Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অনিকেত নন্দিনী

৮ বছর আগে লিখেছেন

সত্যি বলছি জেনো

সত্যি বলছি জেনো,  মেঘলা দিনে তোমাকে খুব মনে পড়ে।  ইচ্ছে করে কোনো এক খোলা বারান্দায়  ভীষণ উত্তাল ঝড়ো বাতাসে মুখোমুখি বসি।  খোলা চুল আর অবাধ্য শাড়ির আঁচল  আমার হয়ে বারবার ছুঁয়ে দেবে তোমাকে।   সত্যি বলছি জেনো,   ঝুম বৃষ্টিতে তোমার অভাব বোধ করি খুব। ঝুম বৃষ্টি হলেই ইচ্ছে জাগে হাতে হাত রেখে  ভিজতে আর ঠান্ডায় কেঁপে কেঁপে উঠতে।   সত্যি বলছি জেনো, কদম গাছে থোকা থোকা ফুল দেখলেই কেমন লোভাতুর চোখে তাকিয়ে থাকি  আর ভাবি কোনো এক মেঘলা দিনে  এলোখোঁপায় বৃষ্টিভেজা কদম গুঁজে দেবে।    সত্যি বলছি জেনো,  পূর্ণিমা রাতে তোমাকে খুব ভাবি। কবে খোলা আকাশের নিচে চিৎ হয়ে শুয়ে একসাথে পাগল করা জোছনা দেখবো সেই অপেক্ষার প্রহর গুণে যাই।   সত্যি বলছি জেনো, অন্ধকারকে ভীষণ ভয় পাই। চাই আলোর বলয় হয়ে তোমার ভালোবাসা সারাক্ষণ আমায় ঘিরে থাকুক।   সত্যি বলছি জেনো, রুদ্ধঘরে ভীষণ দমবন্ধ হয়ে আসে। চাই তুমি আমার খোলা জানালা হয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের যোগান নিশ্চিত করো।   সত্যি বলছি জেনো, কলাপাতায় ঘেরা কোনো কুটির দেখলেই তোমার কথা খুব মনে হয়। স্বপ্ন দেখি কোনো একদিন আমাদেরও  এইরকম ছোট্ট একটা কুটির হবে।       সত্যি বলছি জেনো, মাঝে মাঝেই তোমার উপর ভীষণ রাগ হয়; তখন ইচ্ছে করে সামনে পেলে গলা টিপে ধরতে।  অদ্ভুত সব ছেলেমানুষি ব্যাপার নিয়ে ঝামেলা করো।  কবে বড়ো হবে? হ্যাঁ? ৩০.০৪.২০১৫   continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - এ.টি. নূর শেখ লিটা

    বল হে স্বাধীনতা!
    এভাবেই কি চেয়েছিলাম তোমায় প্রিয় স্বাধীনতা?

     

    খুন দারুন বলেছেন। শুভেচ্ছা রইল emoticons

    • - মামুন

      সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

      শুভ সকাল।emoticons

    - রোজী আরেফিন

    বাবার রক্তে ভেজা দেহ শকুনে খুবলেছিল
    ধর্ষিতা বড়দি'র নির্বাক চাহনিতে এখনো রাজ্যের ক্লান্তি, আর
    মৌন মায়ের স্মৃতির বলিরেখায় ঢের জমেছে ধুলো
    এভাবেই তুমি এসেছিলে হে স্বাধীনতা!

    আসলেই কি স্বাধীনতা এসেছে? ভালো লাগল লিখাটি। শুভেচ্ছা জানবেন।

    • - মামুন

      আমি জানি না আসলেই স্বাধীনতা এসেছে কিনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।

      আপনিও শুভেচ্ছা জানবেন।

    - সোহেল আহমেদ পরান

    এভাবেই কি চেয়েছিলাম তোমায় প্রিয় স্বাধীনতা?

    না...।

    ভালো লাগলো কবিতা 

    • - মামুন

      ধন্যবাদ সোহেল ভাই, ভালো লাগা জানিয়ে গেলেন।

      শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

    Load more comments...

অনিকেত নন্দিনী

৮ বছর আগে লিখেছেন

রূপকথার আত্মকথন

আমি রূপকথা। গল্পের রূপকথা নই, মানুষ রূপকথা। বাবা-মা-ভাই-বোনের অতি আদরের রূপকথা। স্কুলের শিক্ষক আর সহপাঠীদের কাছে প্রাণোচ্ছল পরিচিতি পাওয়া রূপকথা। একটা সময়ে কী সব ছেলেমানুষি পাগলামিই না করতাম!  কলেজে পড়ার সময় সামনের বাড়ির নাম না জানা এক সুদর্শন ছেলে ছিল। বহুকষ্টে তার নাম জোগাড় করে একবার তাকে বেনামিতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। একবার ঈদ কার্ড ও পাঠিয়েছিলাম। ঈদের মাস দুয়েক বাদেই তারা তল্পিতল্পা গুটিয়ে কোথায় জানি চলে গিয়েছিলো! মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম সুযোগ পেলে তার কাছে এসবের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবো। তার দেখা আর পাইনি। আহারে! তখন কত সহজ সরলই না ছিলাম! একটুখানি নির্দোষ আনন্দের জন্য কি কি সব কুবুদ্ধি বের করতাম। তখন নিজের অবস্থানটাও কত্তো শক্ত ছিলো! এখনকার মত নড়বড়ে অস্তিত্ববাদী ছিলাম না। তখন দুচোখ জুড়ে কতো স্বপ্ন ছিলো! পুলিশ ইন্সপেক্টর হয়ে বাতাসে ঝুঁটি উড়িয়ে বাইকে চড়ে ঘোরার স্বপ্ন দেখতাম নইলে স্বপ্ন দেখতাম এপ্রন গায়ে চড়িয়ে গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ঘুরছি। আর আজ? আজ আমি পথের ভিখিরিনী। শুধুমাত্র একটা ভুল! একটা ভুল আমার জীবনটাকে লণ্ডভণ্ড করে দিলো। সেই ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে গ্রীবা উঁচু করে ঘুরে বেড়ানো রাজহংসী আজ পথের ধূলোয় লুটোপুটি খায়। সবার সবচেয়ে আদরের মেয়েটা আজ সবার করুণার পাত্রী হয়ে গেছে। আজ চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে ভেজা বালিশে ঘুমাই। যা কিছু অবহেলায় হারিয়েছি, যা কিছু স্বেচ্ছায় ফেলে দিয়েছি সেসবের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। কোনো এক সময়ের অপার সম্ভাবনাময় মেয়েটা আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে ভাবে, দুবেলা দুমুঠো খাবারের কথা ভেবে অস্থির হয়। নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে দিশেহারা হয়। এখন লোকের কটূকথা আর অপমানজনক ব্যবহার মনে কোনো ছাপ ফেলেনা। এই একজীবনে এত বেশি হোঁচট খেয়েছি যে বোধ-শোধ যাওবা ছিল সব ভোঁতা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    নতুন বাসায় পাখিরা খোঁজে জীবনানন্দ।

    পাখিদের সাথে আমিও খুঁজছি জীবনানন্দ ! আপনি পেয়েছেন কি ?

    - মামুন

    নতুন বাসায় পাখিরা খোঁজে জীবনানন্দ। - বাহ! চমৎকার লাগল।

     

    শুভ সকাল প্রিয় কবি!emoticons

অনিকেত নন্দিনী

৮ বছর আগে লিখেছেন

জীবনস্রোতে ভাসা মোহনা

স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। বাচ্চারা সবাই বাড়ি চলে গেছে। মোহনা স্কুল ভবনের পাঁচতলায় বসে আছে। তার ছুটি হয়নি। শিক্ষকদের ছুটি হয় দেরিতে। সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে নেয়ে সাফ সুতরো হওয়া কদম গাছ দেখছে। রোদের আলো পড়ে ঝকঝক করছে গাছের পাতাগুলি। বৈশাখ শেষ, যখন তখন হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে। আর কদিন পরেই ফুল ফোটাবে গাছটা। ফোঁস করে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে চোখ ফিরিয়ে নিলো মোহনা। এসব দেখতে আর আগের মতো ভালো লাগেনা। প্রকৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় এখন তার নেই। নিজের জীবন নিয়ে ভেবেই সে অস্থির হয় আজকাল।    মোহনা নিজের জীবন নিয়ে ভাবেনি কখনোই। স্বামী, সন্তান, সংসার নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ততার ভেতর সময় কাটিয়েছে। দেবর-ননদ-শ্বশুর-স্বাশুড়ির প্রত্যেকটা খুঁটিনাটি সমস্যা নিজে দেখেছে। একান্নবর্তী সংসার না হবার পরেও মোহনা দুই ননদকে তিন চার বছর নিজের কাছে রেখে বিয়ে দিয়েছে। তাদের বিয়ের পর বিয়ে পরবর্তী প্রত্যেকটা আচার অনুষ্ঠান নিজের হাতে করেছে। বিয়ের পরেও ননদ দেবরদের অসুবিসুখে সবার আগে ছুটেছে। সেই মোহনা আজ একা। শূন্য হাত। সব কিছু খেয়াল করতে গিয়ে, সবাইকে খেয়াল করতে গিয়ে সে নিজের ভবিষ্যতের দিকে তাকায়নি।    মোহনা নিছক মনের টানে পিয়াসের কাছে গিয়েছিলো। পিয়াসের অর্থ-শিক্ষা-পারিবারিক যোগ্যতা কিছুই নেই জেনেও নিজের ভবিষ্যৎ, পরিবার-পরিজন সব ফেলে এক কাপড়ে ছুটে গিয়েছিলো। এমনকি পিয়াস প্রেম করে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে তার সাথে কয়েক মাস সংসার করেছে জেনেও সে অকপটে পিয়াসকে বিয়ে করেছে। একটা সময়ে পিয়াসের অর্থ, বিত্ত, প্রভাব সবই হলো কিন্তু ওসবের সাথে সাথে সে নিজেও বদলে গেলো। নারীলিপ্সু পিয়াসের কাছে মোহনা সঠিক মূল্যায়ন পায়নি। না পেয়েছে কোনো সম্মান, না পেয়েছে কোনো গুরুত্ব। বহুগামি পিয়াসের অপরিসীম জৈব পিপাসা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    তবুও জীবন শানিত হয়
    বাঁচার প্রবল স্পৃহা অক্টোপাশের মতো ঘিরে রাখে
    ঐ যে মখোশের আঁড়ালে ঢাকা সর্বনাশ।

    কবিতার প্রেমে পড়ে পাঠকেরও যে সর্বনাশ ! সুন্দর হয়েছে !

    - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    তবুও জীবন শানিত হয়
    বাঁচার প্রবল স্পৃহা অক্টোপাশের মতো ঘিরে রাখে
    ঐ যে মখোশের আঁড়ালে ঢাকা সর্বনাশ।

     

    খুব সুন্দর

     

    - সুমন সাহা

    খুব ভালো লাগলো লেখা।

    শুভেচ্ছা জানবেন।

অনিকেত নন্দিনী

৮ বছর আগে লিখেছেন

রূপান্তর

কোনো এক সময়ের ঘর আজ ফ্ল্যাট হয়ে গেছে
বহু পরিচিত গৃহকোণ, আঙিনা, আসবাব
আগের মত করে টানেনা আর
কেমন করেই টানবে?
একদা যে শয্যা ছিলো একান্ত আমার
নিজের চোখে দেখেছি তাতে অন্যের অধিকার
বারবনিতার সাথে মিলনের প্রকট নগ্নছাপ
বীর্য আর যোনিরসের উৎকট গন্ধওয়ালা চাদর
দুমরানো মোচড়ানো বালিশ, কম্বল;
এখন দুচোখে অমানিশার অন্ধকার
হৃদয় জুড়ে হাজারো শংকা
বুকচেরা দীর্ঘশ্বাসের আনাগোনা চলে হরদম
প্রতি নিশ্বাসে লেপ্টে থাকে অচেনা ভয়
কি আছে সামনে? আর কতোটা কষ্ট পেতে হবে?
আর কতোখানি অপমান অপেক্ষা করে আছে?
এ সব প্রশ্নের উত্তর পাবার আশায়
ঘোলাচোখে তাকিয়ে থাকি ভবিষ্যতের দিকে,
শূন্যতা ছাড়া কিছুর দেখাই পাইনা। continue reading
Likes Comments
০ Shares

অনিকেত নন্দিনী

৮ বছর আগে লিখেছেন

বিবর্তন

হ্যাঁ। পাথর হয়ে গেছি।
কিইবা আর করার ছিলো?
বিরতিহীনভাবে একের পর এক ঘাত প্রতিঘাত
ঠেকাতে ঠেকাতে
শেষ পর্যন্ত পাথর হয়েই গেলাম।
এখন দেহ - মন - আত্মা বলে কিছু নেই
রাগ - অনুরাগ, ভাব - ভালোবাসাও নেই
সব কিছুই জমাট বেঁধে
কঠিন পাথর হয়ে গেছে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মামুন

    শুভেচ্ছা রইলো...emoticons

    • - আমির ইশতিয়াক

      ধন্যবাদ মামুন ভাই। emoticons

    - সুমন সাহা

    সমর্থনের ছাপ সংখ্যায় রেখে গেলাম। শুভেচ্ছা রইলো।

    • - আমির ইশতিয়াক

      সুমন ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

    - সোহেল আহমেদ পরান

    ভালো লিখেছেন আমির ভাই।

    শুভেচ্ছা ও সমর্থন রইলো emoticons

    • - আমির ইশতিয়াক

      ধন্যবাদ পরান ভাই। ভাল থাকবেন।

    Load more comments...
Load more writings...