কথা ছিলো, “পাহাড় ঘেরা দেশে একটা চমৎকার বাগান, যেখানে গাছের পাতাটি খাঁটি সোনার। কেউ যদি ঝাঁকুনি দেয় অমনি ঝরে পড়ে সোনার পাতাগুলো।” বস্তুত, তখন থেকেই শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় পানীয় চা-শ্রমিকদের দাসত্বের জীবণ আর তাদের জীবন-বঞ্চনার করুন গাঁথা।
প্রায় পাঁচপুরুষ আগে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে চলে আসা তাদের জীবন আবদ্ধ হয়ে আছে মধ্যযুগীয় ভূমিদাসদের মতই বাংলাদেশের লেবার লাইনের কুঁড়েঘরে। আদিবাসী ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু তথা দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের ব্রিটিশ কোম্পানীগুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নিয়ে এসেছিলো সিলেট এলাকার চা-বাগানগুলোতে এক বেদনাময় অভিভাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জানা যায়, শুরুর কয়েক বছরে ক্লান্তিকর দীর্ঘ যাত্রা, কঠিনতর কর্ম এবং প্রতিকুল কর্মপরিবেশ এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের করুণ মৃত্যু ডেকে আনে।
কোম্পানীগুলোর সাথে চার বছর মেয়াদী চুক্তির পর দেরশ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো কোন পরিবর্তন ঘটেনি তাদের লেবার আইনে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ জীবনচক্রে। এদেশের নাগরিক এবং ভোটার হলেও জমির ওপর তাদের নেই কোন অধিকার। সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিক সুবিধা পাবার বদলে যেন সকল রকম বঞ্চিনাই প্রতিনিয়ত তাদের নিত্যসঙ্গি। বর্তমানে তিন ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজরী সবোর্চ্চ ৬৭ টাকা। প্রখর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আর দাঁড়িয়ে কাজ করে এত কম মজুরীর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা ভুগছে অপুষ্টিতে, নিরক্ষরতায়, সামাজিক মর্যাদায় ।
বর্তমানে সিলেট, মেৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে যে সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ চা-শ্রমিক হিসেবে বসবাস করে আসছে সেগুলো হচ্ছে, বারাইক, বিহারি, পাহান, তেলেগু, বানাই, বাউরি, মুন্ডা, বীন, ভূজপুরি, ভূমিজ, বোনাজ চেৌহান, গন্ডো, গুর্খা, গারো, সান্তাল, ওরাও, খারিয়া, কন্দ, মাদ্রাজি, মুশহর, নায়েক, নুনিয়া, উড়িয়া, পানিকা, বাশফোর, কৈরি, বাকদি, কান্দিলি, রাউতিয়া, গোয়ালা, গর, রাজবর, মৃধা, মাহালী, পাত্র, শব্দকর, পাহাড়ী, তেলী, পাশি, দোশাদ, রবিদাস, তাঁতী... continue reading
প্রায় পাঁচপুরুষ আগে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে চলে আসা তাদের জীবন আবদ্ধ হয়ে আছে মধ্যযুগীয় ভূমিদাসদের মতই বাংলাদেশের লেবার লাইনের কুঁড়েঘরে। আদিবাসী ও নিম্ন বর্ণের হিন্দু তথা দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের ব্রিটিশ কোম্পানীগুলো ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নিয়ে এসেছিলো সিলেট এলাকার চা-বাগানগুলোতে এক বেদনাময় অভিভাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। জানা যায়, শুরুর কয়েক বছরে ক্লান্তিকর দীর্ঘ যাত্রা, কঠিনতর কর্ম এবং প্রতিকুল কর্মপরিবেশ এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের করুণ মৃত্যু ডেকে আনে।
কোম্পানীগুলোর সাথে চার বছর মেয়াদী চুক্তির পর দেরশ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো কোন পরিবর্তন ঘটেনি তাদের লেবার আইনে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ জীবনচক্রে। এদেশের নাগরিক এবং ভোটার হলেও জমির ওপর তাদের নেই কোন অধিকার। সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিক সুবিধা পাবার বদলে যেন সকল রকম বঞ্চিনাই প্রতিনিয়ত তাদের নিত্যসঙ্গি। বর্তমানে তিন ক্যাটাগরিতে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজরী সবোর্চ্চ ৬৭ টাকা। প্রখর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আর দাঁড়িয়ে কাজ করে এত কম মজুরীর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা ভুগছে অপুষ্টিতে, নিরক্ষরতায়, সামাজিক মর্যাদায় ।
বর্তমানে সিলেট, মেৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে যে সকল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ চা-শ্রমিক হিসেবে বসবাস করে আসছে সেগুলো হচ্ছে, বারাইক, বিহারি, পাহান, তেলেগু, বানাই, বাউরি, মুন্ডা, বীন, ভূজপুরি, ভূমিজ, বোনাজ চেৌহান, গন্ডো, গুর্খা, গারো, সান্তাল, ওরাও, খারিয়া, কন্দ, মাদ্রাজি, মুশহর, নায়েক, নুনিয়া, উড়িয়া, পানিকা, বাশফোর, কৈরি, বাকদি, কান্দিলি, রাউতিয়া, গোয়ালা, গর, রাজবর, মৃধা, মাহালী, পাত্র, শব্দকর, পাহাড়ী, তেলী, পাশি, দোশাদ, রবিদাস, তাঁতী... continue reading
Comments (3)
এখনেই শেষ ! শেষ হল না মনে হল ...