ব্লগে এটি আমার প্রথম লেখা।কি বিষয় নিয়ে লিখবো ভাবতে ভাবতে যখন কিছু মুহূর্তের ’টেনশন’,’টেনশন’-এ জর্জরিত তখন মাথায় এলো খেলা দিয়েই শুরু করি না।টি-২০ মৌসুম বলে কথা।
বর্তমান প্রেক্ষাপটের আগে একটু অতীতে যাই,যেখানে খেলা দেখার কিছু অন্যরকম অভিজ্ঞতা আছে...
ছোট বেলা থেকেই ভাইয়ের মুখের বুলি শুনতে শুনতে খেলা সম্পর্কে বেশ ভাল ধারণা হয়ে গিয়েছিল।এবৎকাকতালীয় অথবা যেভাবেই হোক যেকোন ধরণের খেলায় আমার এবং ভাইয়ার টীম ছিল বিপরীত।যেমন-আমি ভারত-ভাইয়া পাকিস্তান,আমি আর্জেন্টিনা-ভাইয়া ব্রাজিল এরকম.।।।
দুঃখের সাথেই বলতে হচ্ছে তখন বয়সের মর্মে দেশপ্রেমটাও বুঝতে শিখি নাই যার কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের খেলা হলেও ভারতের সাপোর্টেই যেতাম।বেশ হীনমন্ন্যতায় ভুগি এখন এটি ভাবলে কত যে চোখের জল ফেলতাম ভারত হারলে।হাহাহাহা!!!আমি তখন আবেগে আকূল-বেকূল দুকুলের মাঝে।
সময়টা ২০১০ সালে।বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ;যেটিকে আমরা এখন “প্রথম বাংলাওয়াশ” বলে জানি।তৃতীয় ওয়ানডেটি দেখতে যাই স্টেডিয়ামে,যেটি আমার প্রথম মাঠে বসে খেলা দেখা।
নিউজিল্যান্ডকে সেই ম্যাচে হারানোর উল্লাস এখনো চোখ বুজে যখন কল্পনা করি তখন অজান্তেই মনের ভেতর শিহরণ বয়ে যায়।আমার দুজন বন্ধু সাথে ছিল।একজন এখানকার নিয়মিত ব্লগার আহা!!!কি ছিল সেদিন.. সেদিন বুঝেছি দেশপ্রেম কাকে বলে,যখন প্রতি মুহূর্তে পতাকার উত্তোলন দেখে গায়ের রোম গুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল।
এরপরে বাংলাদেশ টীমকে খুব কমই পেছন ফিরে তাকাতে হয়েছে।আমার মধ্যে যে চেতনা জেগেছিল সেদিন থেকে সেই চেতনা এখন পুরো আঠারো কোটি জাতির মধ্যেই দৃশ্যমান।আজ আমরা ক্রিকেট বলতে সজ্ঞানে অজ্ঞান,ক্রিকেট আজ আমাদের হাসি,আনন্দ,ক্রিকেট আজ আমাদের চোখের জল।
সেদিনের সেই ম্যাচের পর থেকে আমি ভারতের কোনো ম্যাচ আর মনোযোগ দিয়ে দেখিনি।আর এখন???ভারত-পাকিস্তানের যে লড়াই দেখার জন্য সাতদিন আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া সেই আমি এখন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচকে বেশি গুরুত্ব দেই
টি-২০ বিশ্বকাপের বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং সুপার টেনের দুটি ম্যাচ বাদে আর একটি ম্যাচও দেখিনি।এখন আর অন্য দলের খেলা ভাল লাগে না।বাংলাদেশ হারছে,কিছুক্ষণ মন খারাপ করে কয়েক মুহূর্ত পর আবার সব ঠিক।আর তার দুদিন পর???আবার সেই আশায় বুক বাঁধা।আমার দেশ পারবেই ইনশাল্লাহ।
আজ না হয় কাল,কাল না হয় পরশু,পরশু না হয় তরশু;তো কি?আমি অপেক্ষা করতে রাজি।গতকাল তামিমের আউটটা দেখার পর ভীষণ রকম মেজাজ খারাপ হয়েছিল।এখন যখন লিখছি তখন কিন্তু মনের ভেতর আশার সেই প্রদীপ আবার মিটমিট করে জ্বলে উঠছে
জানি জ্বলবেই।দমকা ঝোড়ো হাওয়ায় জাহাজ একটু হেলেদুলে উঠলেই যে ডুবে যাবে তা কিন্তু নয়।আমার,আমাদের বাংলাদেশের সেই ছেলেগুলো একটু হেলে পড়েছে।তো কি হয়েছে?আমরা সাথে আঠারো কোটি আছি না???শক্ত পায়ে দাঁড় আমরাই করাতে পারবো।সাকিব-তামিম-মুশফিক আমাদের প্রতিনিধি,আমাদের দেশের অহংকার।ওদের ভেতরে লড়াই করার বীজ বুনে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।
ওরা পরাস্ত হতে চাইলেও আমরা হতে দিবো না।লড়াই করার মানসিকতা আমাদের সবসময় আছে,সেই চেতনা বুকে ধারণ করে আমরা এগুবো।
বিজয়???
আসবেই....
Comments (4)
কাটাবনের সীমানায় অন্তহীন যাত্রা
বেজেছে শঙ্খধ্বনি এসেছে শুভবার্তা
চমৎকার...
অনাবিল ধন্যবাদ
বা সুন্দর
স্বাধীনতার শুভেচ্ছা রইল
ভাল থাকুন
অনাবিল ধন্যবাদ