Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিপুল হাজং

৭ বছর আগে লিখেছেন

চা-শ্রমিকের বন্দিজীবন

কথা ছিলো,‍‍ “পাহাড় ঘেরা দেশে একটা চমৎকার বাগান, যেখানে গাছের পাতাটি খাঁটি সোনার। কেউ যদি ঝাঁকুনি দেয় অমনি ঝরে পড়ে সোনার পাতাগুলো।” বস্তুত, তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় পানীয় চা-শ্রমিকদের দাসত্বের জীবণ আর তাদের জীবন-বঞ্চনার করুন গাঁথা।
প্রায় পাঁচপুরুষ আগে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে চলে আসা তাদের জীবন আবদ্ধ হয়ে আছে মধ্যযুগীয় ভূমিদাসদের মতই বাংলাদেশের লেবার লাইনের কুঁড়েঘরে। আদিবাসী ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু তথা দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের ব্রিটিশ কোম্পানীগুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নিয়ে এসেছিলো সিলেট এলাকার চা-বাগানগুলোতে এক বেদনাময় অভিভাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জানা যায়, শুরুর কয়েক বছরে ক্লান্তিকর দীর্ঘ যাত্রা, কঠিনতর কর্ম এবং প্রতিকুল কর্মপরিবেশ এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের করুণ মৃত্যু ডেকে আনে।
কোম্পানীগুলোর সাথে চার বছর মেয়াদী চুক্তির পর দেরশ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো কোন পরিবর্তন ঘটেনি তাদের লেবার আইনে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ জীবনচক্রে। এদেশের নাগরিক এবং ভোটার হলেও জমির ওপর তাদের নেই কোন অধিকার। সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিক সুবিধা পাবার বদলে যেন সকল রকম বঞ্চিনাই প্রতিনিয়ত তাদের নিত্যসঙ্গি। বর্তমানে তিন ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজরী সবোর্চ্চ ৬৭ টাকা। প্রখর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আর দাঁড়িয়ে কাজ করে এত কম মজুরীর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা ভুগছে অপুষ্টিতে, নিরক্ষরতায়, সামাজিক মর্যাদায় ।
বর্তমানে সিলেট, মেৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে যে সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ চা-শ্রমিক হিসেবে বসবাস করে আসছে সেগুলো হচ্ছে, বারাইক, বিহারি, পাহান, তেলেগু, বানাই, বাউরি, মুন্ডা, বীন, ভূজপুরি, ভূমিজ, বোনাজ চেৌহান, গন্ডো, গুর্খা, গারো, সান্তাল, ওরাও, খারিয়া, কন্দ, মাদ্রাজি, মুশহর, নায়েক, নুনিয়া, উড়িয়া, পানিকা, বাশফোর, কৈরি, বাকদি, কান্দিলি, রাউতিয়া, গোয়ালা, গর, রাজবর, মৃধা, মাহালী, পাত্র, শব্দকর, পাহাড়ী, তেলী, পাশি, দোশাদ, রবিদাস, তাঁতী... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    এখনেই শেষ ! শেষ হল না মনে হল ...

বিপুল হাজং

৭ বছর আগে লিখেছেন

বৈশাখী দহন

আদিবাসী কাব্য ও কবিতা (বিরহ সংকলন)
----------------------------
বৈশাখী দহন
>>>>>>>
হঠাত ঝড়ের ক্ষিপ্রতায় 
উড়ে চলে আশ্রয়ের কুটির, দেবালয়, 
বৃক্ষ, তুলশীতলা, ঝোপঝাড়, নিস্বর্গ জীবন । 
বৈশাখী আগুনে পুড়ে গেছে স্মৃতিঘর
তকলে বন বনাশ্রয় ভূমি জন্মভূমি
বাস্তুদেবতার দীপশিখা শ্বাশ্বত মাটির গন্ধ
শিমূলের রাঙা বন বিস্তির্ণ বনাঞ্চল ।
হাল-গেরস্তি নেই, নেই হিসেবের খাতায় হালখাতা,
বন্ধ্যা সন্ধ্যায় নেই প্রহরের শীতলতা,
সারিসারি পায়ের মুদ্রায় তাল নেই
জলাশয়ে জলকন্যার জাখায়,
মনে নেই সুখ-দু:খ, হাসি-আনন্দ-বেদনা, 
বিরহ-মিলনের বারোমাসী গান ...
ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ দগ্ধ স্তদ্ধ হয় উলুধ্বণী, 
মৃদঙ্গের তাল, সজল জলঝিরি !
অভিমানে নির্বাক নিয়তির জাগরণ,
সংহতি অধিকার সকলই তল্পিবাহক সংক্রান্তির ...
পরপুরুষের পরবাসী করুণার আলিঙ্গনে
পিঠা-পায়েশ মুড়ি-মুড়কি-বাতাসার সংসার 
ঝলসে গেছে তপ্তছলে ছলছল জ্বলজ্বল বৈশাখ !
ছবিঘরে আসেনা হাসেনা ভাসেনা ক্ষয়িষ্ণু মানুষের জনপদ,
শূণ্য পায়ে চলি অনিবার্য নিত্য নিয়তির 
বৈশাখী বরণ রুক্ষ কাঁটাবন !
জননীর শীতল আঁচল হারানোর ব্যাথা সেই বোঝে
যে হারিয়েছে কখনও বৈশাখী দহনে ...
-----------------------------------
শব্দার্থ : - জাখা- হাজং, কোচ, বানাই, ডালুদের মাছধরার কুটির নির্মিত যন্ত্র বিশেষ ।
তকলে বন - পাহাড়ের সুস্বাদু ফলের বন।
-----------------------------------
বিপুল হাজং-এর আদিবাসী কাব্য ও কবিতা
continue reading
Likes Comments
০ Shares

বিপুল হাজং

৯ বছর আগে লিখেছেন

হাজং রমণীদের বারোমাসী গানঃ ঐতিহ্যবাহী রসিগীত (অনুবাদ)

( বিঃদ্রঃ হাজং জাতিসত্তার সংস্কৃতি বাংলার সংস্কৃতিকে করেছে বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ । বাংলা ভাষী এবং বাংলা জানেন এমন অন্যদের কাছে উপস্থানের জন্য এই অনুবাদটি করেছি )
 
এই গীত হাজং রমণীদের বারোমাসী গানঃ ঐতিহ্যবাহী রসিগীত যাকে বাংলায় অনুবাদ করলেঃ-
 
০১ । অগ্রাহায়ন
 
সাধুরে,
আগুন মাসে গো সাধু ক্ষেত ভরা ধান ,
কেহ কাঁটে, কেহ মারায়, কেহ করে নবান ।
নবান করিয়া সাধুরে মহানন্দে খায় ,
সেই সময় আমার সাধু বানিজ্যেতে যায় ।
বানিজ্যেতে গিয়ে সাধু আমায় রইলে ভুলে ,
ধরেছে ডালিম ফল খেতে না দিলে ।
কাঁচা ডালিম খেলে সাধু দাঁতে লাগে কষ ,
পাঁকা ডালিম খেলে সাধু মিলে মধুর রস ।
সাধুরে, সেই মাস গেলো সাধু এই মাস গেলো,
কান্দে যুবতী কন্যা হাত দিয়ে কপালে ।।
........................................
 
০২ । পৌষ 
 
সাধুরে,
পৌষ মাসে গো সাধু পুঁজি অধিকারী ,
পতি ভক্তি করে যারা ভাগ্যবতী নারী ।
পতি ধন, পতি মন, পতি সকল সার ,
পতি বিনে নাইরে গতি এই ভব সংসার ।।
সাধুরে, সেই মাস গেলো সাধু এই মাস গেলো,
কান্দে যুবতী কন্যা হাত দিয়ে কপালে ।।
............................................
 
০৩ । মাঘ
 
সাধুরে,
মাঘ মাসেতে সাধু লাগে ভীষন জার ,
কাঁথা-বালিশ নিয়া আমি কান্দি বারে বার ।
সাধু আমার শীতের কাঁথা সাধু আমার প্রান ,
ঘরে থাকলে সাধুরে আমি জড়িয়ে শুইতাম ।
সাধু আমায় গেছে ফেলে দূর পরবাসে ,
এত বেশী শীতে আমার কেমনে প্রাণ বাঁচে ।।
সাধুরে, সেই মাস গেলো সাধু এই মাস গেলো,
কান্দে যুবতী কন্যা হাত দিয়ে কপালে ।।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    তোমারে রহিব সহসা আমার,

    তীক্ষ্ন অভয় লেখনীতে।

    অথবা তোমারে নগ্ন করিব,

    পথে-ঘাটে, সীমাহীন জনস্রোতে।

     

    অসাধারণ চরণের সমষ্টি অসাধারণই লাগলো। শুভ কামনা রইল কবি

    - মাসুম বাদল

    নির্ভীক কলম আমি, বিদ্রোহী দাবানল,

    তোমারে রহিতে মগ্ন আমি, দুর্নিবার চিরকাল।

     

     

    দারুণ...

    নক্ষত্র ব্লগ-এ কবিকে স্বাগত জানাই...

    - আদম সন্তান

    চমৎকার, শুভ হোক আপনার ব্লগিং.................

    Load more comments...

বিপুল হাজং

৯ বছর আগে লিখেছেন

হাজং সংস্কৃতির ঘুম পাড়ানো ছড়াঃ সংগ্রহ ও অনুবাদ

এসো এসো জোঁনাকীর দল
তাঁরা পাতায় ভাত দেবো
শুটকী মাছের ভর্তা দেবো
রাত হলে ঘুমোতে দেবো
রাত পোহালে তারিয়ে দেবো ।
দিন হলে ওগো সোনা তুমি
কেঁদো না গো কেঁদো না ।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    রথি দা

    শ্রীলংকা ক্রিকেটদের অভিনন্দন--------

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      ধন্যবাদ লিটন ভাই।

    - জোকার ৫৩

    সবচেয়ে ভদ্র,শালীন ও শৃংঙ্খলাবদ্ধ দল হিসাবে শ্রীলংকার শিরোপা প্রাপ্য ছিল ৷ পরিশ্রম ও সাধনার যোগ্য পুরষ্কার ৷ আমরা কবে যে শিখতে পারুম?

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      জোকার ভাই সহমত। আমার দেখা এবারের সেরা দল। যারা শেষ বলেও ভরসা হারায়না।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    এবার লংকানদের পারফর মেন্স শুরু থেকেই ভালো লেগেছে।

    এটা তাদের প্রাপ্য

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      পাশা ভাই ১০০% প্রাপ্য। একটা জিনিষ লক্ষ্য করেছেন বাংলাদেশ তাদের জন্য এবারের লাকি গ্রাউন্ড।