সময়টা ১০/০১/১৬ , অনেক উত্তেজনা নিয়ে গেলাম বায়োমেট্রিক্স সিম রেজিঃ করতে । এলাকাতেই বনশ্রীতেই বলতে পারেন । যথারীতি আইডি ফটোকপি ,এক কপি ছবি নিয়ে হাজির হলাম ই ব্লকের একটা রেজিঃ বুথে । অপারেটর বিজ্ঞ লোকের মতই আমার নাম্বার নিলেন আর অপেক্ষা করতে বললেন পিনের জন্য । যাই হোক পিন আসল আর পিন সেন্ড করলেন তিনি ,এর পর আইডি নাম্বার দিয়ে এবার আঙ্গুলের ছাপ নিলেন .এবং রিকোয়েস্ট পাঠালেন ।।অনেক্ষন পর একটা লেখা ফুটল “ফিংগার প্রিন্ট ডাজন’ট ম্যাচ ’’ !! যাই হোক অপারেটর বিজ্ঞের সাথে বললেন “ব্যাপার না ,সার্ভার প্রবলেম আবার ট্রাই করাম” অতঃপর আবার ট্রাই এবং আবার সেই একই লেখা “ফিংগার প্রিন্ট ডাজন’ট ম্যাচ ’’!!েএবার অপারেটর বললেন ভাই আবার বিকালে আইসেন , ওকে !! আমারও সরল অভিব্যক্তি ‘ওকে”।
পরদিন আরেক বুথে একই জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ অপেক্ষা করছি আমার পালা কখন তার ।যাই হোক চোখের সামনে দেখলাম মিনিটের মধ্যে রেজিঃ কমপ্লিট ।।যাইহোক আমি ও এবার রেজিঃ করতেছি একই পন্থায় কিন্তু বিধি বাম আবার “ফিংগার প্রিন্ট ডাজন’ট ম্যাচ ’’ যেটা বারংবার চেস্টায় প্রায় ১৪ বার আসল(দুটো সিমেই) !! মেজাজ খারাপ করে কাস্টমার কেয়ারে ফোন !! অনেক অপেক্ষার চড়াই উৎরাই পার হয়ে মিষ্টি কন্ঠের জানতে চাওয়া ”হাউ মে আই হেল্প ইউ” !! তারাতারি আমার সমস্যা খানা বলার জানা গেল কিছুই করার নেই !! পরদিন কাউন্সেলরের কাছে ফোন দিয়ে পরামর্শ পেলাম বাড্ডা থানা নির্বাচন অফিসে যেতে ,, । গেলাম বাড্ডায় নির্মানাধীন এক ভবনের ৭ম তলায় ,, গিয়ে ‘‘ইজি কাজে বিজি” এক অফিসার কে বললাম সমস্যাটা ! উনি ভ্রু’কুঞ্চন করে বললেন “দেখি র্কাড টা ? ওফ্!!! কেনো যে আসেন আপনারা দেখেই মনে হয় সব ঠিক আছে এর পরও আসেন ,, যান আবার ট্রাই করেন যান !! ’’ আমিও ওনার মত বললাম “কি নয় ছয় বুজ দ্যান ?? স্ক্যন করে দেখেন না ফিংগার প্রিন্ট কেনো ম্যাচ করে না ?? আপলোডএও তো প্রবলেম থাকতে পারে !! ’’ এবার চার গুন ফায়ার হয়ে সুপার ম্যানের মত ‘বিজি ম্যান’ : ভাই দেখতেছেন না পিছনে কোড দেয়া আছে !! এর মানে বুঝেন?? আপনেরে দেইখাই মনে হয় সব ঠিক আছে !! যান !!” বুঝলাম এখানে উনিই মহাজ্ঞানী তাই ব্যর্থ মনরথ নিয়ে তিন দিনপর(১৪/০১/১৬) গেলাম আগার গাঁও প্রধান নিঃক অফিসে ।। লম্বা সিরিয়াল ধরে তথ্য কেন্দ্রে বললাম সমস্যাটা আর বললাম থানা অফিসের চেহারা দেখে সমস্যা সমাধানের বিষয়টা । এবার কী-বোর্ডে কি যেন টিপাটিপি করলেনআর ইকটু পর বললেন “ভাই আপনার র্কাড তো ঠিক আছে ,,আমাদের সাইটে তো সব ইনফরমেশন ঠিক আছে !!’’ ‘‘ ভাই !! স্ক্যান করে দেখেন না সার্ভারে ফিংগার প্রিন্ট শো করে কিনা ? “ আমার করুন অনুরোধ !! ‘‘আচ্ছা ঠিক আছে সামনে আরাফাত সাহেবের কাছে যান ’’ হাসিমুখে পথ বাতলে দিলেন তথ্য গুরু ।। গেলাম আরাফাত সাহেবের কাছে সেখানেও লাইন তবে নাতির্দীঘ । যাই হোক বললাম সমস্যাটা !! ওনারও একই বচন ‘চুইংগাম তত্ব” !! আমাকে শান্ত করতে স্ক্যান করলেন আর বললেন যদি সব ঠিক থাকে তবে জরিমানা দিতে হবে । টুট্ টুট্ করে স্ক্যান করলেন এবার উনার মুখে মুচকি হাসি ‘’ভাই !! সমস্যা তো গুরুতর !! সার্ভারে তো আঙগুলের ছাপ এ নট প্রেজেন্ট দেয়া !! হারুন স্যারের কাছে যান’’ । গেলাম হারুন স্যারের কাছে বললাম লাইন পার হওয়ার পর, উনি বললেন এটা তো আমার প্রবলেম না ,,যান আরাফাত সাহেবেরে কাছে যান ” এর মধ্যে হঠাৎ “এইযে ভাই আমারও তো একই প্রবলেম কার্ড ঠিক আছে বাট, ম্যাচ করে না !”ডাক দিল একজন , দেখলাম আরো তিন জন বিরল সমস্যার অধিকারী ,, জানতে পারলাম সাধারনত ছাপ না থাকলে তা র্কাডে লাল কালি দিয়ে লেখা থাকে ,,কিন্তু আমাদের বেলায় তার ছিটে ফোটা নেই ,,যাইহোক আবার আরাফাত ভাই এরপর গেলাম নুতন শাহাবুদ্দিন স্যারের কাছে “উনি বললেন দেখেন সংশোধনের নীতিমালায় আপনাদের এই সমস্যা সংশোধনের কোনো স্পষ্ট কিছু দেয়া নাই ..কারন র্কাড ঠিক আছে !! যাই হোক ব্যাংকে ২৫৩/- টাকা জমা দিয়ে আসেন “ । নানান ঝক্কি পার হয়ে ২৫৩/- টাকা দিয়ে গেলাম আরাফাত সাহেবের কাছে, এবার স্বাক্ষর দয়ে বললেন ,পরিচালক জাহাঙ্গির স্যারের কাছে যান !! গেলাম জাহাঙ্গির মিয়ার কাছে । গিয়ে দেখি উনি অফিস থেকে সকালে বের হয়েছেন বাট, অাসেন নাই !! অপেক্ষা করলাম মান্যবরের আগমনের ।। আধাঘন্টা পর দেখলাম পাশের একটা রুমে আরেক অফিসার বলা চলে ডিরেক্টর কোনো এক উয়িংর !! গেলাম ওনার কাছে চার জন !! এবার উনি বুঝে শুনে লিখে দিলেন ”ফি ব্যতিরেক আঙুলের ছাপনেয়া হোক “ !! বললাম না স্যার ২৫৩/- টাকা দেয়ার পর একথা লেখার কি তাৎপর্য ! চুপচাপ চলে আসলাম আবার প্রিয় আরাফাত ভাইয়ের কাছে এবার বললেন লাইন ধরেন আর ্ওই কাওন্টারে জমা দেন !! এর পর ৪ ঘন্টা লাইনে দাড়ানোর পর কাউন্টারে গেলাম ,,আমাদের কাগজ গুলি নিলেন আর পাঠালেন ছাপ জমা দিতে !! হাহ্ !! এর পর আমরা ক’জন গেলাম ছাপ দিতে ছাপ নেয়ার পর আবার সেই কাউন্টারে গেলাম এবার বললেন“ যান কাজ শেষ ৯/০৩/১৬ তারিখে আসবেন !” আমরাও দেশ স্বাধীনের আনন্দ নিয়ে বাইরে আসলাম ,,মুক্ত বাতাস নিতে !! কিন্তু বিধি বাম বাইরে ঝপ ঝপ বৃষ্টি !! শীতের বৃষ্টি !! কি আর করার, শীতের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাসায় আসলাম ।।
......................
পর সমাচার ঃ
পাঠকদের বলছি প্রতিদিন১০,০০০ আবেদন সংশোধনের জন্য জমা পরে আর সংশোধন হয় ৫০০০ হাজার !! ভোগান্তি কত প্রকার কি কি
না গেলে বোঝা যায় না ,,,, এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে কত ফি বা সংশোধনের ধরন অনুযায়ি কত ফি তা অনেকেরই অজানা ,, নিঃসংকোচেেএ অধমকে ঠক ঠক করবেন যতটুকু জানি সহায়তা করব !! page: facebook.com/dmshafiq.taaslim
প্রথম প্রকাশ :সামহোয়্যার ইন ব্লগ