সৌরভঃ আজকে তোকে একটা কথা বলব।
বর্ণাঃ আমিও তোকে একটা কথা বলব।
সৌরভঃ তুই আগে বল। লেডিস ফার্ষ্ট বলে একটা কথা আছে না।
বর্ণাঃ আমার না বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলে আমেরিকা থাকে। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির টিচার। সামনের মাসে দেশে আসবে। এরপরের পরের মাসে আমরা টেক্সাসে চলে যাব। ভাবতেই ক্যামন জানি লাগছে। কিরে তুই চুপ কেন?
সৌরভঃ (আমতা আমতা ভাবে) না মানে, শুনছিলাম তোর কথা।
বর্ণাঃ তোর চেহারা দেখে তো মনে হচ্ছে খুশি হস নাই। হিংসা লাগতেছে নাকি? কিরে তোর হাতে গোলাপ কেন?
সৌরভঃ (আমতা আমতা ভাবে) না মানে এমনিতেই রাস্তা দিয়ে আসার সময় কিনতে ইচ্ছে করল, কিনে ফেললাম এই আর কি।
বর্ণাঃ এটা আমাকে দে। ফুলদানিতে রেখে দেই। তুই ছেলে মানুষ গোলাপ দিয়ে কি করবি। যাহোক, এবার তোর কথা বল।
সৌরভঃ বাদ দে। আজকে তাড়া আছে।
----------------
বর্ণাঃ তাহলে জার্মান চলে যাচ্ছিস শিওর।
সৌরভঃ হুম, এখন পর্যন্ত তো তাই জানি।
বর্ণাঃ আমেরিকার সাথে জার্মানের টাইপ গ্যাপ কেমন রে?
সৌরভঃ ঐখানে বিকাল ৪ টা মানে জার্মানে ১১ টা। কেন রে?
বর্ণাঃ না মানে তোকে ফোন টোন দিতাম ঐ অনুযায়ী তাহলে। আচ্ছা তুই জার্মান গিয়ে কি করবি বল তো।
সৌরভঃ (বোকার মত বলে) একটা গিফট শপ দিব। আমার দোকানে গিফট দিয়ে... continue reading
Comments (1)
চমৎকার...
আপনার মতো লেখকদের কাছ থেকে গঠনমূলক কিংবা বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য আশা করি মাসুম ভাই। তাতে করে আমরা কিছু শিখে নিতে পারবো। ধন্যবাদ মাসুম ভাই।
আসল দাদা ব্লগেই দেখলাম অনুগল্প অনুকাব্য বেশ ভাল লাগল একটা নতুন সৃষ্টি
খুবি সুন্দর লাগল
ভাল থাকুন----------
আমি ব্লগে ছাড়াও দেখেছি। ধন্যবাদ আলমগীর।
অনুগল্প যে আসলেই এতো ছোট্ট হবে ভাবিনি। ভালোই লাগলো মনে হল একটি দৃশ্যকাব্য।
গল্পটাতে বেশ ভালো একটা ঘটনা এবং বার্তা আছে রোদের ছায়া। ধন্যবাদ আপনাকে।