বিভীষিকার এক অন্তর্জাল পেছনে ফেলে
নতুন এক সময়ে নতুন এক প্রত্যয়ে ছুটে চলি দুনির্বার
আ র-
অদ্ভুত এক আলো তাড়া করে আমাকে
অবরোধে ফাঁকা রাজপথে
কাজের খোঁজে বের হওয়া মানুষের মলিন মুখ,
জীবনের জন্য ছুটে চলা বিশ্বজিতদের আকুলতা,
আমাকে পীড়া দেয় বারংবার।
বখাটেদের উৎপাতে বন্ধ হওয়া আমার কিশোরী বোনের স্কুল,
ধর্ষিতা রাখাইন বালিকার নিথর দেহ,
হাইকোর্টে বিচার চাইতে এসে উত্তক্ত্য মা-মেয়ের অসহায় মুখ,
রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের শিকার-
বারেকের মা, আল্লাদের বিধবা বোন,
শুধু আমাকে পিছু ডেকে বলে-
‘কি করলে?
এতো বিদ্যাবুদ্ধি গাটে বান্ধ।’
আগুনে পোড়া, জ্বলসে যাওয়া পোষাককর্মীর নিথর দেহ
জুলেখা, পারভিনা, নাজনীন, রহুলা,কান্চন, মোতালেব, সালাম, রবিউল, আলভিনা, লিপি, শাহাদাত, মদিনা আরও কতশত নাম
চাপা পড়ে আছে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপে।
গান পাউডারে জ্বলসে যাওয়া মুখলেস,বাবুল, বাবলু
বেঁচে থাকার জন্য হাজার আকুলতা,
হাসপাতালের বেড জুড়ে ভারি করা কান্নায় জলে
সময়ের বিভৎস ছবি একে যাই আমি।
গুম হয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষ
নারী নেতা, পরিবেশবিদ, ব্যবসায়ী,ছাত্র, ব্লগার, বিদেশী পর্যটক
রিক্সাচালক, সব্জী বিক্রেতা, চিকিৎসক,কেটে খাওয়া কৃষক
মসজিদের ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিককর্মী, সাংবাদিক
বাদ যায়নি কেউ।
আমার চারপাশে শত শত সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, ব্লগার এ্যাক্টিভিস্ট
আমি বসে আছি একশো ওয়াটের লাইটের নিচে,
কাচে ঘেরা দেওয়াল, ক্লিক করে উঠে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ,
আমি এক টক শো’তেবিবৃত করছি,
জাতীয় দৈনিকে ছয় কলামের আমার নিবন্ধ,
তাতে লিখেছি ‘কিছু সময় পেরিয়ে’ ।
জ্ঞানগর্ভ কলামে উঠে এসেছে আমার স্বদেশ, বিশ্ব
নির্যাতিতা নারীর কথা, রাজনৈতিক অস্হিরতা, পরিবশে জলবায়ু সবকিছু
এটুকুই-
আমি সুশীল...
continue reading
Comments (10)
তবু লেখা চালিয়ে যান কবিদিদি ৷
বলছেন দাদা।চালিয়ে যাই তাহলে।
ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।
অনেক সুন্র ঢঙ্গে লেখা আপার এই ভিন্নতাই আমার খুব ভালো লাগে ।
আপনার এই কমেন্টসের ভিন্নতাও আমার ভালো লাগে ।ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।
আমি একটা সিরিয়াস উপদেশ দিতাম চাই আর কি। কবি হবেন, লেখক হবেন সেটা অবশ্যই হবেন কিন্তু আমার আপামনি জগৎ সংসার নিয়ে অবহেলা করলে কিন্তু একদম চইলত ন। বুইজজেন নি।
রবিঠাকুর এত বড় কবি কিন্তু ঘরসংসার সামলেই হইছেন। সুতরাং কানে তুলা দেয়া একদম চলবে না। দোয়া করি সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক আপনার জগৎটা ...........................
রবিঠাকুর এত বড় কবি কিন্তু ঘরসংসার সামলেই হইছেন। সুতরাং কানে তুলা দেয়া একদম চলবে না। দোয়া করি সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক আপনার জগৎটা ..
ওহহোহো।তুলা সরিয়ে নিচ্ছি কান থেকে।একইসঙ্গে পিঠ থেকে কুলা।
তুলা দিয়েছি অসহায় বলে।শ্রবনের মধুরতা থেকে কে বঞ্চিত হতে চায়???
ধন্যবাদ হামিদ ভাই কমেন্টসের জন্য।