ধীরে ধীরে এগুলাম আমি। খুবই সতর্কভাবে, সন্তর্পণে। ইতোমধ্যেই বা হাতের তালুর মধ্যে তিন ইঞ্চি ব্লেডের ছুড়িটা বেড়িয়ে এসেছে। আর মাত্র পাঁচ গজ, তারপরই নাগাল পেয়ে যাবো ওর।
প্যান্টের চেইনটা সবেমাত্র লাগিয়েছে সে, শব্দ শুনেই বুঝে ফেললাম। যেই ঘুরতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তেই পেছনে থেকে ডান হাতে পেঁচিয়ে চেপে ধরলাম ওর গলার একটু নিচে। বা হাতে ধরা ছুড়ির তীক্ষ্ণ ফলাটা ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে ওর গলার উপরিভাগে।
কিছুক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দিতেই ধুপ করে নিজের ত্যাগকৃত তরলের উপরই পড়ে গেলো ছেলেটা। অনবরত কাঁপছে হিষ্টিরিয়াগ্রস্তের মতো। ঘরঘর শব্দ বের হচ্ছে ওর গলা থেকে। ভোকাল কর্ড কেটে গেছে, কেটে গেছে গলার অনেকটা অংশ, সেই সাথে তুমুল বেগে বের হচ্ছে রক্ত। উষ্ণ লাল রক্ত। তারপর একসময় থেমে গেলো সময় কাঁপাকাঁপি।
ওর শার্টের মধ্যে ছুড়ির ফলাটা কয়েকবার ঘষলাম আমি। তারপর ঘুরে দাঁড়ালাম।
পালাতে হবে এখান থেকে।
*******
‘খুন করেছি,’ মৃদুস্বরে বললাম আমি, ‘রায়হানকে খুন করেছি আমি।’
‘কিই?’ খেঁকিয়ে উঠলো দ্বীপ।
চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মৃদু বাতাস বইছে চারদিকে। ছাদে বসে আছি আমরা দুজন। হাতে জ্বলছে সিগারেট। নিচে দু-তিনটা কুকুর ঘেউ ঘেউ শব্দে চেঁচিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছুক্ষন ধরে। এটা বাদ দিলে সবকিছু নিরব।
‘কবে?’ প্রশ্ন করলো দ্বীপ।
‘আজ,’ মৃদুস্বরে জবাব দিলাম আমি, ‘আধঘন্টা আগে।’
রায়হান ছেলেটা আমাদের সাথেই পড়তো। একই ডিপার্টমেন্টে। একটু গুন্ডা টাইপের হওয়ায় প্রথম থেকেই ছেলেটাকে ভাল লাগতো না আমার। সবসময় নিজেকে বড় প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে থাকতো ও। নিজেকে সবার উপরে দেখতে চাইতো। ভাল ছাত্র হওয়ায় এটা ওর জন্য আরো সহজ হয়ে যায়।
ভার্সিটির প্রথমদিন থেকেই ফারিয়ার উপর নজর ছিল ওর। সবসময় চেষ্টা করতো ওর সামনে হিরো... continue reading
Comments (0)
দারুণ !! ভালো লাগলো ।