Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

৮ বছর আগে লিখেছেন

অর্ধেক গল্প

এটা একটা প্রেমের গল্প। এটা একটা বিরহের গল্প। এটা আমার বন্ধুর গল্প।  
আমার বন্ধুটার নাম ছিল নুহাশ কিংবা রাফি। আবার অর্কও হতে পারে।   সে তখন কলেজে পড়তো বা পড়তো না। তবে একথা ঠিক, তার তখন কলেজে পড়ার মতনই বয়স।  
সে একটা মেয়ের প্রেমে পড়ল। মেয়েটার তখন পুতুল খেলার বয়স। সাত, আট কী নয়।  
নুহাশ কিংবা রাফি অথবা অর্ক মেয়েটাকে খুবই ভালবাসতো। মেয়েটা তাকে ভালবাসতো নাকি সেটা কেউ জানে না। তবে আমি জানি, মেয়েটা আমার বন্ধুকে দেয়ার জন্যে চকোলেট জমিয়ে রাখতো। নতুন আঁকা কোন ছবি বা প্রজাপতি লাগানো চুলের ক্লিপটা আমার বন্ধুকে না দেখানো পর্যন্ত মেয়েটা ছটফট করতো। তার দম বন্ধ হয়ে আসতো।  
তারপর একদিন নুহাশ কিংবা রাফি অথবা অর্কর খুব রাগ হল। সে মেয়েটার পুতুলের মাথা টেনে ছিঁড়ে ফেললো। সবাই বলে, তারা মেয়েটাকে কাঁদতে দেখেনি। কিন্তু এরপর আর কোনদিন তাদের একসাথে দেখা যায় নি।  
এখানে দোষটা কার?  
আমার বন্ধুটার?
মেয়েটার?
নাকি পুতুলটির?  
আমি কেন এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি? আমার তো এ উত্তর খোঁজার কথা নয়। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    ভাল লাগল

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      ভাল লাগার জন্য

      অনেক ধন্যবাদ আাপু

      ভাল থাকুন

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    দারুণ!! emoticons

মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

৯ বছর আগে লিখেছেন

স্মৃতির পাতা থেকে

- কেমন আছো মীরা?
- এইতো চলছে, তোমার কী খবর?
- ভালোই আছি।
কথাটি বলেই আমি থমকে গেলাম। আসলেই কি ভালো আছি? নাকি প্রতিনিয়ত ভালো থাকার অভিনয় করে যাচ্ছি?
আজ কত বছর পর মীরার সাথে দেখা হল। হালকা নীল রঙের একটা শাড়ি পড়ে এসেছে ও, কপালে একটা ছোট্ট নীল টিপ। বেশ মানিয়েছে ওকে। মীরাকে দেখেই আমার ফেলে আসা দিনের বিস্মৃত স্মৃতিগুলো নড়েচড়ে উঠলো। হৃদয়ের গভীরে সুপ্ত সুখ-দুঃখের টুকরো টুকরো মুহূর্তগুলো সব জেগে উঠলো। তখন সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছি। মনের মাঝে হাজারো রঙিন স্বপ্ন প্রতিনিয়ত আঁকিবুঁকি খেলে চলেছে। চারপাশে যা দেখি তাই ভালো লাগে। এর মধ্যেই একদিন মীরাকে দেখে আমার সমস্ত পৃথিবী ওলট-পালোট হয়ে গেল। ছিপছিপে গড়ন, শ্যামলা গায়ের রঙ, চশমাপরা মেয়েটির খুবই সাধারণ মুখাবয়বের মধ্যে কোথায় যেন এক পৃথিবী সমান মায়া লুকিয়ে আছে। মেয়েটিকে দেখলেই খুব দুঃখী মনে হয়, বড় বেশি ভালবাসতে ইচ্ছে হয়।
তারপর ধীরে ধীরে মীরার সাথে আমার বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। ক্লাসে চুপচাপ থাকা মেয়েটি আবার কথাও বলতে পারতো প্রচুর। বন্ধুদের আড্ডায় কথার ঝাঁপি খুলে বসতো মীরা। আমাকে সবসময় ‘তুই’ সম্বোধন করতো ও। আমি অবশ্য ওকে ‘তুমি’ বলেই  ডাকতাম। আজ এতো বছর পরে মীরা আমাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করলো। সময় কতকিছুই বদলে দেয়।
আমি মীরাকে খুব ভালবাসতাম। কিন্তু আমার মুখচোরা স্বভাবের কারণে কখনোই বলতে পারতাম না। তবে আমার ধারণা, ও আমার মনের সব কথাই বুঝতো। তারপর হঠাৎ বসন্তের এক পড়ন্ত বিকেলে, ক্লাসশেষে আমি যখন মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন কোথা থেকে যেন মীরা ছুটে আমার কাছে এলো। আমার মনে হল, একটা প্রজাপতি যেন উড়ে উড়ে এলো। ওর হাতে তিনটি টকটকে লাল গোলাপ। সেগুলো আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো, ‘ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।’ তারপর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    অনেকদিন পর কবিতা পড়লাম, পড়ে ভালো লাগলো। emoticons

    - সুলতানা সাদিয়া

    সুন্দর শব্দ গাঁথুনি ভাল লাগলো। শুভকামনা।

মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

৯ বছর আগে লিখেছেন

একই সমতলে

একটি বিশাল, বিস্তৃত শুভ্র প্রান্তরে আমি দীর্ঘক্ষণ ধরে শুয়ে আছি। এখানে মাটির রঙ সাদা, আকাশের রঙও সাদা। সারা শরীরে কেমন যেন একটা শীতল অনুভূতি হচ্ছে। এটা কোথায়, আমি এখানে কেন শুয়ে আছি, কতক্ষণ ধরে শুয়ে আছি; সে সবের কিছুই আমার জানা নেই। হঠাৎ করে বুঝতে পারলাম, কেন একটা শীতল অনুভূতি আমার সমস্ত সত্তাকে ক্রমেই গ্রাস করছে। আমি আসলে বরফের চাঁইয়ের উপরে শুয়ে আছি, আদিগন্ত বিস্তৃত জমাট বাঁধা শুভ্র বরফ। কিন্তু এখানে আকাশের রঙ সাদা কেন? আমি আর ভাবতে পারছি না। আমার সমস্ত চেতনা, শরীর যেন ক্রমেই অবশ হয়ে আসছে। সারা শরীরে এক অসহ্য ব্যথা, হাত-পা নিথর হয়ে আছে। এক বীভৎস দৃশ্য দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে অচেতন হয়ে গেলাম। শেষ মুহূর্তে দেখতে পেলাম, সাদা বরফের উপর দিয়ে অসংখ্য কালো কালো তেলাপোকা আমার দিকে ছুটে আসছে। কিলবিল করতে করতে পোকাগুলো সদর্পে আমার শরীরের উপর উঠে পড়ছে। আর আমার শরীরের নিচের বরফের উপর ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত পড়ছে। টকটকে লাল রক্ত সাদা বরফের উপর পড়ার সাথে সাথেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। এক অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আমি অচেতন হয়ে গেলাম, হয়তো বা মারা গেলাম।
‘আহ’, শব্দ করে শিউলি ঘুম থেকে জেগে উঠলো। আজকাল বাসায় তেলাপোকাদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে। আর তেলাপোকা সবচেয়ে বেশি ঘোরাঘুরি করে এই রান্নাঘরে। কখন যে একটা গায়ের উপরে উঠে পড়েছিলো, শিউলি ঘুমের মধ্যে টেরই পায় নি। হাত দিয়ে গলার কাছে থেকে নোংরা পোকাটাকে শিউলি ঠেলে সরিয়ে দিলো। লাইট জ্বালাবার জন্যে শিউলি উঠে বসবার চেষ্টা করতেই অনুভব করলো তার সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। আর তখনই আজকের সারাদিনের কথা মনে পড়ে গেল। মনটা বিতৃষ্ণায় ভরে উঠলো।
আজ বিকেলে খালার অফিসের অনেক লোকজন বাসায়... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    ঠিক ধরেছেন। ফ্রন্ট পেজে কবিতার বন্যা।

    - রোদেলা

    দারুনemoticons

মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিচ্ছেদ

শেষ বিকালের সোনালী রোদ গাছের পাতা, মাঠের হালকা সবুজ কচি ঘাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। আর মাত্র কয়েকটা মিনিট। তারপরই আট বছরের ছোট্ট তাথৈকে বাবার কাছে থেকে চলে যেতে হবে।
শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বিকালে তাথৈ ঘণ্টাখানেক বাবার সাথে থাকতে পারে। এই নিয়ম ওরা ঠিক করে দিয়েছে। মা এই সময় কিছুটা দূরে গাড়িতে বসেই অপেক্ষা করেন। বাবা-মা আলাদা হওয়ার পর থেকে এভাবেই চলছে।
বাবাকে ছেড়ে যাওয়ার সময় ছোট্ট তাথৈয়ের বুকের ভিতরে কী যে অবর্ণনীয় কষ্ট খেলা করে সেটা তাথৈ কাউকে বোঝাতে পারে না। ঠিক কী কারণে তাথৈ বুঝতে পারে না, ওর চোখ বার বার ভিজে উঠে।
পূর্ণ আড়ম্বরে অতিথিকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত করার মত এমন প্রহসন আর হয় না। প্রতি বৃহস্পতিবার গোধূলি বেলার রক্তিম সূর্য এই দৃশ্য দেখে যন্ত্রণার আগুনে দগ্ধ হয়, লজ্জায় মাথা নিচু করে কাউকে কিছু না বলেই হারিয়ে যায়।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বেশ ভাল খবর জানালাম দাদা

    শুভ কামনা----

মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রত্যয়

আজ সকাল থেকেই বীথির মন খারাপ। মন খারাপ হওয়ার মত কিছু ঘটনা গত কয়েকদিনে ঘটেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে মন খারাপ সেটা বীথি বের করার চেষ্টা করছে, পারছে না। আজ মার্চ মাসের ২৫ তারিখ। দুই-তিনদিন হল অস্বস্তিকর রকমের গরম পড়েছে। এই সময় এই রকম গরম হলো ঝড়ের পূর্বাভাস। গত কয়েকদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে। শুধু বারবার মনে হচ্ছে, সামনে খুব খারাপ সময়, ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে।
বীথি নবম শ্রেণীতে পড়ে। তবে দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে তার স্কুল এখন বন্ধ। স্কুল বন্ধ থাকলে বীথির একদম ভালো লাগে না। বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে না কত দিন হয়ে গেলো। বাসায় বসে শুধু গল্পের বই পড়ে বিষণ্ণ সময় কাটাতে হচ্ছে। একটু যে বন্ধুদের বাসায় যাবে সে উপায়ও নেই। শহরে শুধু কারফিউ আর কারফিউ। কখন কারফিউ থাকবে আর কখন থাকবে না তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে, কিন্তু ঘোরাঘুরি একেবারেই বন্ধ।
বীথির আগে রাজনীতি নিয়ে তেমন কোন উৎসাহ ছিল না। এখনও যে খুব একটা উৎসাহ তৈরি হয়েছে তা না। তবে ভাইয়ার মুখে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের অত্যাচার আর শোষণের গল্প, ষড়যন্ত্রের নীলনকশার কথা শুনতে শুনতে তাদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মেছে। বীথির ভাই ইমতিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। খুবই রাজনীতি সচেতন ছেলে। গত কয়েকদিনে ভাইয়ার অস্থিরতা দেখেই বীথির মনে খচখচানি তৈরি হয়েছে। সে পরিষ্কার বুঝতে পারছে এই দুর্ভাগা বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে কোন এক কালবৈশাখী ঝড় প্রচণ্ড বেগে আঘাত হানতে এগিয়ে আসছে।
ভাইয়ার কাছে এই কয়েকদিনে বীথি যেই মানুষটার গল্প সবচেয়ে বেশি শুনেছে, তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শুনতে শুনতেই শেখ সাহেবের প্রতি একটা ভালোলাগা তৈরি হয়েছে। কী... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...