শ্রীকৃষ্ণদী। কোন চিত্রকরের কল্পনায় যত সুন্দর করে আঁকা যায় তার চেয়েও শতগুন সুন্দর এই গ্রাম।আর এই স্বপ্নীল গাঁয়ের অনেক গুলো অভাবী সংসারের একটি হল কালুদের সংসার। উঠানের এক কোনে তার ছোট বোন কানের লতিতে হাত দিয়ে ফোপাচ্ছে। কিছুদূরে তার মা অল্প কিছু টাকি মাছ কচলাচ্ছে। কালুহাতে একটি দা নিয়ে সামনের তালগাছটাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যাচ্ছে আর অশ্লীল যত রকমের ভাষা আছে তা ঝেড়ে দিচ্ছে ঐ ছেলেটির দিকে যে কিনা তার বোনের কানের লতি ছিদ্রকরে দিয়েছে। আর ঘরের এক কোনায় ঝিম মেরে আফিম খোরের মত বসে আছে কালুর বাবা, লস্কর মির্জা। ছয় ফুট উচ্চতা আর গায়ের রং কুঁচকুচে কালো। এক সময় বেশ ঝাঁঝ ছিল তার। গ্রামে জমিজমা নিয়ে প্রায়ই মারামারি হতো। সে সব সময় তালুকদারদের পক্ষ নিয়ে মাঠে নামতো আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করত তার হুঁকার আর লাঠি চলতো সমান তালে। এই বিবাদের দিন ছাড়া কেউ কোনদিন তার উচুগলার আওয়াজ শোনেনি। এমনিতে সবাই তাকে সমীহ করত। ছোট ছেলে-মেয়েরো তাকে দেখে দৌড়ে পালাত কিন্তু তার ভাই আজগর মির্জা ছিল ঠিক তার উল্টো। দৈহিক গঠন তার মত হলেও আচরণ ছিল ঠিক তার বিপরীত। আশেপাশের চৌদ্দ গ্রামের সবাই তাকে আজগর ডাকুনামে চিনত। তার পরিণতিকেমনহবে, সুখকর হবে? না মোটেই না, তার পরিণতি ভয়ানক। দিনে দিনে সে বেশি উগ্রহয়ে উঠছিল। হরিদেসদি গ্রামের ওহাব মল্লকিদের বাড়িতে এক রাতে ডাকাতি করতে যায় সে;সোনা-দানা ,টাকা-পয়সা ডাকাতি করেও শান্ত হল না, আজগর মল্লিকের নতুন বিয়ে করা বউকেও তুলে নিয়ে এলো। আর বাড়ির পেছনের বড় তেঁতুল গাছটার নিচে নতুন বউয়ের সব স্বপ্ন ছিড়ে ফেলল তার শাড়ি-ব্লাউজরে সাথে। ওহাব মল্লকি ধুরন্ধর ব্যাক্তি। শহর থেকে পাঁচজন পেশাদার খুনিকে নিয়ে খালাস করলো আজগরকে।
যদিও তার নতুন... continue reading
যদিও তার নতুন... continue reading
Comments (3)
অনন্য
রঙের গায়ে রঙের খেলা
রঙ চিনিনা রঙের মেলা
রঙ ধনুতে কি রঙ থাকে
কি রঙ থাকে সাঝের বেলা।।
সুন্দর! শুভেচ্ছা রইলো।
সুন্দর চালিয়ে যান।।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ