"রক্ত আমার এখন পথে মুছে যায় নি
জনতার স্রোত মন্থর হয়ে থেমে থাকেনি
রক্ত আমার জ্বলছে বিষের আগুনে
চারিদিক আজ প্রতিহিংসার আগুনে
আমি প্রতিশোধ নেব এবার।
ও গো মা তুমি কেদো না
মিলনের রক্তে আমি
হটিয়েছি স্বৈরাচারী
উড়িয়েছি স্বাধীনতার পতাকা"
উপরের গানের কলিগুলো প্রমিথিউস ব্যান্ডের ‘মিলনের রক্ত’ গান থেকে নেয়া। খুব ছোট থাকতে আমাদেরই এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রমিথিউস ব্যান্ডের এলবাম নিয়ে যে গানগুলো শুনেছিলাম, তার মধ্যে এই গানটি নিঃসন্দেহে আমার হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মোৎসর্গতা নিয়ে রচিত গানটি আজও আমি যখন শুনি, তখনও আমার রক্তেই এক অন্যরকম শিহরণ অনুভব করি।
http://www.youtube.com/watch?v=VMsldGhjLK8&feature=player_embedded
আসলে, শহীদ ডা: মিলন, শহীদ নূর হোসেন বা শহীদ রাউফুন বসুনিয়াকে নিয়ে গান, সাহিত্য, বা ভিডিও যাই তৈরি করা হোকনা কেন, সেটা আমাদের রক্তে আলোড়ন তোলে। আমরা বুঝতে পারি ১৯৯০-এর দশকে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষকে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে, কতটা আত্মত্যাগ তাদের ছিল। আমরা বুঝতে পারি সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে গণতন্ত্রকে আমরা পেয়েছি, তার মূল্য কতখানি! তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে রাস্ট্রকতৃক জনগণের উপর আরোপিত যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে।
কিছুদিন আগেই ১০ই নভেম্বর ছিল শহীদ নূর হোসেনের প্রয়াণ দিবস। গতকাল ২৭ শে নভেম্বর ডাঃ মিলনের শহীদ দিবস। কিন্তু, শহীদ ডা: শামসুল আলম খান মিলনের ২৪ তম শহীদ দিবসে আজ আমরা কি দেখছি...?
৯০-এর দশক গেল, ২০০০-এর দশক গেল, ২০১০-এর দশকও আসলো। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যহত হয়ে গেলেও তা হারিয়ে যায়নি বা তার অস্তিত্ব হুমকীর সম্মুখীন এতদিন হয়নি।
কিন্তু, ২০১৩ পেরিয়ে আজ ২০১৪; আর আজ কিনা গণতন্ত্রের অস্তিত্ব হুমকীর মুখে, গণতন্ত্র আজ হয়ে উঠেছে ‘গণতান্ত্রিক...
continue reading
Comments (5)
ভালো লাগলো ।