গাঁজার আসরটা রতনকে ছাড়া চলে না। ওর মত করে গাঁজা কেউ বানাতে পারে না। আজ রাতের আসরটাও তারই আয়জন। তবে, ওরই বন্ধু নির্ঝর ওর চেয়ে বড় ভবের পাগল। বলতে গেলে প্রায় সারাদিনই সে কাটিয়ে দেয় গাঁজা খেয়ে। আর এখন গাঁজাটা ওর কাছে পানির মত হয়ে গেছে। সারাদিনই খায়। রাতে অবশ্যই অন্যকিছু দরকার। আজ রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে আছে ফেন্সিডিল।
ওরা সাতজন একসাথে বসেছে। একজন আজ নতুন যোগ হয়েছে। ছেলেটা এই বছর ভর্তি হয়েছে। নির্ঝর কখনই কোন কিছু নিয়ে মাথা ঘামায় না। ও সবসময় একটা ভাবের জগতে থাকে। তারপরও একবার মনে হলো, ছেলেটা ভর্তি হতে না হতেই ওদের সাথে বসে গেলো, কেমন কথা? তবে, এতকিছু ভাবার সত্যি সময় নেই। ওর সমস্ত ভাবনা একজনকে ঘিরেই।
আসর ছেড়ে হঠাত করেই উঠে আসলো নির্ঝর। একসাথে বসে থাকতে ভাল লাগছে না। নিজের রুমে চলে আসলো সে। আজ রুমে একাই আছে ও। ওর রুমমেটগুলোও আসক্ত হয়ে পরেছে, বলতে গেলে ওকে দেখেই। যদিও, ও অনেকবার নিষেধ করেছে। কিন্তু, কিছু করার নেই। ওর মত হতাশা থেকে এরা খায়না। এরা খায় কৌতুহল থেকে। খাওয়ার পরে হতাশার একটা কারন আবিষ্কার করে নেয়। ব্যাপারটা বেশ হাস্যকর।
আজ নিজের রুমে শুয়ে গাঁজা টানছে নির্ঝর। গাঁজার ধোঁয়ার মাঝে হটাতই ভেসে উঠলো একটা মুখ। খুব চেনা পরিচিত একটা মুখ। ব্যপারটা নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে অনেকবারই এই মুখ দেখতে পেয়েছে ও। মুখটা ভাসে ওর সামনে। কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে ওর আশেপাশে। তারপর চলে যায়। আজ কেন জানি, খুব ইচ্ছে হলো একটু কথা বলতে। প্রথমে পারছিল না। একটু চেষ্টার পর সফল হলো।
নির্ঝরঃ তনু, কেমন আছো?
তনুঃ ভাল। অনেক ভাল। তুমি?
নির্ঝরঃ...
continue reading
Comments (2)