Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুলতানা সাদিয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

বই পাঠ-‘মতিজানের মেয়েরা’

বই পাঠ-সেলিনা হোসেন এর ‘মতিজানের মেয়েরা’ 
অমর একুশে বইমেলা-২০১৪ তে গিয়েছি মাত্র দুইবার। তৃপ্তি মেটেনি। নিজের প্রথম বই প্রকাশ হবার উত্তেজনা আর ভাললাগার সাথে যুক্ত হয়েছিল গাদিখানেক বই কেনার সুযোগ। দীর্ঘদিন  বই পড়া আর লেখা থেকে দূরে থাকলেও  লেখালেখির তৃষ্ণা আবার ঠিকই সাহিত্য জগতে টেনে এনেছে। আবার বইমেলা চলে এসেছে অথচ ব্যস্ততার কারণে বইমেলায় কেনা সব কয়টি বই পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো। কিছুদিন ধরে পড়ছিলাম, সেলিনা হোসেনের ‘মতিজানের মেয়েরা’। লেখক দশটি গল্পে বিভিন্ন নারীর কষ্টের রূপ, লাবণ্য  আর কাঠিন্যের ঘেরাটোপে দারুণভাবে চিত্রিত করেছেন। নারীদের গতানুগতিক অসহায়ত্ব, জীবনের টানাপোড়েন গল্পগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই বাস্তবতা এখনো এক ও অভিন্ন। শুধু মাঝে মাঝে ঘটনার ভিন্ন রূপান্তর ঘটে মাত্র। মতিজান, আকালি, আছিয়া, ফুলবানু, টাপারা, মালেকা, নুহারিন, তারাবানু, লিপিকা আমাদের আশেপাশের মানুষ যেন। এদের নিয়ে সাজানো গল্পগুলো শুধু বেদনার কথকতাই নয় বরং সমাজের অচলায়তন থেকে উত্তরণের জন্য পাঠককে ভীষণভাবে ভাবায়। একটি গল্প শুরু করলে নিজের অজান্তেই শেষ অবধি পাঠ করে যেতে হয়। এ রকম একটি বই একজন লেখকের জন্য শব্দের আর ভাবনার রসদ জোগাতে পারে। গল্পগুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখতে চাচ্ছি না। সংগ্রহে থাকলে পড়ে নিন আর সমৃদ্ধ করুন নিজের পাঠাগার।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - ডাস্টবিনে কাক

    হিজিবিজি হিজিবিজিহিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি 

সুলতানা সাদিয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

আদর জাল (শেষাংশ)

মুন্নুজানের বহুবছর আগের এক দুঃসহ স্মৃতি মনে পড়ে। সিফাত আব্বা তখন ক্লাস টেনে পড়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে বন্ধুদের সাথে ভেলপুরি খেয়ে ছেলের পেট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বরাবর সিফাত আব্বার স্বাস্থ্যটা তার চোখে না ধরলেও অন্যদের চোখে ধরত। একবেলার মধ্যে  সেই ছেলের শরীর পাখির মত হালকা হয়ে গেল। শেষটায় ঢাকা নিয়ে রক্ষা। এক চামচ স্যালাইনও ছেলেটাকে কখনো খাওয়াতে পারেননি তিনি। দিলেই বলবে, তিতা লাগে মা। কী অবস্থা ছেলেটার! আহা বৌমা একা কি সামলাতে পারবে? মুন্নুজানের ছটফটানি দেখে নাজিমুদ্দিন একটা আপাত কার্যকরী সমাধান দেন।
-তুমি বৌমাকে ফোন দিচ্ছো না কেনো?
মুন্নুজান এনবার এক চেষ্টাতেই ফোনে মিতুকে পেয়ে যান। গলা নিঙড়ানো মমতায় প্রশ্ন করেন,
-বৌমা...আমার আব্বা এখন কেমন আছে?
-ভাল আছে মা... টেনশন করবেন না।
- টেনশন তো করবই মা। রাতে কিছু খাইতে দিছিলা? একটু জাউ আর কাঁচকলা ভর্তা কইরা দিও ছেলেটাকে।
-মা ভাববেন না। হালকা খাবারই দিব। আর স্যালাইনতো খাওয়ালাম একটা।
মুন্নুজান মিতুর কথা ঠিক বুঝতে পারেন না। আবার প্রশ্ন করেন,
-স্যালাইন? আমার আব্বাতো স্যালাইন খাইতে পারে না! স্যালাইন খাইয়া আবার বমি হয় নাই তো মা?
-কী যে বলেন না মা...স্যালাইন খেয়ে বমি হবে কেন? ও তো স্যালাইন খায়। আরেকটা বানিয়ে রেখেছি। রাতে দিব।
মুন্নুজান মোবাইলটা স্বামীর হাতে দিয়ে খাটের এক কোণে বসে পড়েন। পরম করুণাময়ের কাছে দুই হাত তুলে ছেলের জন্য প্রার্থণা সেরে উপরে তাকান। তার ঝাপসা চোখ পরিচ্ছন্ন সিলিঙের পশ্চিম কোণে আটকে যায়। মুন্নুজান কাতর হয়ে দেখেন সেখানে দুটো মাকড়শা নতুন জাল বুনছে।
(সময়কাল: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ খ্রিঃ-১ জানুয়ারি, ২০১৪ খ্রিঃ)
 (আগে প্রকাশিত)
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

সুলতানা সাদিয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

আদর জাল (২য় অংশ)

(পূর্ব হতে)
খুব ইচ্ছে হয় তখন নিজের হাতে রাঁধেন। কিন্তু ছেলের সংসারে রান্নাঘরে দখল নিতে বড় অস্বস্তি হয় মুন্নুজানের। কি যে হাত নিশপিশ করে তার ছেলেটাকে নিজের হাতে করে খাওয়াতে! বৌমা বুদ্ধিমতি। রান্নাঘরটা এবেলা নয় ওবেলা ছেড়ে দেয়, মা আপনি করেন। মুন্নুজান তখন বেশ স্বাধীন স্বাধীন রাঁধেন। ডায়নিং টেবিলে ছেলের তৃপ্তির ঢেঁকুর ছেলে কাছে না থাকার অপ্রাপ্তি ঢেকে দেয়।
সাত-সতেরো ভাবতে ভাবতে মুন্নুজানের মাথায় সরল সংসারী বুদ্ধি খেলে যায়। লবণের বৈয়াম ধুয়ে নিলেই বেশ মাছ রান্নাটা হয়ে যায়। দুইজন মানুষের জন্য দুই পিস করে চারপিস। আজ রাত আর আগামীকাল দুপুরের জন্য। মুন্নুজানের স্বামী নাজিমুদ্দিন ডায়াবেটিসের রোগী হওয়ায় সকালে রুটি খান। রাতেও রুটি চলে। আজ আটা শেষের দিকে দেখে মুন্নুজান ভাত বসিয়েছেন। রান্না সমস্যার সমাধান করতে পেরে তার কাজে ছন্দ চলে আসে। মুন্নুজান মসলা কষিয়ে পাঙ্গাস মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দেন। মুন্নুজানের ছেলে সিফাত আব্বা পাঙ্গাস মাছ দুই চোখে দেখতে পারে না। ছেলে-বৌমা বেড়াতে এলে তাই তিনি ভুলেও এই মাছ আনান না। তার সিফাত আব্বা যে খাওয়া নিয়ে কত খুঁতখুঁতে! শিং, মাগুর, শোল, টেংরা এই প্রজাতির কোনো মাছই ছেলেটা মুখে পুরে না।  খেসারির ডালের ঝাল ঝাল পিঁয়াজুর সাথে নিরামিষ হলে ছেলেটা খুব তৃপ্তি করে খায়। বেশি করে তেল পিঁয়াজ দিয়ে টাকি ভর্তা আর রান্না গরুর গোশত ভুনা! তিন বেলা দিলে তাতেই সই। সেইবার তো বৌমার সামনে বলেই ফেলল, মা...কতকাল পরে খেলাম গো এই কালি ভুনা! তোমার মত কারোটা হয় না। মুন্নুজানের মনটা কী যে আনন্দে ভরে উঠেছিল! পরক্ষণেই বৌমার চোরা চাহনিতে মুন্নুজানের বুক কেঁপে উঠেছিল, বোকা ছেলে বউয়ের সামনে কেউ ওভাবে বলে? সেইবার দুই দিনের জন্য এসেছিল সিফাত। যাওয়ার সময়... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - রব্বানী চৌধুরী

    ভালো লাগলো কবিতার কথামালা। শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।   

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - নাজনীন পলি

    আহারে কে সেই নিষ্ঠুর নারী যে পুরুষের ভালবাসা বোঝে না ? শুভ কামনা রইলো । 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ পলি আপু

সুলতানা সাদিয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

আদর জাল (প্রথম অংশ)

লবণের বৈয়ামের দিকে তাকিয়ে মুন্নুজানের চোখের কোণ লবণাক্ত হয়ে ওঠে। মাসের এই সময়টা সামলে চলতে চাইলেও এখন আর আগের মত পারেন না। হিসেবে ভুল হয়ে যায়। তাই মাসের শেষে সংসারের লবণটা বা তেলটা টান পড়ে যায়। এমন না যে তার সংসারে অভাব আছে। মাসের শুরুতেই বাজারের সময়ে হিসেবে কমবেশি হয়ে যায়। তাই হুটহাট মানুষটাকে বাজারে পাঠানো লাগে। অসময়ে বুড়ো মানুষটাকে বাজারে পাঠাতে মুন্নুজানের খুব কষ্ট লাগে। এখন নিশ্চয়ই তিনি আয়েস করে কম্বলের তলে পা গুঁজে বসে পত্রিকা পড়ছে। একটু আগেও কোরআন পড়ার আওয়াজ আসছিল। তাদের দুইজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে, এই মাসে কে আগে কোরআন খতম করবেন। মুন্নুজান এই প্রতিযোগিতাতে কখনো জিততে পারেন না। দুইজনের সংসারে কাজ কম মনে হলেও জীবনের দৈনন্দিন কর্মপ্রণালী অন্যান্য জনবহুল সংসারের মতই। তাই সব কাজ সেরে পড়তে বসতে গেলে মুন্নুজান স্বামী নাজিমুদ্দিনের কাছে হেরেই যান। প্রতি মাসে একবার করে কোরআন খতম দেওয়ার পর মানুষটা যখন বেশ খুশি খুশি চেহারায় তার দিকে তাকিয়ে বলে, কী, এবারও পারলে না তো? তখন মুন্নুজানের ভালই লাগে। দুইবছর আগে হজ সেরে আসার পর থেকে দুইজন নিঃসঙ্গ মানুষ নিজেদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা করেন যাতে মুন্নুজান আজ অবধি একবারও জিততে পারেননি।
এশার নামাজের ওয়াক্ত হয়নি। মসজিদে যেয়ে জামাতে নামাজ পড়বেন নাজিমুদ্দিন। কিন্তু যে কোনো মনোহরী দোকানে যেতে হলে খানিকটা হেঁটে বড় রাস্তায় যেতে হবে তাকে। শীতের রাত। স্বামীকে লবণ ফুরোবার খবরটা দিবেন কিনা তা নিয়ে মুন্নুজান দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে থাকেন। সাঁইত্রিশ বছরের বিবাহিত জীবনে এই একই ধরনের দ্বিধার সাথে বসত তার। অথচ তার স্বামীর কোনো বিরক্তিই নেই কোনো আবদারেই। মুন্নুজান ভাল করেই জানেন ঠিক এই মুহূর্তে বাইরের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা আর অন্ধকার কুয়াশার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    emoticons

    • - রব্বানী চৌধুরী

      শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।  

    - রব্বানী চৌধুরী

    মন্তব্যহীন পোষ্ট। 

    • - রব্বানী চৌধুরী

      যেহেতু এটি একটি রসরচনা ক্যাটাগরীর লেখা তাই নিজের পোষ্টে নিজেই মন্তব্য বাড়িয়েও কি কৌতুক করা যায় !! মনে হয় যায়।

    • Load more relies...
    - টোকাই

    হাঁহাঁহাঁ । ভালো লাগলো ।

    • - রব্বানী চৌধুরী

      অসাধারণ, অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। ভালো থাকবেন।  

সুলতানা সাদিয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

মিশুক(শেষাংশ)

(পূর্ব হতে)
অথচ বাবা মিশুকের ভীষণ বন্ধু। বাবা মিশুকের সাথে কখনোই জোরে কথা বলে না। সব সময় ডাকবে, আমার আব্বুনি। মাও নাকি ওকে ডাকতো আব্বুনি। মায়ের কথা মনে পড়তেই এ্যালবামটার কথা মনে পড়ে। আর  সেই সময়  একবার এ্যালবামটা দেখা চাই’ই ওর।
মিশুক টেবিলের ড্রয়ারের ভেতর হাতড়ে অবাক হয়ে যায়। কোথায় গেল এ্যালবামটা? মায়ের ছবির এ্যালবাম। মিশুকের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস। রোজ একবার না দেখলে মায়ের ছবি, মিশুক ছটফট করে। মিশুক যখন তিন বছরের তখন মা অনেক দূরে চলে গেছে। দাদী বলতো, মা আকাশের তারা হয়ে গেছে। এখন মিশুক আর ছোটটি নয়। সে রীতিমত ফাইভে পড়ুয়া ছেলে। ছোটবেলায় দাদীর কোলে তারা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যেত। যেন মাকে দেখছে। এখন ও জানে এই ছবিগুলোর মাঝেই মা আছে।
এই এ্যালবামটা ওর সেভেনথ বার্থ ডে তে বাবা গিফট করেছিল। আর্চিস গ্যালারি’র দারুণ এক এ্যালবাম। বাবা বেছে প্রিয় প্রিয় ছবিগুলো রেখেছে এতে। এই এ্যালবামে মা আর মিশুকের ছবিগুলো আছে। মা মিশুককে গোসল করাচ্ছে, খাওয়াচ্ছে। হাসপাতালের বেডে শোয়া ছোট্ট একদিনের মিশুক থেকে তিন বছরের মিশুক। মায়ের সাথে। ছবিগুলো দেখে মিশুর কান্না পায় না। অথচ এ্যালবাম না পেয়ে মিশুকের কান্না পাচ্ছে। এখানেই তো ছিল!  কোথায় গেল? ফুপি নিয়েছে নিশ্চয়ই! মিশুক দৌড়ে পাশের ঘরে চলে যায়। ফুপি টিভিতে মশগুল। ফুপির কাছে জানতে চাওয়ার আগেই বেড সাইড টেবিলের উপর রাখা এ্যালবামটা চোখে পড়ে ওর।
-কী চাই? মিশুক কিছু লাগবে?
ফুপি টিভি বন্ধ করে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
-উহু...এ্যালবামটা তুমি এনেছো?
-হ্যাঁ, কতদিন দেখি না তো ছবিগুলো। তোর ড্রয়ারে হাত দিয়েছি, রাগ করেছিস?
-নাহ্, রাগ করবো কেন? মাকে তো তুমিও ভালোবাস! আমি ভেবেছি হারিয়ে গেছে!
-আরে বোকা হারাবে কেন? তোর এত... continue reading
Likes ১৫ Comments
০ Shares
Load more writings...