"মনের ভেতর খরা চলে বেশ
বৃষ্টি হলে পরে আবার ভিজে উঠি,
কুয়াশা কেটে যায় ক্রমশ
মাঝে মাঝে চাঁদ দেয় উঁকি।।"
হেমন্ত প্রকৃতিঃ স্নিগ্ধতা কেবলই ছড়ায় মাকড়শার মত জাল। শাদা হিম জমে পরে থাকা শিউলীর গায়ে। পাখিরা শিস দেয়। বাতাসে ধানের গন্ধ, এখানে ওখানে ওড়ে ধানের গায়ের ছোট ছোট পোকা। তাদের গায়ে লেগে থাকে আফসান। প্রকৃতির সজীব স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় স্বপ্নত্থিত মন আকাশে মেলে দিতে চায় তার ডানা। ক্রমশ অন্ধকার ঘন হয়ে আসে আকাশে। সে অন্ধকার প্রসারমান; আমার চোখে ভাসছে, ভেসে আসছে...
আকাশের গায়ে উদ্গত হচ্ছে অদ্ভুত নীলাভ আঁধার। দূর দিগন্তের তলায় ফেলছে তার ছায়া। আমি আচ্ছন্ন হয়ে যাই। আমার মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় ঘুম লাগে। সে আচ্ছন্নতায় ভয়াল আকৃতির কোন জীব সরোষে খরগ উঁচিয়ে আমাকে তাড়া করে। আমি চিৎকার করে বলতে থাকি আমি কোন দোষ করি নি, আমাকে ক্ষমা কর। ধীরে ধীরে অন্ধকার কেটে যায়। ফিকে জোছনার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দেখি হঠাৎ মেঘের আড়াল থেকে জ্যোৎস্নাও হেসে ওঠে ফিক করে। তখন আমি বসে থাকি জোছনার পাশে রোদ্দুরের অপেক্ষায়।
যখন নারিকেল পাতার ফাঁক দিয়ে পূর্ণিমার পরিপূর্ণ চাদের আলোয় পূর্বের আকাশ রাঙা দেখায় তখন প্রহরগুনি নতুন একটি ভোরের। সিরসির করে করে বাতাস আসে। পাখিদের কলতান; কী মধুর তার শব্দ! হঠাৎ ধক করে বারুদের মত জ্বলে ওঠে সূর্য। চারিদিক আলোকিত হয়। নাকে ভেসে আসে রাতে ফুটে থাকা দোলনচাঁপার গন্ধ। বাগানের কোণে শিউলী। মাটিতে ঝরে আছে শাদা ফুল। আমি শিশির ভেজা ফুল কুড়োতে যাই। দেখি সম্মুখে তুমি দাঁড়িয়ে। অতঃপর বলি___ “কেমন আছো তুমি?”
continue reading
বৃষ্টি হলে পরে আবার ভিজে উঠি,
কুয়াশা কেটে যায় ক্রমশ
মাঝে মাঝে চাঁদ দেয় উঁকি।।"
হেমন্ত প্রকৃতিঃ স্নিগ্ধতা কেবলই ছড়ায় মাকড়শার মত জাল। শাদা হিম জমে পরে থাকা শিউলীর গায়ে। পাখিরা শিস দেয়। বাতাসে ধানের গন্ধ, এখানে ওখানে ওড়ে ধানের গায়ের ছোট ছোট পোকা। তাদের গায়ে লেগে থাকে আফসান। প্রকৃতির সজীব স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় স্বপ্নত্থিত মন আকাশে মেলে দিতে চায় তার ডানা। ক্রমশ অন্ধকার ঘন হয়ে আসে আকাশে। সে অন্ধকার প্রসারমান; আমার চোখে ভাসছে, ভেসে আসছে...
আকাশের গায়ে উদ্গত হচ্ছে অদ্ভুত নীলাভ আঁধার। দূর দিগন্তের তলায় ফেলছে তার ছায়া। আমি আচ্ছন্ন হয়ে যাই। আমার মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় ঘুম লাগে। সে আচ্ছন্নতায় ভয়াল আকৃতির কোন জীব সরোষে খরগ উঁচিয়ে আমাকে তাড়া করে। আমি চিৎকার করে বলতে থাকি আমি কোন দোষ করি নি, আমাকে ক্ষমা কর। ধীরে ধীরে অন্ধকার কেটে যায়। ফিকে জোছনার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দেখি হঠাৎ মেঘের আড়াল থেকে জ্যোৎস্নাও হেসে ওঠে ফিক করে। তখন আমি বসে থাকি জোছনার পাশে রোদ্দুরের অপেক্ষায়।
যখন নারিকেল পাতার ফাঁক দিয়ে পূর্ণিমার পরিপূর্ণ চাদের আলোয় পূর্বের আকাশ রাঙা দেখায় তখন প্রহরগুনি নতুন একটি ভোরের। সিরসির করে করে বাতাস আসে। পাখিদের কলতান; কী মধুর তার শব্দ! হঠাৎ ধক করে বারুদের মত জ্বলে ওঠে সূর্য। চারিদিক আলোকিত হয়। নাকে ভেসে আসে রাতে ফুটে থাকা দোলনচাঁপার গন্ধ। বাগানের কোণে শিউলী। মাটিতে ঝরে আছে শাদা ফুল। আমি শিশির ভেজা ফুল কুড়োতে যাই। দেখি সম্মুখে তুমি দাঁড়িয়ে। অতঃপর বলি___ “কেমন আছো তুমি?”
continue reading
Comments (6)
বাহ!
পোষ্টের বিস্তারিত পড়ে আবার আসছি মন্তব্যে
অপেক্ষাইলাম।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি ভুটানে যেয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে আসার জন্য। বর্ণনা পড়ে ভুটান সম্বন্ধে টুকটাক জানলাম। মনে হচ্ছে এটা একটা ধারাবাহিক। তাই আশায় আছি পরবর্তী পর্বে হয়তো ভুটানের সংস্কৃতি সম্বন্ধে কিছু জানতে পাড়বো। জেনে খুশি হলাম যে ভাবী একজন সংস্কৃতিকর্মী। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভাতিজী আফসারাকে আমার আদর আর ভালোবাসা দিবেন। বাকী যে কয়জন ছোট্টমণি ছিল তাদেরও দিবেন। পুরো টিমকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাবেন। ধন্যবাদ ইমরান ভাই।
হুম। এটার আর একটা পর্ব লিখেছিলাম। খুব রিসেন্ট সেটাও দেব। আর শুধু ছবি নিয়ে সম্ভব হলে একটা পর্ব দেব। আপনার আদর ও শুভেচ্ছা সবাইকে পৌঁছে দিলাম। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
ভ্রমণ বৃত্তান্ত পুরোটাই পড়লাম। ভাল লাগল। আমি ১৯৮৩সালে ভুটানে যাওয়ার উদ্দেশে গলাধাক্কা পাশপোর্টে ইনডিয়া গিয়ে দেড় মাস ছিলাম। ইচ্ছা থাকা সত্বেও ওদিকে যাওয়া হয় নাই। তবে ছবি ও বর্ণনা পড়ে সেই না যাওয়ার অভাব কিছুটা মিটে গেল। শুভেচ্ছা রইল।
গলাধাক্কা পাস্পোর্ট আবার কি জিনিষ ভাই। এই নাম তো আগে শুনি নাই। আর মজার বিষয় হল। ইন্ডিয়ার ভিসা থাকলে ভুটানের ভিসা লাগে না।