Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কাজী রাকিব

১০ বছর আগে লিখেছেন

“একটি টিপিকাল প্রেমের গল্প”

জিন্সটা পায়ের তলায় ছেড়া।ঘর থেকে বের হয়েই দেখলো একমাত্র জুতাটাও ছিড়া ছিড়া অবস্থা।পকেটে আছে মাত্র ৫ টাকা।ভাবছিলাম একটা গোল্ড লিফ ধরাবো কিন্তু সেই উপায় আর নাই।জুতা সেলাই করতে হবে।

শালা,পকেটে থাকেনা টাকা আবার সিগারেটের নেশা !,নিজেকেই গাল দিলো সৌরভ।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র সৌরভ।হলে থাকে সে।খুবই মেধাবী,বাবা মা নেই।ছোট থেকেই ফুফুর কাছে মানুষ।কিন্তু ফুফু আর কতদিন দেখবে।দুই একটা টিউশন করে নিজের খরচ নিজেই চালায় অনেক কষ্টে।সাথে ধার দেনা তো আছেই।

 

তুশির সাথে দেখা করতে বের হয়েছে সৌরভ।তিন বছরের সম্পর্ক তাদের।কোনো একটা বিশেষ দরকারে আজ খুব জরুরীভাবে দেখা করতে বলেছে তাকে। শাহবাগ মোড়ে এসে একটা রিক্সা নিলো সৌরভ,ভাড়াটা তুশির কাছ থেকে নিতে হবে।

 

দেখো সৌরভ বাবা আমার বিয়ের জন্য ছেলে দেখেছে,এখন তুমি কিভাবে কি করবা আমি জানিনা।হাতে সময় খুব কম।আর হ্যা,আমি পালিয়ে বিয়ে করবোনা,সুতরাং এ কথাটি মাথায় এনোনা।এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলো তুশি।

সৌরভে তুশিকে বুঝাবার চেষ্টা করলো,তার আরো এক বছর বাকী ভার্সিটি থেকে বের হতে।এর আগে কিছু করা একবারে অসম্ভব,তুমি সবই জানো।

আমার কিছুই করার নেই সৌরভ।তোমার কথা বাসায় জানাবো সেই পরিস্থিতিও নেই।বলল তুশি।

আমার জন্য কি আর ১টা বছর অপেক্ষা করা যায়না?তুশির চোখের দিকে তাকিয়ে অনুরোধ করল সে।

আমি চেষ্টা করবো বলে উঠে দাড়াল তুশি।

 

এক মাস পর……..

তুশির বিয়ে আটকাতে পারলো না সৌরভ।আজ তুশির গায়ে হলুদ।আর সৌরভ বসে আছে টিএসসি তে।তার কাছে মনে হতে লাগল,আশে পাশের সব কিছু যেন থমকে আছে,নিস্প্রান সব কিছু।চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু পারছে না।

 

৪ বছর পর…….

ক্যালোফোর্নিয়াতে নিজের বাসার ব্যালকনীতে বসে আছে সৌরভ।না হাতে আজ ৫টাকার গোল্ডলিফ নেই,সেখানে স্থান নিয়েছে ডানহিল। সিলিকন ভ্যালিতে, গুগলে খুব উচু পজিশনে জব করছে সে।বাংলাদেশ ছেড়েছে বছরখানেক হবে। কিন্তু অনেক দিন পর আজ খুব বেশি মন খারাপ সৌরভের।আজ ১১ নভেম্বর।তুশির জন্মদিন।খুব মনে পড়ছে ওকে।ওর সাথে জমা স্মৃতিগুলো কিছুতেই ভুলতে পারছেনা। আজ সৌরভের সব আছে।মোটা অঙ্ক স্যালারী পায় ডলারে,কোনো কিছুই অভাব নেই । বিয়ের বাজারে একদম উচু সারিতেই সৌরভ।কিন্তু আজ যে তুশি নেই। আকাশের দিকে তাকালো সৌরভ।গোল চাদটা থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে মেঘ। নিজের জীবন থেকে কষ্টের কালো মেঘ সরে যাওয়া পর্যন্ত নিজের কাছে রাখতে পারলাম না তুশিকে।আনমনে ভাবলো সে।

আজ নিজের আকাশের চাদে কোনো মেঘ নেই।

Likes Comments
০ Share

Comments (4)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    হে হে