কামাল কোন উত্তর না পেয়ে বেনুর দিকে রাগত নজরে তাকাল। বেনুর দৃষ্টি তার চোখকে ফাঁকি দিতে পারল না। সেই ভাবতে লাগল, সব মানুষগুলোই কি একই রকম। এখন যদি কিছুনা বলি হয়ত অন্য কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই আমাকে এখনই কিছু বলা উচিৎ।
তাই শান্ত গলায় বেনু বলল, তাহলে শুনুন আমার কথা-- আপনি যা মনে করেছেন আমি তা নই।
-- তাহলে আপনি কি? কামাল বলল।
-- আমি একজন আপনাদের মতই মানুষ।
-- মানুষ তো সবাই, তাই কি হযেছে -- ভনিতা করবেন না।
আমার মনে পড়ছে আমার বিগত ফেলে আসা স্মৃতিগুলো।
-- আমার আসল নাম জেসমীন আরা বেনু। আমার পিতার নাম সৈয়দ জাহিদ হাসান। তিনি একজন উর্দ্ধতন কালেক্টরেট কর্মকর্তা ছিলেন দিনাজপুরের। তিনি ছুটিতে রংপুরের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আমার মা মারা গেলে পরে ২য় বিবাহ করেন। সেই সৎমায়ের ছিল ভাই। তারা ছিল অর্থ লোভী এবং সম্পদ লোভী। আব্বা যা পছন্দ করতনা এবং তাদের কে ঘৃণার চোখে দেখত। একদিন তিস্তার চরে আব্বা যায় পাখি শিকারে। সেখান থেকে আব্বা আর ফেরত আসেনি।
তারপর সৎমায়ের সহযোগীতায় সম্পদ হরণ করার চেষ্টা করেন তারা। আমাকে নানাভাবে উৎপাত করতে থাকে। কিন্তু আমাকে কোন ভাবেই হাত করতে পারে না ওরা। এই জিনিষগুলো আমার জন্মদাত্রী মায়ের। ওই জিনিষের মধ্যে আছে আমার ছবি।
ওরা আমাকে হাত করতে না পেরে গৃহ বন্দী করে রাখে। এমন কি আমার উপর রাগ করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি ভাগ্যক্রমে সেখান থেকে বেঁচে গেলে তারা বলে আমি নাকি নিজে আত্মহত্যা করার জন্য নিজেই ঘরে আগুন দিয়েছি। আমি আর কিছু বলতে পারব না।
-- ও জিনিষগুলো আমাকে দিন। আমি ওগুলো অনেক কষ্টে ও যতেœ লুকিয়ে রেখেছি।... continue reading
Comments (3)
আমার মতে, যে মানুষের মাঝে পাগলামী নাই, সে কোন মানুষের ক্যাটাগরিতেই পরে না! আপনার পাগলামি আমার পছন্দ হয়েছে। এরকম চিন্তা আমি কখনও করিনি তা নয়। কিন্তু, তা বাস্তবায়ন করার ইচ্ছে হয়নি।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার মতে, যে মানুষের মাঝে পাগলামী নাই, সে কোন মানুষের ক্যাটাগরিতেই পরে না!
বেশ লাগল,,,,,একুশের শুভেচ্ছান্তে বসন্ত ভালোবাসা,
আরও একটি দারুণ ছবির পোষ্ট।
শুভেচ্ছা রইলো কামাল দা।
শুভেচ্ছা