Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অমিত বাগচী (অন্তহীন)

৯ বছর আগে লিখেছেন

যখন আমি থাকবো না.......

যখন আমি থাকবো না আর
থাকবে না এই বাক্যগুলো
যখন তোমার সব হবে আর
আমার ঘরে জমবে ধুলো।
তোমার মেয়ে তোমার কোলে
হাসবে যখন ভুবন ভরে
যখন আমার কান্নারা সব
বৃষ্টি হয়ে পড়বে ঝরে।
কাটবেগো দিন এমনি করে।
আসবে সময় বছর ঘুরে।
বয়সটা যখন ষাটের ঘরে
মেয়েটা তখন পরের ঘরে।
একলা বসে নিজের ঘরে
কাটবে সময় অবসরে।
এমনি করেই নামবে রাত
তারায় তারায় হাসবে চাঁদ।
তুমি তখন রইবে নিজের সনে
আমার কথা পরবে তখন মনে?
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

অমিত বাগচী (অন্তহীন)

৯ বছর আগে লিখেছেন

সমস্ত হিসাব নিকাশের উর্দ্ধে যে হিসেব

আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিল ফুটবল দল সাপোর্ট করা প্রসংগে কোন কোন অতিদেশপ্রেমিক (দেশ প্রেমের প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি) বলে বসেন, “নিজের দেশ বাদ দিয়ে......” 
তাদের দেশ প্রেমের প্রতি যথাযথ সম্মান বজায় রেখেই বলছি, এটা দেশপ্রেমের ব্যপার নয়; এটা ফুটবল প্রেমের ব্যপার। বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল ভালবাসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরগুলোর মাঝে অন্যতম এই মহাযজ্ঞে যুগ যুগ ধরে হৃদয়ের প্রায় সমস্ত আবেগ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন দিয়ে আসছে ল্যাটিন আমেরিকার এই দুই দলকে। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতে গেলেও কিন্তু এই একই চিত্র দেখতে পাবেন। আমি নিজেই দেখেছি। আর কোন দেশে যাইনি, তাই বলতে পারছিনা আপাতত।
কিছু কিছু ভালবাসা  জাগতিক সমস্ত স্বার্থের উর্দ্ধে হয়। আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের প্রতি ভালবাসাটা ঠিক তেমনি। বহু দূরের কোন দেশ খেলেতে গিয়ে কোন এক খেলোয়ার একটা গোল মিস করলো আর তার জন্য সেই দেশের মানুষগুলোর সাথে সাথে এই দেশের কোটি মানুষও আফসোস করে উঠলো। ভাবতে সত্যিই খুব অবাক লাগে। এই আবেগ কিন্তু একদম ভেতর থেকে আসা। এই আবেগের সাথে কোন স্বার্থের সম্পর্ক নেই। পুরোটাই আবেগ। এই আবেগকে কেউ কেউ ঠাট্টা করতে পারেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, আবেগ হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার রসদ। আর আমার মতে, এটাই বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ।
ল্যাটিন আমেরিকার এই দুই দেশের প্রতি মানুষের আবেগ দেখলে বোঝা যায়, যুক্তি দিয়ে আসলে দুনিয়া চলে না। ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময়কার একটা ঘটনা। রাত চার পর্যন্ত খেলা দেখেছি। আর্জেন্টিনা বনাম আইভরি কোস্টের খেলা ছিল। পরদিন সাড়ে ছয়টায় প্রাইভেট। খুব কষ্টে পড়তে গেছি। স্যার ছিলেন খুবই রাগী। তাই অনেক কষ্টে ঘুম থেকে উঠে পড়তে গেলাম। কিন্তু পড়া হলো না। কারন, স্যার সারা রাত খেলা দেখে ক্লান্ত। এখন ঘুমাচ্ছেন। পড়াতে পারবেন না। অবশ্য প্রাইভেটে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    খুব ভালো লাগলো লেখাটা

    • - সেলিনা ইসলাম

      আবারো নতুন করে জানা হল অনেক কিছুই...।  প্রসংশীয় লেখা খুব ভাল লাগল । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য 

অমিত বাগচী (অন্তহীন)

১০ বছর আগে লিখেছেন

গাঁজার নৌকা......

গাঁজার আসরটা রতনকে ছাড়া চলে না। ওর মত করে গাঁজা কেউ বানাতে পারে না। আজ রাতের আসরটাও তারই আয়জন। তবে, ওরই বন্ধু নির্ঝর ওর চেয়ে বড় ভবের পাগল। বলতে গেলে প্রায় সারাদিনই সে কাটিয়ে দেয় গাঁজা খেয়ে। আর এখন গাঁজাটা ওর কাছে পানির মত হয়ে গেছে। সারাদিনই খায়। রাতে অবশ্যই অন্যকিছু দরকার। আজ রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে আছে ফেন্সিডিল।
ওরা সাতজন একসাথে বসেছে। একজন আজ নতুন যোগ হয়েছে। ছেলেটা এই বছর ভর্তি হয়েছে। নির্ঝর কখনই কোন কিছু নিয়ে মাথা ঘামায় না। ও সবসময় একটা ভাবের জগতে থাকে। তারপরও একবার মনে হলো, ছেলেটা ভর্তি হতে না হতেই ওদের সাথে বসে গেলো, কেমন কথা? তবে, এতকিছু ভাবার সত্যি সময় নেই। ওর সমস্ত ভাবনা একজনকে ঘিরেই।
আসর ছেড়ে হঠাত করেই উঠে আসলো নির্ঝর। একসাথে বসে থাকতে ভাল লাগছে না। নিজের রুমে চলে আসলো সে। আজ রুমে একাই আছে ও। ওর রুমমেটগুলোও আসক্ত হয়ে পরেছে, বলতে গেলে ওকে দেখেই। যদিও, ও অনেকবার নিষেধ করেছে। কিন্তু, কিছু করার নেই। ওর মত হতাশা থেকে এরা খায়না। এরা খায় কৌতুহল থেকে। খাওয়ার পরে হতাশার একটা কারন আবিষ্কার করে নেয়। ব্যাপারটা বেশ হাস্যকর।
আজ নিজের রুমে শুয়ে গাঁজা টানছে নির্ঝর। গাঁজার ধোঁয়ার মাঝে হটাতই ভেসে উঠলো একটা মুখ। খুব চেনা পরিচিত একটা মুখ। ব্যপারটা নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে অনেকবারই এই মুখ দেখতে পেয়েছে ও। মুখটা ভাসে ওর সামনে। কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে ওর আশেপাশে। তারপর চলে যায়। আজ কেন জানি, খুব ইচ্ছে হলো একটু কথা বলতে। প্রথমে পারছিল না। একটু চেষ্টার পর সফল হলো।
নির্ঝরঃ তনু, কেমন আছো?
তনুঃ ভাল। অনেক ভাল। তুমি?
নির্ঝরঃ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - ছড়াবাজ

    উরি বাবা, ভুত দেখি বড়ই রোমান্টিক,
    হু হু, হা হা হাসি নাই, লাগে না যে মোটে ঠিক।
    মূলাকার দাঁত নাই, ভাটা-জ্বলা চোখ নাই,
    চোখে নাকি জল ঝরে, ব্যাপারটা মানি নাই!

    শেষমেষ হলো এটা, আমি-তুমি কাহিনী,
    ছ্যাকা ছ্যাকা ভাব নিয়ে, শুধু প্যান-প্যানানি....
    এই যদি হয় ভুত, ছা-পোষা ও দূঃখী,
    ভয় পাবে তবে বল, ভীতু বোকা লোক কি?

    - মো: মালেক জোমাদ্দার

    রোমান্টিক ভুতের গল্প খুবই ভাল লেগেছে । চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল। 

অমিত বাগচী (অন্তহীন)

১০ বছর আগে লিখেছেন

নীরবতা

একটা পাতা যখন ঝরে যায়
তার শব্দ কি সবাই শুনতে পায়?
রাতের তারাগুলো যখন খসে পরে এক এক করে
আমরা তখন ঘুমে মগ্ন থাকি।
কান্নার শব্দ আজ আমাদের কাছে এতটাই পরিচিত যে
আর বিচলিত হই না ওসব শুনে।
গুলির শব্দ আমরা শুনতে পাই। চমকে উঠি শুনলে।
কেন? কে মারা গেল তাই ভেবে?
না; গুলিটা আমার গায়ে লাগলো নাতো? এই ভয়ে।
মৃত্যুর কোন শব্দ নেই।
মানুষ মারা যায় নীরবে।
আপন জনের আহাজারিতে বাতাস ভাড়ী হয়ে ওঠে।
একসময় বাতাসও ক্লান্ত হয়।
নেমে আসে নীরবতা।
হাজারো কোলাহলের মাঝে আমি সেই নীরবতা খুঁজে ফিরি।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মরুভূমির জলদস্যু

    উনার অভিনয় আর আবৃত্তি আসলেই অসাধারণ ছিল।

    - মাসুম বাদল

    শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তাঁকে...

    - আলমগীর সরকার লিটন

    গভীর শ্রদ্ধা রইল

    Load more comments...

অমিত বাগচী (অন্তহীন)

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঢেউয়ের গর্জনে

রাগে, অনুরাগে, বিরক্তিতে, উত্তেজনায়, ভাল লাগায়, মন্দ লাগায়, আঘাতে, আনন্দে…..প্রতিটি আবেগে এই সমুদ্র মিশে আছে রউফের জীবনে। ঢেউয়ের বিরামহীন গর্জন কখনও খুব আপন আবার কখনও প্রচন্ড বিরক্তির কারন। তবে, অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে। কক্সবাজারেই জন্ম তার। শুধু এটুকুই জানে সে। এর বেশি কিছুই জানা নেই নিজের জন্ম সম্পর্কে। নিজের জন্ম পরিচয়টাও সঠিকভাবে বলতে পারে না সে। না পারারই কথা। এই কক্সবাজারে প্রতিদিন দেশী বিদেশী অজস্র পর্টকেরা আসছে সমুদ্র দেখতে। সেই সব পর্যটকদের মধ্যেই কেউ একজন তারা পিতা। মায়ের স্মৃতি নেই বললেই চলে। শুধু এটুকু জানে, মায়ের নাম কুলসুম। হোটেল “সান সেট” এ কোন একসময় কাজ করতো সে। মা সম্পর্কে খুব বেশি জানার কৌতুহল নেই তার। অভিযোগও নেই। ভুল করে জন্ম তার। ভুল এই পৃথীবিতে তার শুরুটাই হয়েছে ভুল দিয়ে। তবে, বেঁচে থাকাটা কিন্তু একেবারে মন্দ লাগে না মাঝেমধ্যে! সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই নতুন আসে অনেকে। সমুদ্র দেখে তাদের যে উন্মাদনা, তা হাসির খোরাক যোগায় রউফের। সমুদ্র দেখলেই সবাই এরকম পাগল হয়ে যায় কেন!             ।
                                     ******
জীবন যুদ্ধের ময়দানের কোটি কোটি যোদ্ধাদের মাঝে রউফও একজন। যথেষ্ট সম্ভাবনাময় যোদ্ধাই বলতে হবে তাকে। এই কঠিন প্রতিযোগীতার মাঝে দিব্যি একটা ব্যবসা জুটিয়ে নিয়েছে সে। ব্যবসাটা একেবারে মন্দ না। সমুদ্র তীরে রৌদ্রস্নান করার জন্য যে সিটগুলো থাকে সেগুলোর একটা আছে তার দ্বায়িত্বে। ঘন্টা চুক্তিতে ভাড়া দেয় সে। কত মানুষ এসে সেখানে বসে। শুয়ে থাকে। সমুদ্র দেখে মুগ্ধ হয়। একটু একটু করে বড় হচ্ছে রউফ। এখন অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে সে। মানুষের হাসি মুখ কিংবা ধমক, কোনকিছুতেই গলে যায় না সে। সিট ভাড়া... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - মশিউর রহমান

    বর্ণনা এবং ছবিগুলো ভালো লাগলো। নিচের ছবিটা সব চেয়ে বেশী ভালো লাগলো।

    • - মরুভূমির জলদস্যু

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মশিউর ভাই।

    - ঘাস ফুল

    অনেক ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ কাহিনী দস্যু। ছবিগুলোও আপনার বন্ধু ইস্রাফিল খুব ভালো তুলেছে। 

    • - মরুভূমির জলদস্যু

      আমার ওয়াইফ সব সময় অভিযোগ করে, বেরাতে বেরুলে আমি নাকি ক্যামেরাকেই বেশি সময় দেই, তাই এবার ক্যামাকে সময় কম দিয়েছি।

Load more writings...