১০সেপ্টেম্বর ১৮৮৯: টমাস এডিসন এই তোরণটি পরিদর্শন করেন। তিনি নিম্নলিখিতবার্তাটি লিখে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন, “শ্রদ্ধা জানাই সেই সাহসীপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রকৌশলী এম আইফেলের প্রতি আধুনিক প্রকৌশলের নিদর্শনস্বরূপএই বিশাল ও মৌলিক সৃষ্টির জন্য যিনি টমাস এডিসন, বন ডিউ এর মত বিশ্ববিখ্যাতপ্রকৌশলীসহ সকল প্রকৌশলীদের জন্য গর্বের এবং মর্যাদার”।
১৯১০:ফাদার থিওডর উলফ টাওয়ারের পাদদেশ এবং চূড়ার বিকিরিত শক্তি পরিমাপ করেন যাপ্রত্যাশার চেয়ে অনিক বেশি ছিল এবং কসমিক রশ্মি(Cosmic Ray) তখনই প্রথমআবিষ্কার হয়।
৪ফেব্রুয়ারী ১৯১২: ফ্রাঞ্জ রেইচেল্ট নামক একজন ফরাসি দর্জি তার নিজের তৈরীপ্যারাস্যুট নিয়ে আইফেল টাওয়ারের ৬০ মিটার উচ্চতা থেকে লাফিয়ে পড়েন এবংমৃত্যু বরণ করেন।
১৯১৪:টাওয়ারে অবস্থিত একটি রেডিও ট্রান্সমিটার মার্নের প্রথম যুদ্ধের (The First War of Marne) সময় জার্মান বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাতৈরি করে।
১৯২৫: ভিক্টর লাস্টিগ নামক একজন শিল্পী টুকরো ধাতব হিসেবে টাওয়ারটি বিক্রি করেন দু’টি ভিন্ন কিন্তু সম্পর্কিত সময়ে।
১৯৩০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে ক্রাইসলার ভবন তৈরী হবার পর আইফেল টাওয়ার পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাঠামোর মর্যাদা হারায়।
১৯২৫-১৯৩৪:টাওয়ারের চারদিকের তিন দিকেই "সিত্রোয়াঁ"(Citroen)’’ মোটর গাড়ীর জন্যআলোক সজ্জিত করা হয় যা সেই সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় স্থাপিতবিজ্ঞাপন চিত্র ছিল।
১৯৪০-১৯৪৪:প্যারিস জার্মানির অধিনস্ত থাকাকালীন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিরা টাওয়ারেরলিফটের তার কেটে ফেলে। ফলস্বরূপ এডলফ হিটলারকে পদব্রজে চূড়ায় উঠতেহয়েছিল। তখন এমনটি বলাবলি হতো যে হিটলার ফ্রান্স বিজয় করলেও আইফেলটাওয়ার বিজয় করতে পারেন নি।
৩ জানুয়ারী ১৯৫৬: টাওয়ারের ঊর্ধভাগ আগুনে পুড়ে বিনষ্ট হয়।
১৯৫৭: বর্তমান রেডিও অ্যানটিনাটি টাওয়ারের শীর্ষে স্থাপন করা হয়।
১৯৮০:টাওয়ারের মধ্যবর্তী উচ্চতায় রেস্তোরাঁ এবং তা তৈরীতে দরকারি লৌহগুলো খুলেপৃথক করে রাখা হয়। নিউ অরলিনস, লুসিয়ানায় এসব পুণঃস্থাপন করা হয়।
৩১ মার্চ ১৯৮৪: রবার্ট মরিয়ার্টি টাওয়ারের বৃত্তাকার অংশ দিয়ে একটি ‘বিচক্রাফ্ট বনানজা’(‘’Beechcraft Bonanza’’) উড়ান।
১৯৮৭:এ. জে. হ্যাকেট আইফেল টাওয়ারের শীর্ষ থেকে প্রথমবারের মত ‘বাঙ্গীলম্ফন’(‘’bungee jumps’’) করেন, ভূমিতে পৌছানোর পর তিনি প্যারিস পুলিশকর্তৃক গ্রেফতার হন।
২৭অক্টোবর ১৯৯১: থিয়েরী ডিভক্স টাওয়ারের দ্বিতীয় স্তর অনেকগুলো বাঙ্গীলম্ফন করেন যা অননুমোদিত ছিল। প্রশাসনিক লোক পৌঁছানোর আগেই তিনি ছয়টিলম্ফন করেছিলেন।
১৪জুলাই ১৯৯৫: জিন মাইকেল জার ‘’Concert For Tolerance’’ নামক একটি কনসার্টেরআয়োজন করেন ইউনেস্কোকে (UNESCO) সহায়তা করার জন্য। সেখানে প্রায় ১৫লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিল।
১৯৯৯: আইফেল টাওয়ারে প্যারিসের সহস্র বর্ষ উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষ্যে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ টাওয়ারটি আলোকোজ্জ্বল করা হয়।
২৮ নভেম্বর ২০০২: টাওয়ারে ২০০,০০০,০০০ তম অতিথি আগমন করে।
২২ জুলাই ২০০৩: টাওয়ারের সম্প্রচার কক্ষে আগুন ধরে যায়। ৪০ মিনিট পর সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
২০০৪: টাওয়ারের প্রথম স্তরে স্কেটিং খেলার আয়োজন শুরু করা হয়।
২০০৮:ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয়বারের মত সভাপতিত্ব পাওয়ায় ইফেলটাওয়ারে ১২টি দেশের পতাকা লাগানো হয় এবং নীল আলোয় সম্পূর্ণ ডুবিয়েদেয়া হয়।
১৪সেপ্টেম্বর ২০১০: সম্ভব্য বোমা হামলার আশংকায় আইফেল টাওয়ার দর্শকদের জন্যবন্ধ করে দেয়া হয়। অনুসন্ধান চালিয়ে কোন বোমা পাওয়া না যাওয়ায় পরদিনআবারো তা খুলে দেয়া হয়।
Comments (0)
একটি বাস্তব ঘটনাকে অবলম্বন করে লিখা শুরু করলাম। এক বছর হতে চলে আমি নিয়মিত নতুন কিছু লিখি না। তাই খারাপ হলে গালি দিয়েন না।