Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোহাম্মদ শেমভীল হোসেন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ভ্যালেন্টাইন্স ডে স্পেশালঃ -আমার যত গার্লফ্রেন্ড (ভার্শন 2015)

প্রেম বড়ই আজব জিনিস
শুধুই মাথায় ঘোরে,
মিলির প্রেমে পড়লাম আমি
যখন ক্লাস ফোরে।

টিফিনেতে লুকিয়ে দুজন
কতই খেতাম আচার,
ক’দিন পরেই সে চলে যায়
ঢাকায় বাসায় চাচার।
***
তুলির প্রেমে পড়ি আমি
যখন ক্লাস নাইন,
দামি গিফট দিয়ে বলি
‘হ্যাপি ভ্যালেনটাইন’।

জবাবে সে চেঁচিয়ে বলে
দেখিয়ে তার হাত,
“ভাইয়া যদি জানতে পারে
তুলবে তোমার দাঁত”।

***
পাশের ফ্লাটে নতুন আসা
মেয়েটি চমৎকার,
বাকি জ়ীবন তাকে নিয়েই
করে দেব পার।

প্রোপ্রজ করতেই হেসে বলে
“তমি এখন সর,
কম করেও আমি তোমার
বছর তিনেক বড়”।
***
রুনার কথা একটু শুনে
রাখুন নলেজে,
শুক্রবারেও দেখতে তাকে
যেতাম কলেজে।

ডেটিং এতে ধরা খেয়ে
পেয়ে গেলাম টিসি,
পাড়া-পড়শী রাস্তাঘাটে
দেখলেই বলে ছিছি !!
***
ফেসবুকেতে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
চ্যাটে পরিচয়,
মলির সাথে জমছে বেশ
প্রেমটা যদি হয়।

এরই মাঝে আরেক ছেলে
করায় হৃদয় হ্যাক,
মলি ডিলিট করে আমায়
আমি খেলাম ছ্যাক।
***
ভার্সিটিতে যাকেই দেখি
তাকেই লাগে ভালো,
এরই মাঝে অন্যতম
মেয়েটির নাম আলো।

দু’হাত তুলে মিনতি করি
তোমায়ই আমি চাই,
জবাব আসে-“স্যরি ভাইয়া,
সিট যে খালি নাই”।
***
অফিসেতে পাশের সিটে
সুন্দরী এক মেম,
আশায় আছি এবার বুঝি
হয়েই যাবে প্রেম !!

আবার ছ্যাঁক খেলাম আমি
মাত্রাটা বেশ হিউজ,
তার বিয়ের খবর টা যে
হার্ট ব্রেকিং নিউজ।
 ****
জলি, পলি ডলিরাতো
খুবই কাছের ছিল,
এমন দিনে ভাবছি বসে
ছ্যাকাটা কে দিল!!


হায়রে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

মোহাম্মদ শেমভীল হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

স্টুডেন্ট লাইফের থিম সং !!!

চার বছরে প্রতিদিন সিক্সটিন সিক্সটিন
ঘন্টা ধরে আড্ডা হাউ এক্সাইটিং !
এক্সাম ইজ ওয়েটিং
টেনশান টেনশান।
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং
কাল পরীক্ষা হই হই
নোটখাতাটা গেল কই,
কাল পরীক্ষা হই হই
সিজিপিএ গেল কই।
Whole  সেমিস্টার টাঙ্কি মারিং টাঙ্কি মারিং
ব্লকবাস্টার বাঁশ ওয়েটিং বাঁশ ওয়েটিং,
সব পোলাপান শাউটিং বুমবাস্টিং রকিং
নেতারা সব ডেয়ারিং
সব টিচারই হিয়ারিং।
কালকে হবে  ফাইনাল এক্সাম
দুঃখের সীমা নাই,
সাদা খাতা জমা দেব
একি  সাথে  সবাই।
 
নাই  নাই  আশা যে  নাই
যাই যাই পালিয়ে যাই,
চল সবাই  একি  সাথে
ফেল মারার নিশান উড়াই।
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং
কাল পরীক্ষা হই হই
নোটখাতাটা গেল কই,
কাল পরীক্ষা হই হই
পড়াশুনা গেল কই।
প্রশ্নের সাথে রেষারেষি
মাথা ঘুরবে বেশি বেশি,
পাস-ফেলের  রাগারাগি সব
নকল ভাগাভাগি।
এমন  গাধা স্টুডেন্ট
কেউ দেখেনি আগে,
অবাক  চোখে  দেখরে সবাই  
কেমনে যে ফেল মারে !
কাল পরীক্ষা হই হই
নোটবইটা গেল কই,
কাল পরীক্ষা হই হই
পড়াশুনা গেল কই।
কাল পরীক্ষা হই হই
নোটখাতাটা গেল কই,
কাল পরীক্ষা হই হই
সিজিপিএ গেল কই।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    khub shundor

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    সমকালীন কবিতা।

    আমরা রাস্ট্রযন্ত্রের হাতে বন্দি

মোহাম্মদ শেমভীল হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন!!

একা আছি ভালোই আছি
নেইতো সাথে মেম,
বিয়ের পরেই করব না হয়
বউয়ের সাথেই প্রেম।
***
হবার ছিল অনেক কিছুই
হয়নি কিছুই তার,
সেসব কথা শুধু ভেবে
নেইতো লাভ আর।
***
আশেপাশের মানুষজনকে
ভালোবেসেই দেখো,
মা-বাবাকে নিজের কাছে
আপন করেই রেখো।
***
প্রিয়জনের সাথে সবার
দিনটা কাটুক ফাইন,
শুনিয়ে আজ বলছি শুধু
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - ধ্রুব তারা

    শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সবাইকে। 

    - সুখেন্দু বিশ্বাস

    সকল বিজয়ী বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।  

    - জাহাঙ্গীর আলম

    সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

    Load more comments...

মোহাম্মদ শেমভীল হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঘরজামাইয়ের চিঠি!!!

শ্রদ্ধেয় শ্বশুড় আব্বা,
এক বুক যন্ত্রনা,আধা পাতিল দুঃখ, এক মুঠো জ্বালা,দুই কাপ ক্ষোভ, তিন চামচ লজ্জা আর এক চিমটি রাগ নিয়েই বলতে হচ্ছে আমাকে-
গাধার মত খাটি
সারাদিন তবুও জোটেনা কামাই,
বউয়ের কথায় উঠি-বসি
আমি এক ঘরজামাই!
জ্বি আব্বা, আমিই সেই হতভাগা ঘরজামাই।ডিগ্রী পাসের পর যখন আমি চাকরি খোঁজার নামে জুতার তলা ক্ষয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই আপনার মেয়ের সাথে আমার উথাল-পাথাল পিরিতির খবর দু’বাসায় জানাজানি হয়ে যায়। ফলাফল, আমার বাবার হোটেল থেকে অর্ধচন্দ্র লাভ এবং লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে ঘরজামাইরুপে আপনার হোটেলে পদার্পন। সেদিন থেকেই গলায় অদৃশ্য এক দড়ির উপস্থিতি অনুভব করতে থাকি যে দড়ির অপর প্রান্তে কখনো স্ত্রী,কখনো আপনারা, এমনকি মাঝে মাঝে কাজের বুয়াও থাকে!ঘরজামাই হলেও তো আমি জামাই,না কি? লোকে বলে-“শ্বশুড়বাড়ী মধুর হাঁড়ি” আর আমি বলি -“শ্বশুড়বাড়ী বউয়ের ঝাড়ি।” সকালে ঘুম ভাঙ্গে বউয়ের ঝাড়ি শুনে। তারপর বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসা থেকে শুরু করে বাজার করা, কাপড় কাচা এমনকি শ্বাশুড়ী আম্মার মাথা আঁচড়ে উঁকুন মারার কাজটাও করতে হয় আমাকে ।কিন্তু বিনিময়ে জোটে গালমন্দ।
সেদিন পাশের বাসার ভাবির অনুরোধে তাদের বাজার করে দিয়েছি বলে আপনার মেয়ের একটা কিল,ঘুষিও মাটিতে পড়েনি। আহা! বিয়ের আগে এই কিল,ঘুষি কতইনা মিষ্টি লাগত!
ঘরজামাইরা যে একটা পরিবারের কতটা উপকারে আসতে পারে দেখুনঃ
- ঘরজামাই এনেছেন বলেই এক পয়সাও যৌতুক দিতে হয়নি আপনাকে। পরবর্তীতে যৌতুক ছাড়া বিয়ে দেবার কথা বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন। যৌতুকবিরোধীদের আইকন হয়ে যেতে পারবেন রাতারাতি।
- এদেশে আবাসন সমস্যা প্রকট।ঘরজামাইরা শ্বশুড়বাড়ীতে থেকে এই সংকট লাঘবে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখে।তাছাড়া বেশি ভাগ শ্বশুড়বাড়ীই তো মেয়ের বিয়ের পর মানুষের অভাবে খা খা করে।
- ঘরজামাইয়ের উছিলায় চোখের সামনে আদরের মেয়ে,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - পিপীলিকা

    পোস্টের ফন্ট সাইজ খুবই ছোট বলিয়া মনে হইতেছে। ওয়ার্ড ফাইলে বড় করিয়া আবার পোষ্ট দিলে কৃতার্থ হইব। সাথে বোল্ডও উঠিয়ে দিবেন প্লীজ।

    কষ্ট হইলেও পড়িয়া নিয়াছি। যেহেতু ইহা একখানা ধারাবাহিক তাই এখনই ঘটনার আদ্যোপান্ত বুঝিবার চেষ্টা করিলে লাভ হইবে না। তবে ইহা যে একখানা দুঃখের কাহিনী তাহা বুঝিতে কোন সমস্যা হয় নাই। রাজুকে টোকাই বলিয়াই ধারণা হইল। তাহার পিতা পঙ্গু। জন্মের সময় মামা বিগত হইয়াছে বিধায় পিতা তাহাকে দোষ দিয়া থাকে, যদিও ইহা তাহার কারণে হয় নাই। বোধ করি অভাবের কারণেই এমনটি ধারণা করিতেছে। বাকী পর্ব পড়িয়া বিস্তারি মন্তব্য করিব। গল্পের প্রথম পর্ব আমার কাছে বেশ ভালো লাগিল। আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করিবেন সেলিনা ইসলাম।  

    • - সেলিনা ইসলাম

      পড়তে কষ্ট হওয়ায়  আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি । লেখাটা ঘন্ড করে দেবার কোন ইচ্ছে ছিল না সম্পূর্ণ লেখাটা আসেনা বিধায় বাধ্য হয়েছি । ধন্যবাদ গল্প পড়ে মন্তব্য ও পরামর্শ দেবার জন্য। শুভ্কামনা 

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    ভালো লাগলো। কিন্তু ফন্ট কিছুটা ছোট হলে ভালো হতো। 

    শুভেচ্ছা রইলো মেলায় বেড়াতে আসার। সাদাকাগজে আছি। 

    • - সেলিনা ইসলাম

      ভাল লাগাই কৃতজ্ঞতা জানাই ..। একজ্ন বলল ফন্ট বড় করে দিতে তাই বড় করেছিলাম আবার আপনার মন্তব্য পড়এ পরিবর্তন করেছি ..আল্লাহ জানে কী হচ্ছে ! ভাল থাকুন 

    • Load more relies...
    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ভাল লাগল গল্প। ধন্যবাদ

    • - সেলিনা ইসলাম

      ধন্যবাদ 

    Load more comments...

মোহাম্মদ শেমভীল হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিঠিঃ হবু শ্বশুড়কে লেখা মুরগী মিলনের চিঠি !!!

শ্রদ্ধেয় হবু শ্বশুড়আব্বা,
কদিন থেকেই কোমর ব্যথা থাকায় কদমবুছি করলাম না। তবে সালাম নিবেন।মাঘের এই বাঘ কাঁপানো শীতে হিমবুড়ি যখন প্রকৃ্তিকে কুয়াশার কম্বলে ঢেকে দিতে ব্যস্ত, তখন আপনাকে পত্র লিখার অভিপ্রায়ে চাক্কুর বদলে কলম ধরেছে এই হস্ত।
আমার সাহিত্য প্রতিভা সামনে হয়ত আরো দেখবেন। প্রেমে পড়লে সবাই এমনিতেই কবি হয়। তাছাড়া প্রতিভা আর চুলকানি নাকি লুকিয়ে রাখা যায় না।কিন্তু পুলিশের লগে লুকোচুরি খেলতে খেলতে আমার অনেক সুপ্ত প্রতিভা লুপ্ত হয়ে গেছে। আরেকটা কথা, চিঠিতে শুদ্ধ আর আঞ্চলিক ভাষা মিক্স কইরা ফেলতে পারি। শুদ্ধ ভাষায় কথা কই না তো তাই। আপনে আবার এতে মাইন্ড খাইয়েন না। যাউগ্যা, আর ত্যানা না পেচাইয়া আসল কথায় আসি।
এলাকায় মানুষ আমারে মুরগী মিলন হিসেবে একনামে চিনে।নামের আগে মুরগী আইল কিভাবে তা আপনের না জানলেও চলব।পত্রের শুরুতে প্রেমে পড়ার কথা কইছিলাম। আসল কথা হইল, আপনার ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে যার নাম নিপা, তারে আমার খুব মনে ধরেছে।রাস্তায় তারে দেখলেই যেন বুকে সুনামি উঠে। আপনার এই মেয়েরে আমি বিয়া করবার চাই।মেয়ের বাপ হিসেবে আপনারেই কথাটা জানানো আমার কর্তব্য। এখন আপনে জিগাইতে পারেন - এত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থাকতে তোমার মত পাড়ার মাস্তানের সাথে মেয়ের বিয়া দিমু কেন? আপনেরে খুশি করার লাইগ্যা পায়ের ঘাম মাথায় এনে আমার পক্ষে আমি কিছু যুক্তি বের করছি।
একটু ভাইবা দেখেন, মাস্তান হিসেবে কারনে-অকারনে প্রায়ই আমার নাম পত্রিকায় আসে।নিজের মেয়ের জামাইয়ের নাম পত্রিকার হেডলাইনে দেখতে কোন শ্বশুড় না চায় কন তো? তার উপর এলাকাবাসী তো বটেই গোটা দেশবাসী পর্যন্ত আপনারে মুরগী মিলনের শ্বশুড় হিসেবে একনামে চিনবে।আরেকটা কথা, প্রায়ই আকাম-কুকাম করার কারনে আমার বাসা তথা আমার উপর পুলিশি নজর থাকে।এখন ভাবেন, বিয়ের পর আমার... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...