শূন্যতার ভারে ক্লান্ত পকেটও এক সময় হাফ ছেড়ে বাঁচতে চায়। সৌম্য হাঁটে। রোদের রাস্তায় এক ঝাপ্টা বাতাস ওর মুখে সস্তি এঁকে দেয়, ক্ষনিকের সস্তি। মাঝে মাঝে খুব প্রিয় কিছুতেও অরুচি আসে। ছবির হাট, ফুলার রোড কিংবা বিজয় সরণীর রাস্তাটুকুর ছায়া কিছুদিন যাবত ভালোলাগে না ! কার্জন হলের পুকুরে যেয়ে বিকের বেলায় বসে। সমর সেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ওয়ালীউল্লাহ অথবা তারাশংকর পড়ে। প্লেটোর অনুকরণবাদ নিয়ে ভাবে অথবা ভাবে না। সৌম্য দ্বিধা, দো-টানা মনোবৃত্তিকতা, আর কি একটা অচেনা অনুভূতি নিয়ে বিসাদের বাদামী বিকেলে গুচ্ছ গুচ্ছ সময়ের অতিক্রান্ত পৃঠা ছেঁড়ে ।
পুকুরের জলে আকাশের ছায়া দেখে, সেই ছায়ার একটা অংশে নিজেকেও দেখে সৌম্য। ভাবে,
ঐ ছায়া কি তাকে অনুকরণ করে সবসময় ? না, ছায়াটারও নিজস্ব ভাষা আছে ? যে ভাষা সৌম্য কখনোই বুঝে উঠে না - অনেকটা নিজেকে না বোঝার মতো ! এরকম অগুনতি এলোমেলো ভাবনা আর কথোপকথনে সৌম্য তার একলার আকাশটায় সন্ধ্যা নামিয়ে আনে-
চৈত্রের ঝড়ে গাছের পাতায় কেবলই হাহাকার বাজে
সুতো-কেটে উড়ে যায় কিছু রঙ্গিন ঘুরি,
লাবণ্যময় অশ্রুরা মমতা মাখাতে চায় শুকনো ডালে ।
জানালার পর্দা ওড়ে, ঘরের দেয়ালে ভেসে ওঠে
কত কত বিপ্লবী মুখ হঠাত করে-
চৈত্রের ঝড়ে লেগে থাকা ভয়ে,
মরণের ডাক তখন তুচ্ছ মনে হয় ।
ধীরে ধীরে কেটে যায় শূন্যতার শোক,
মনের খুব গভীরে গোপন আশা জাগে-
বিসাদের এই এক ছোট্টো জীবন নিয়ে
যেন তবু রয়ে যাই আপাত অর্থহীনে নিমগ্ন মহাকালে।
continue reading
Comments (6)
valo blcen
জাহান ভাই ধন্যবাদ।
রথি দা
ভাল লাগল
অভিনন্দন--------
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
নিজের মাঝে পরিবর্তন আনতে না পারলে দেশের পরিবর্তন আসবে না। সুন্দর লিখেছেন
বৈশাখী ঝড়@ ভাই নিজেকে পরিবর্তন সাথে সাথে আত্ম সমালোচনা করতে হবে তাহলে পরিবর্তন ঘটবে।