১
***
বাড়ি ফিরেছে লতিফ। পড়নের শার্টটায় শত ময়লা, ময়লা লুঙ্গির খুটের মধ্যে অনেকগুলো টাকা, হাতে বাজারের ব্যাগ। বাড়ি ফিরেই সে হাক ছাড়লো, "আমিনের মা, কই গেলা?"
ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো আমিনের মা, স্বামীকে দেখেই হাসিমুখে ছুটে এসে হাতের বাজারের ব্যাগটা নিলো যাতে স্বামীর কষ্ট করতে না হয়, লতিফ জিজ্ঞেস করলো, "আমিন-মরিয়ম কই?"
"মরিয়ম পাশের বাড়ি গেছে, আর আমিন ঘরে বইসা আছে।"
"আমিনের মন কি এহনো খারাপ?"
"হো!"
"ব্যাগের মধ্যে ওর জন্য একটা জামা আছে, গিয়ে দাও ওরে। মরিয়মের জন্যও আছে, ওরেও দিও বাড়ি আইলে।"
"আচ্ছা" বলেই ঘরের মধ্যে গেলো আমিনের মা, আর লতিফ শার্ট খুলে চলে গেলো পুকুরে গোসল করতে।
ঘরের এক কোনায় খাটে বসে আছে আমিন, তার মা এসে নতুন জামাটা দিলো আমিনকে, "তোর বাপ আনছে তোর জন্য, পরে দেখ।"
জামাটা হাতে নিয়ে হাত বুলালো আমিন, মা'কে জিজ্ঞেস করলো, "আমার গরুটা কি বাবায় বেইচা দিসে?"
"হো!"
জামাটা হাত থেকে নামিয়ে খাটে রেখে দিলো আমিন, তার মা কাছে এসে বসে আমিনকে বুঝালো, "তুই আমগো বড়ো পোলা না? বড়ো হইসস না? তোর বাপের কতো দেনা। ওইগুলা শোধ করতে হইবো না? তুই না বুঝলে আর কে বুঝবো? মন খারাপ করিস না, আয় খাইতে আয়, আর তোর বাপেরে জামাটা পইড়া দেখাইস, তোর বাপ খুশি হইবো।"
চুপ করে রইলো আমিন। তার মা উঠে চলে গেলো পাকঘরে।
ঘরের দরোজাটা দিয়ে বাইরে উঠানের দিকে তাকিয়ে আছে আমিন, তার গরুটার জন্য তার খারাপ লাগছে, বাবা তো কখনোই গরুটার দিকে খেয়ালও করে নি। আমিনই গরুটাকে ঘাস খাইয়েছে, মাঠে নিয়ে গিয়েছে, সন্ধ্যাবেলায় মাঠ থেকে ঘরে নিয়ে এসেছে। ক্লাসের... continue reading
***
বাড়ি ফিরেছে লতিফ। পড়নের শার্টটায় শত ময়লা, ময়লা লুঙ্গির খুটের মধ্যে অনেকগুলো টাকা, হাতে বাজারের ব্যাগ। বাড়ি ফিরেই সে হাক ছাড়লো, "আমিনের মা, কই গেলা?"
ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো আমিনের মা, স্বামীকে দেখেই হাসিমুখে ছুটে এসে হাতের বাজারের ব্যাগটা নিলো যাতে স্বামীর কষ্ট করতে না হয়, লতিফ জিজ্ঞেস করলো, "আমিন-মরিয়ম কই?"
"মরিয়ম পাশের বাড়ি গেছে, আর আমিন ঘরে বইসা আছে।"
"আমিনের মন কি এহনো খারাপ?"
"হো!"
"ব্যাগের মধ্যে ওর জন্য একটা জামা আছে, গিয়ে দাও ওরে। মরিয়মের জন্যও আছে, ওরেও দিও বাড়ি আইলে।"
"আচ্ছা" বলেই ঘরের মধ্যে গেলো আমিনের মা, আর লতিফ শার্ট খুলে চলে গেলো পুকুরে গোসল করতে।
ঘরের এক কোনায় খাটে বসে আছে আমিন, তার মা এসে নতুন জামাটা দিলো আমিনকে, "তোর বাপ আনছে তোর জন্য, পরে দেখ।"
জামাটা হাতে নিয়ে হাত বুলালো আমিন, মা'কে জিজ্ঞেস করলো, "আমার গরুটা কি বাবায় বেইচা দিসে?"
"হো!"
জামাটা হাত থেকে নামিয়ে খাটে রেখে দিলো আমিন, তার মা কাছে এসে বসে আমিনকে বুঝালো, "তুই আমগো বড়ো পোলা না? বড়ো হইসস না? তোর বাপের কতো দেনা। ওইগুলা শোধ করতে হইবো না? তুই না বুঝলে আর কে বুঝবো? মন খারাপ করিস না, আয় খাইতে আয়, আর তোর বাপেরে জামাটা পইড়া দেখাইস, তোর বাপ খুশি হইবো।"
চুপ করে রইলো আমিন। তার মা উঠে চলে গেলো পাকঘরে।
ঘরের দরোজাটা দিয়ে বাইরে উঠানের দিকে তাকিয়ে আছে আমিন, তার গরুটার জন্য তার খারাপ লাগছে, বাবা তো কখনোই গরুটার দিকে খেয়ালও করে নি। আমিনই গরুটাকে ঘাস খাইয়েছে, মাঠে নিয়ে গিয়েছে, সন্ধ্যাবেলায় মাঠ থেকে ঘরে নিয়ে এসেছে। ক্লাসের... continue reading
Comments (2)
যদি হারিয়ে যাই
পথ ভূলে অচেনা অজানা কোন এক গায়
তখন কি ভুলগুলো আমার শুধরে নেবে না কেউ
এ আত্মা মায়া ভালবাসার কি নেই কোন দাম
আমি আসব, আবার ফিরে আসব
দেখবো কে কতটা স্মরণ করেছে আমায়
কতটা ভালবাসা পেরেছি উজাড় করে দিতে
কতটা পারিনি শোধরাতে
আপন ভুল, আপনার মাঝে;
তবুও রেখো মনে, স্মৃতিছাড়া আমার যে
আর কিছুই নাই;
যতই ভুল করি না কেন
মায়ার বাঁধনে একটি দিন না হয় কিছুটা সময়
আপন করে নিয়েছি আমি তুমি তোমরা
থাক না স্মৃতি হয়ে
ভালবাসার এ বন্ধন।
এই লেখাটি শুধুই নিচের কিছু কথার কারনে লেখা।
[প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা অবশ্যই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অথবা প্রতিনিধি পাঠাবেন। পুরস্কার অনুষ্ঠানের পর কোনভাবেই প্রদান করা হবে না এবং সম্মননা বাতিল করা হবে।]
আমি কয়েকমাস ধরে অসুস্থ থাকায় সব ধরনের কাজ থেকে দূরে ছিলাম, এই যে প্রাায় ৫ মাস পর ব্লগে ফিরলাম। সরি যোগাযোগ করে আগের পুরস্কার নিতে পারিনি। আপনাদের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ।
বিগত দিনের কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা নক্ষত্র অফিসে পড়ে আছে যা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করতে আসেননি কিংবা কে কবে কিভাবে পুরস্কারটি গ্রহণ করবেন তাও জানান নি। যার ফলে আমরা এরকম সিন্ধান্ত নিয়েছি।
কাউকে সম্মাননা থেকে বঞ্চিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। অসুবিধা থাকতেই পারে। এই জন্য যোগাযোগ করে কথা বলে নিলেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ সহ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।