Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

হাসান ইকবাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

তোমার শুভ্র দিনলিপিতে লিখে রেখো আমার কাহিনিকাব্য

পৃথিবীটা ছোট হতে হতে হয়ে গেছে অনেক বড়
মেঘলোকে পাইনা খুঁজে তােমার ঠিকানা।
জীবনের পরতে পরতে যে সুখাগ্নি জ্বলছে অবিরাম
তা ধাবমান অবিরত।
আমার শুভ বারতা যখন পৌঁছাবে
পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় কোণায়
শব্দের শৈলীতে এঁকো তুমি জীবনের জলছবি।
তোমার শুভ্র দিনলিপিতে তখন লিখে রেখো আমার কাহিনিকাব্য
শব্দের নিখুঁত বুননে ।
হাসান ইকবাল
২২ এপ্রিল ২০১৪, ঢাকা।
continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - জোকার ৫৩

    তবু লেখা চালিয়ে যান কবিদিদি ৷

    • - মুন জারিন আলম

      বলছেন দাদা।চালিয়ে যাই তাহলে।

      ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।

    • Load more relies...
    - মোঃসরোয়ার জাহান

    অনেক সুন্র ঢঙ্গে লেখা আপার এই ভিন্নতাই আমার খুব ভালো লাগে ।

    • - মুন জারিন আলম

       আপনার এই  কমেন্টসের ভিন্নতাও আমার  ভালো লাগে ।ধন্যবাদ কমেন্টসের জন্য।

    - হামি্দ

    আমি একটা সিরিয়াস উপদেশ দিতাম চাই আর কি। কবি হবেন, লেখক হবেন সেটা অবশ্যই হবেন কিন্তু আমার আপামনি জগৎ সংসার নিয়ে অবহেলা করলে কিন্তু একদম চইলত ন। বুইজজেন নি। 

     

    রবিঠাকুর এত বড় কবি কিন্তু ঘরসংসার সামলেই হইছেন। সুতরাং কানে তুলা দেয়া একদম চলবে না। দোয়া করি সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক আপনার জগৎটা ...........................

    • - মুন জারিন আলম

      রবিঠাকুর এত বড় কবি কিন্তু ঘরসংসার সামলেই হইছেন। সুতরাং কানে তুলা দেয়া একদম চলবে না। দোয়া করি সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক আপনার জগৎটা ..

      ওহহোহো।তুলা সরিয়ে নিচ্ছি কান থেকে।একইসঙ্গে পিঠ থেকে কুলা।

      তুলা দিয়েছি অসহায় বলে।শ্রবনের মধুরতা থেকে কে বঞ্চিত হতে চায়???

       

      ধন্যবাদ হামিদ ভাই কমেন্টসের জন্য।

    Load more comments...

হাসান ইকবাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিশেষ নিবন্ধ: কিছু সময় পেরিয়ে

বিভীষিকার এক অন্তর্জাল পেছনে ফেলে
নতুন এক সময়ে নতুন এক প্রত্যয়ে ছুটে চলি দুনির্বার
আ র-
অদ্ভুত এক আলো তাড়া করে আমাকে
 
অবরোধে ফাঁকা রাজপথে
কাজের খোঁজে বের হওয়া মানুষের মলিন মুখ,
জীবনের জন্য ছুটে চলা বিশ্বজিতদের আকুলতা,
আমাকে পীড়া দেয় বারংবার।
 
বখাটেদের উৎপাতে বন্ধ হওয়া আমার কিশোরী বোনের স্কুল,
ধর্ষিতা রাখাইন বালিকার নিথর দেহ,
হাইকোর্টে বিচার চাইতে এসে উত্তক্ত্য মা-মেয়ের অসহায় মুখ,
রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের শিকার-
বারেকের মা, আল্লাদের বিধবা বোন,
শুধু আমাকে পিছু ডেকে বলে-
                             ‘কি করলে?
                              এতো বিদ্যাবুদ্ধি গাটে বান্ধ।’
 
আগুনে পোড়া, জ্বলসে যাওয়া পোষাককর্মীর নিথর দেহ
জুলেখা, পারভিনা, নাজনীন, রহুলা,কান্চন, মোতালেব, সালাম, রবিউল, আলভিনা, লিপি, শাহাদাত, মদিনা আরও কতশত নাম
চাপা পড়ে আছে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপে।
 
গান পাউডারে জ্বলসে যাওয়া মুখলেস,বাবুল, বাবলু
বেঁচে থাকার জন্য হাজার আকুলতা,
হাসপাতালের বেড জুড়ে ভারি করা কান্নায় জলে
সময়ের বিভৎস ছবি একে যাই আমি।
 
গুম হয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষ
নারী নেতা, পরিবেশবিদ, ব্যবসায়ী,ছাত্র, ব্লগার, বিদেশী পর্যটক
রিক্সাচালক, সব্জী বিক্রেতা, চিকিৎসক,কেটে খাওয়া কৃষক
মসজিদের ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিককর্মী, সাংবাদিক
বাদ যায়নি কেউ।
 
আমার চারপাশে শত শত সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী, ব্লগার এ্যাক্টিভিস্ট
আমি বসে আছি একশো ওয়াটের লাইটের নিচে,
কাচে ঘেরা দেওয়াল, ক্লিক করে উঠে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ,
আমি এক টক শো’তেবিবৃত করছি,
জাতীয় দৈনিকে ছয় কলামের আমার নিবন্ধ,
তাতে লিখেছি ‘কিছু সময় পেরিয়ে’ ।
জ্ঞানগর্ভ কলামে উঠে এসেছে আমার স্বদেশ, বিশ্ব
নির্যাতিতা নারীর কথা, রাজনৈতিক অস্হিরতা, পরিবশে জলবায়ু সবকিছু
 
এটুকুই-
আমি সুশীল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    besh valo laglo

    • - হরি দাস পাল

      আসলে পন্টের সমস্যার কারনে লেখাটা সেভাবে বোঝা যাচ্ছে না। কষ্ট করে যে পড়েছেন তার জন্যে ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্যে।

      ভাল থাকবেন.......

হাসান ইকবাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

চৈত্র সংক্রান্তির সেইসব হিরন্ময় দিন

চৈত্র সংক্রান্তির সময় এসে গেলে ব্যস্ততা বেড়ে যেত গাঁয়ে। পাটক্ষেতে তখন নিড়ানীর ধূম। বাড়ির বড়রা দলবেঁধে বসে পাটের চারা নিড়ানী দিত। বড়রা বলতে আমার বাবা, চাচা, বাড়ির বাৎসরিক কাজের লোক। সংক্রান্তির আগেই নিড়ানী শেষ করার জন্য দূর গায়ের লোকেরা আসতো কাজের খোঁজে। বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়ে গেলে উর্বর জমি নরম হয়ে যায়, তখন আর নিড়ানী দেয়া যায়না। ঘন পাটের চারা তোলা যায়না, আগাছা সরানোও যায়না। জমিতে পা দেবে যায়। ক'দিন বাদেই বৈশাখ, আর বৈশাখী ঝড়ের তান্ডব আর আম কুড়ানোর ধূম।
এই সময়টাতে আমরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঘুড়ি উড়তাম। তেলেঙা ঘু্ড্ডি, চিল ঘুড্ডি, ঢোল ঘুড্ডিসহ নানা জাতের নানা রঙের ঘুড়ি। কোনটা ভোঁ ভোঁ শব্দ তোলে আকাশে পাড়ি দিত। সে ঘুড়ির নাম চিল ঘুড়ি। চিলের মত বিশাল ডানাওয়ালা ঘুড়ি। ঘুড়ির মাথায় বেঁধে দিতাম তালের পাতা দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি ধনুক। তালের পাতলা পাতায় বাতাসে ছোট লেগে দারুন এক শব্দ হতো । কেউ কেউ বলতো-"এইড্যা হেলিকপ্টার ঘুড্ডি।"
ঘুড়ি উড়াতে হলে নাটাইয়ের সূতো ধরে দৌড়াতে হয়। আর সূতোর টান লেগে ঘুড়ি উপরে উঠতে থাকে। আর ছেলেরা চিৎকার করে বলতো-"ঘুড্ডি উড়ে ফন্ফন্।" সুতোর নাটাই ধরে দৌড়াতে দৌড়াতে কখন যে আমরা সেই নিড়ানী দেয়া বৃষ্টি ভেজা নরম পাট খেতের উপর দিয়ে দৌড়েয়েছি তার হুশ জ্ঞান আমাদের থাকতোনা। কাদামাটি থেকে পা যখন উঠাতে পারতাম না, তখন টের পেতাম। কতজনের পাট খেত আমরা মাড়িয়েছি তা টের পেতাম পরদিন সকালে যখন ডজন ডজন নালিশ আসতো আমার দাদার কাছে-"তোমার বান্দর নাতী পাটখেতের সর্বনাশ কইর‌্যালছে।" আর তখন দাদার কাছাকাছি থাকাটা যে নিরাপদ নয়, সেটা ঠিকই বুঝতে পারতাম।
চৈত্র সংক্রান্তিতে লোকধাঁধাঁ ও শিলুক, মেয়েলী গীত, বৃষ্টির গান, বারোমাসী গান, ঘাটু... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মুন জারিন আলম

    কাঁচা মরিচ থেরাপী   অনেক ধন্যবাদ

    - ওসমান শেখ

    আপনাকেও ধন্যবাদ 

    - বাধন আহমেদ

    আমি কাঁচা মরিচ like করতাম না। ভাবছি এখন থেকে কাঁচা মরিচ থেরাপী নিতে হবে। 

    Load more comments...

হাসান ইকবাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

অবশেষে

ট্রেনের কালো ধোয়াটা যতক্ষন দেখা যাচ্ছিল
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ঠাঁয়,
ট্রেনটা মিলিয়ে গেল-
সামনে শুধু ফাঁকা রেল লাইন-কাঠ-পাথর
রেল লাইনটা সামনে দিগন্তে মিশে গেছে-
সরু-খুব সরু হয়ে।
ট্রেনের জানালাগুলি বন্ধ করে দিয়েছিল
একটা জানালা খোলা ছিল তবু-
সেটা পারু’র জানালা।
একটা হাত নাড়ছিল তবু-
সেটা পারু’র হাত।
সেটাও মিলিয়ে গেল অবশেষে
সাথে ট্রেনটাও,
আমি আর দেখতে পাইনি প্রিয় পারু’কে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    বরাবরে মতো ভালো লাগলো ...বিশেষ করে...আমার সত্যি এই ঘটনা জানা ছিলো নাবিশ্বখ্যাত দুজন ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইন কবি ও বৈজ্ঞানিক। চিন্তা চেতনায় দুজন দুমেরুর অধিবাসী।১৯৩০ সালের ১৪ই জুলাই বিকেল চারটে নাগাদ ঐ টিলার বালি বিছানো রাস্তা ধরে পায়ে হেঁটে এই বাড়ীতে এলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরনে তার নীল রঙের নরম কাপড়ের পোষাক- একটা হাত পিছনে রেখে একটু ঝুঁকে হাটেন।দুজনের কেউই তার নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেন না। মুখোমুখি বসে গল্প করছেন।আলাপ শেষ হলো। রবীন্দ্রনাথ ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন। অপেক্ষমান সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “এই মাত্র আপনি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বললেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী? রবীন্দ্রনাথ সহজ ও সরল ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, আমি তো একজন বিশ্বখ্যাত কবির সঙ্গে কথা বললাম- বৈজ্ঞানিকের সঙ্গে নয়।” এরপরেই সাংবাদিকেরা আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করে বললেন, “আপনি একজন বিশ্বকবির সঙ্গে আলাপ করলেন- আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আইনস্টাইন জবাব দিলেন, আমি কবির সঙ্গে কথা বলিনি, আমি একজন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছি।”.......many many thank's

     

হাসান ইকবাল

১০ বছর আগে লিখেছেন

অরণ্যে পরাহত কয়েকটি দিন

এক.
জায়গাটা বেশ নীরব। কোন কোলাহল নেই। দু'একটা ঝরাপাতার মর্মর শব্দ আর রং বদলানো গিরগিটি ছুটে চলার শব্দ ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই। চারপাশটা বেশ পরিপাটি। মাঝে মাঝে বাগানের সরু পথ ধরে টুংটাং বেল বাজিয়ে চলে যায় সাইকেল আরোহীরা। বাগানের যে পাশে বাংলোটা, ঠিক তার পশ্চিম পাশেই একটি কৃত্রিম ঝর্ণাধারা। বাগানের মালী, বাংলোর পরিচারক ছাড়া তেমন লোকজন নেই। এই বড্ড দুপুর বেলায় বাংলোর দরোজায় ক্রিংক্রিং শব্দ।
হকার। খবরের কাগজের হকার দারোগ আলী। সাইকেলের ঘন্টা বাজান এমনি করেই। উনি সাইকেলকে বাই-সাইকেল বলতে নারাজ। বাঙালি হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। বেশি স্বাচ্ছন্দের শব্দ তার কাছে 'দ্বি-চক্রযান'। 
শহর থেকে এই বাংলো আঠারো কিলোর পথ। এই বাংলোতে খবরের কাগজ পৌঁছোয় ঠিক মধ্য দুপুরে। কোনোদিন বিকেলে। ইতোমধ্যে দেশে ঘটে যায় কতশত ঘটনা। মিটিং, মিছিল, খুন, অপহরণ, সংবর্ধনা, নারী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি আরো কতকিছু! নতুন নতুন খবরের জন্ম হয়। ছাপাখানার প্লেটগুলো ভরে ওঠে নতুন খবরের শিরোনামে। 
দারোগ আলীই এ বাংলোতে নিয়মিত খবরের কাগজ পৌছান। বয়স তার ষাটের কাছাকাছি। সকাল থেকে খবরের কাগজ বিলি করেন-আর সবশেষ খবরের কাগজটি পৌঁছায় এই বাংলোতে।
দুই.
বাংলোর অদূরে বেশ ক'টি পুরাতন সেগুন গাছ। যুগ যুগান্তরের ইতিহাসের নীরব স্বাক্ষী। গাছের দুটো মোটা শিকড় চলে গেছে বাগানের সরু পথ বরাবর। এ জায়গাটায় আসলে সাইকেল আরোহীদের একটু জোড়ে ব্রেক কষতেই হয়। 
ওপাশে সারি সারি মেহগিনি। দেবদারু গাছগুলো কেটে ফেলেছে বেশ কয়েক বছর আগে। প্রচন্ড ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল এখানকার অনেক গাছ। দেবদারু যুগল গুলো এখন হারিয়ে গেছে। সে জায়গা দখল করেছে ঘ্রাণে পাগল করা বকুলের গাছ। 
বকুলতলা থেকে মিনিট পাঁচ এগুলে চোখ পড়ে অনেকগুলো প্রাচীন সমাধি। সমাধি ফলক গুলোর এফিটাফ মুছে গেছে। সন তারিখ কোনকিছুই ভালো বুঝা যায়না। জরাজীর্ন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    চারু দা

    বেশ লাগল কবিতা

    শুভ কামনা----

    • - চারু মান্নান

    - সুখেন্দু বিশ্বাস

    কবিতায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম চারু দা।

    শুভেচ্ছা রইলো   

    • - চারু মান্নান

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম... 

    • - চারু মান্নান

      thanks kobi vai,,,,,,,,

Load more writings...