অনেক দিন পর অর্কের স্কুল চলাকালীন সময়ে তার স্ত্রী ইশিতা তাকে ফোন করল। -হ্যালো অর্ক। -হ্যাঁ বল। -আজকে বিকালে একটু বাইরে ঘুরব প্লিজ। -আমিও তাই ভাবছিলাম। -কোনো প্ল্যান ছিল নাকি? -ছিল বৈকি। এখনও আছে। -কি প্ল্যান, শপিং? -উঁহুঁ। -তাহলে কি? -মুভি। -মুভি!কি মুভি?কোথায়? -স্টার সিনেপ্লেক্সে।Frozen. -কেমন মুভি?আগে দেখছ নাকি? -হ্যাঁ, তোমাকে পচা মুভি দেখাব নাকি? -ভালো না হলে কিন্তু তোমাকে...... -Trust me babe. -আচ্ছা। -বাই,আমাকে এখন ক্লাসে যেতে হবে। -Ok sweetheart,bye. অর্ক আর ইশিতা হল থেকে বের হয়ে বাড়ি যাবে। অর্ক আর ইশিতা রিকশায় উঠল।রাস্তাটা আজ কেমন ফাঁকা ফাঁকা। অর্ক রিকশা ভাড়া মিটয়ে জিজ্ঞেস করল -মুভি কেমন লাগল,ইশিতা? -Awesome. -মিউজিকাল মুভি তো তোমার আবার ভালো লাগে না। -এইটা লাগছে। খুবি সুন্দর। -তাহলে আমাকে কি দেবে? -কি নেবে? -ও মা!আমি বলব কেন?তুমি কি দেবে এখন সেটাই হচ্ছে বিষয়। -একটা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার হলে কেমন হয়? -ক্যান্ডেল লাইট ডিনার? -হুম। -চরম হয় চরম।আইস্ক্রীম খাবে? -হ্যাঁ খাব। -চাচা,রিকশাটা দাঁড় করান তো। অর্ক রিকশা থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে আইস্ক্রীম কিনতে গেল।আইস্ক্রীম কিনছিল ওই সময় কোথা থেকে মেয়েলি কন্ঠে একটা চিতকার ভেসে এল।আইস্ক্রীম নিয়ে বের হয়ে দেখল রাস্তার মাঝে মানুষের জটলা।সে ভিড় ঠেলে গিয়ে দেখে ইশিতা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে আছে। -ইশিতা কথা বল,ইশিতা।Talk girl.Talk damn it.ভাই কেউ একটা ক্যাব ডাকেন ভাই।তারাতারি।আমার স্ত্রী মারা যাচ্ছে ভাই তারাতারি। ইশিতা কে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।তার খুব খারাপ অবস্থা। -অ...র...ক -বল সোনা বল। -আমার.... সময়.... শেষ..... হয়ে.... এসেছে।My heart...... is..... turning..... frozen. -না না। তোমার কিচ্ছু হবে না।আমি কিচ্ছু হতে দেব না।এইতো আর একটু পর তুমি ভালো হয়ে যাবে।বাড়িতে গিয়ে আমরা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার...
continue reading
Comments (3)
গানের কথাগুলো খুবি লাগল
অভিনন্দন কবি কে-----
অনেক ধন্যবাদ আলমগীর সরকার লিটন ভাই ও
মন ভুলেছে তোরই প্রেমে
তোর স্টেশনেই গেছে থেমে
তুই ছাড়া আজ একলা আমি
শুধুই যাযাবর।।
খুব খুব ভাললাগা জানালাম...
অনেক ধন্যবাদ মাসুম বাদল ভাই।
চমতকার চালিয়ে যান।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ