেখা । আর ঐ বিশেষ উক্তিটি
' শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ যা শেখে তার সবটুকু ভুলে যাবার পর যেটুকু মনে থাকে সেটুকুই হলো শিক্ষা। 'আমিও কিছুদিন আগেই দেখেছি । সব মিলে ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ।
অশেষ ধন্যবাদ
ও
অফুরন্ত শুভকামনা...
খুবি ভাল লেখেছেন দাদা
ভাল থাকুন--------
অফুরন্ত শুভেচ্ছা জানবেন, আলমগীর ভাই...
ম্যানেজমেন্ট-এর তত্ত্বের আলোকে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের একত্রে চলার পথের অবশ্যম্ভাবী অাকাংখিত পরিস্থিতির উদ্ভব এবং তা দূর করে সুখে শান্তিতে কাটানোর কৌশল সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার লেখাটা খুবই মূল্যবান একটি লেখা। বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার মত শিক্ষণীয় বিষয় আছে লেখার মধ্যে।
আপনাকে সীমাহীন সাধুবাদ জানাই এত মানসম্পন্ন লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
অশেষ সালাম
ও
শুভকামনা জানবেন...