পড়াশুনা পড়াশুনা করে আমাদের পুরো জীবনটাই শেষ বলতে গেলে। তাই দেখি এটা নিয়ে কি লেখা যায়।
পড়িতে পড়িতে বাড়া,
যাইতেছি আমি মারা,
পড়িতে না আর ভাল লাগে।
মাথা মুথা চুল খাড়া,
কবিরাজে দিল ঝাড়া,
বই খানা ছিঁড়ে ফেলি রাগে।
বয়সে হইয়া পাঁচ,
কখনো করিনি আঁচ,
পড়াশুনা হবে এত জ্বালা।
কপালে পড়িল ভাঁজ,
চোখেতে লাগিল কাঁচ,
কান বুঝি হয়ে গেল কালা।
সকাল সকাল উঠি,
খাইয়া ভাজি ও রুটি,
মাথা গুজে পড়া করি শুরু।
স্কুলে চুনো পুঁটি,
কখন যে হবে ছুটি,
এই বুঝি এসে গেল গুরু।
ভয়ে যে কাপিল পা,
ভুলে গেছি সব, যা!
ধরলে কি বলব না জানি।
স্কেল এ বারি খা,
ডাকিয়া আনিল মা,
অপমানে মাথা গেল হানী।
বিজ্ঞান দিল মোরে,
“ডাক্তার বানাব তোরে”
বলে দিল বাপ মা দুজনে।
মাথায় ঢুকে না, ওরে!!
কার সাথে কি যে জোরে,
বাচবোনা বুঝি এই ভুবনে।
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে অত
পড়াশুনা হল কত?
খাচ্ছি তো ঘাড়ে বসে তোমারই।
বেকার বসেছে যত,
মাথা তারা করে নত,
পড়াশুনা লাভে হল সবারই।
Comments (11)
শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে ললিতকলার চর্চায় নিবিষ্ট তরুন কবি শফিকুল ইসলাম এর জীবন ঘনিষ্ট সাহিত্য কর্ম “শ্রাবন দিনের কাব্য” এক দুঃখ-বেদনা বিরহের প্রতীক । যেখানে কোন শব্দ জড়তা নেই ,শব্দের বাহুল্য নেই । নিরীক্ষা প্রয়াসী কবি ছন্দের সযত্ন শাসন মেনে শব্দ চয়ন,পঙক্তি বিন্যাস ,প্রতীক উপমা উৎপ্রক্ষায় যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ ঘাত-প্রতিঘাতের অব্যক্ত বানী ব্যক্ত করে সমৃদ্ধ করেছেন “শ্রাবণ দিনের কাব্য “।
পড়তে পারলে ভাল লাগত।