Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

হিটলার মো: আদনান

৯ বছর আগে লিখেছেন

পৃথিবীটা মানুষের পৈত্রিক সম্পত্তি !!!

আজ হঠাৎ একখানা মৃত চড়ুই পাখি দেখিয়া আমার ভিতরে সুপ্তাবস্থায় ঘুমিয়ে থাকা দেশ বরেন্য স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি হিটলার মোঃ আদনান লম্ফ দিয়ে জাগ্রত হইয়া গেল । সঠিক সময়ে লম্ফ দিলেও যেহেতু একে বু্ধিজীবি তার উপর আবার স্বঘোষিত সেহেতু রাত্রি ব্যতীত তো আর লেকচার দেওয়া যায় নাহ তাই চুপ খাইয়া গেলাম বা এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ভাষায় “খিছ খাইয়া ডিস্ দেখলাম” ।
হায়রে চড়ুই পাখি !! ছোট বেলায় কত চড়ুই পাখি দেখিয়াছি । কিন্ত এখন চড়ুই পাখি দেখতে চিড়িয়াখানায় যাওয়া ছাড়া উপায় নাই । আজ চড়ুই পাখি বিলুপ্ত প্রজাতি । অবশ্য বিলুপ্ত না বলে এদের শহীদ বলা উচিৎ । মানব সভ্যতার তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বার্থে এরা অকাতরে প্রান দিয়েছে যেমন প্রান দিয়েছে নগরায়নের স্বার্থে বন ও বনের পশুপাখি, শিল্পায়ের স্বার্থে জলজ প্রানী ।
মানুষের উচিৎ মানব সভ্যতার উন্নয়নে অবদান রাখা বিভিন্ন পন্ডিত ব্যক্তিদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলে এসব পরিবেশের বিলুপ্ত প্রানীকুলের নাম লিখে রাখা । কারণ মানব সভ্যতার উন্নয়নে এদের চেয়ে বড় অবদান আর কেউ রাখেনি আর রাখবেও না ।
অবশ্য পৃথিবীটা মানুষের পৈত্রিক সম্পত্তি, পরিবেশের প্রানীকুল হল এ সম্পত্তির অবৈধ্য দখলদার । তাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনায় যেন দেশে দেশে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে । তাড়িয়ে দাও এদের পৃথিবী থেকে তা তারা যেখানেই থাকুক না কেন ?? হোক তোমার বাসার দেয়ালের ফোকর কিংবা সুদূর মেরু অঞ্চল তাদের তাড়িয়ে পৃথিবীর অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে এটাই হলো আসল কথা ।
“পৃথিবীর সকল প্রাণী মানব সেবার জন্য সৃষ্টি হয়েছে” ধর্মের এই উক্তিটি সবাই মানি কিন্তু জীব হত্যার বিষয়ে প্রত্যেকটা ধর্মে নিষেধ থাকলেও তা আমরা দেখি না, মানিও না । কারণ এটা মানলে নিজেদের খুনী মনে হয় ।
আইন অনুযায়ী খুনীর ফাসিঁ হবে জানার পরও খুনীর অধিকার বজায় রাখার জন্য যেমন নিরপেক্ষ আদালতের ব্যবস্থা করা হয়, ঠিক তেমনি পরিবেশ ধ্বংসকে বৈধ্যতা দিতে “বিশ্ব জলবায়ু সম্মলন” বা “বন্য প্রানী সংরক্ষন দিবস” নামে মিছিল সমাবেশ বা হিমালয়ের চূড়া কিংবা সাগরতলে কনফারেন্স করা হয় ।
পৃথিবীর এই পরিবেশ বিপর্যের পরও যেসব প্রানী টিকে থাকবে তাদের নিকট জঞ্জালময় পৃথিবীটা বিক্রয় করে মানুষ চলে যাবে অন্য কোন গ্রহে আর জঞ্জালময় পৃথিবীটার বিক্রয়মূল্য স্বরূপ এইসব প্রাণীদের ধ্বংস করা হচ্ছে আর ভবিষ্যতে ধ্বংস করার জন্য খুজেঁ বেড়ানো হচ্ছে নতুন গ্রহ । হতে পারে সেটা মঙ্গল, বুধ কিংবা নেপচুন । তবে সেটা যে গ্রহই হোক সেখানে ধ্বংস করার মত কিছু আছে কিনা তা জানতেই সেখানে প্রানের অস্তিত্ব খোজাঁ হয় ।
যেহেতু আমি স্বঘোষিত হলেও একজন দেশবরেন্য বুদ্ধিজীবি সেহেতু সকল বক্তব্যের শেষে অন্যান্য বুদ্ধিজীবির ন্যয় উপদেশ বাণী দেয়া উচিৎ । তাছাড়া মৃতমানুষের যেহতু মূল্য বাড়ে সে হিসাবে আমার মৃত্যুর পর ছেলে মেয়েরা পরিবেশ নিয়ে রচনা লিখলে (অবশ্য পৃথিবী যদি ততোদিন টীকে থাকে !!), রচনায় মনিষীদের উক্তি লিখার জন্য হলেও আমার একটা উক্তি দেয়া উচিৎ । সবাই নোট করে রাখো তা না হলে আমার উক্তিও চড়ুই পাখির ন্যয় বিলুপ্ত হয়ে যাবে !!!

বিখ্যাত মনিষী, জীবন্ত কিংবদন্তী, জগৎবিখ্যাত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি হিটলার মোঃ আদনান তারঁ বিখ্যাত গ্রন্থ “ফেসবুক”-এ বলেছেন :
“নতুন কোন গ্রহে পদার্পনের পর সেখানে প্রানের অস্তিত্ব কিংবা জলের অস্তিত্ব খোজাঁর আগে সেখানে অতীতে মানুষের পদচিহ্ন পড়েছিল কিনা তা খুজেঁ দেখ । কেননা অতীতে মানুষের পদচিহ্ন পড়লে সেখানে আর যাই থাকুক জীবনধারনের উপযোগী পরিবেশ থাকবে না ।”

Likes Comments
০ Share