Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শেষ রাতের আঁধার

৯ বছর আগে লিখেছেন

ছোটগল্পঃ দেয়াল বন্ধী অপেক্ষারা

- তোমার নাকের সাথে আমার নাক , ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লেগে আছে তাই না , বল ?
- তো ? কি হইছে ? লাগতেই পারে ।
- তুমি কি আমাকে ভালবাস ?
- একদম না ।
- কেন ?
- আগে বল বাসব কেন ?
- আমরা এতো দিন ধরে এখানে একসাথে আছি । কথা বলছি । ভাল , খারাপ , আনন্দ , দুঃখ নিজেদের মাঝে বিনিময় করছি , এটা কি কম কিছু ?
- বেশী কিছুও না । একসাথে থাকলে এমন হতেই পারে ।
- তোমার আশেপাশে আরও অনেকে আছে তাদের সাথে তো কথা বলছ না । আমার সাথে বলছ ।
- তাতে কিছুই বুঝায় না । আর এসব বাদ দাও । আমরা বোধহয় আর কিছুক্ষণ পরেই আলাদা হয়ে যাচ্ছি ।
- কি বল ? কে বলল ?
- আজকেই নাকি কাজ শুরু হবে । শুনলাম আর কি ।
- চিন্তা নেই । তুমি আমি একসাথেই আছি । এভাবেই থাকব । আলাদা জায়গায় আমাদের রাখা হবে না ।
- জানি না ।
মুখটা একটু গোমড়া করেই টিটা বলল । সেদিকে তাকিয়ে চোখটা বুজে ফেলল এট । টিটার মুখটা বেশীক্ষণ গোমড়া দেখতে খারাপ লাগে । চোখ বুজেই এট বলল , ভালবাসি তোমাকে টিটা ।
টিটা কিছু বলল না , ছোট একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল ।
কাজ শুরু হয়েছে । সিমেন্ট বালু পানিতে মিশিয়ে তা মাখানো হচ্ছে । একটু পর একটার পর একটা ইটের মাঝে তা দিয়ে দালান তোলা হবে । টিটা আর এট দুজনকেও সবাই ইট বলে ডাকে । ওদের ভাগ্যেও তাই আছে । জন্মই হয়েছে এই জন্য । সে হিসেবে কিছুটা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - রব্বানী চৌধুরী

    কদম কৃষ্ণচূড়া ঝরে ঝরে গেলো এখন

    শুধু সবুজ ডানায় সাদা কাশফুল দোলায়-

    এবুঝি শরত এলো!নীল সাদা সবুজের ছোঁয়ায়।"

     

    মন ছুঁয়ে যাওয়া কবিতার লাইনগুলি

    শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    সুন্দর

    - সুলতানা সাদিয়া

    ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।

    Load more comments...

শেষ রাতের আঁধার

১০ বছর আগে লিখেছেন

ছোটগল্পঃঅভিনয়

- ভাত হবে?
- হ্যাঁ হবে।
- সাথে কি আছে?
- রুই,ইলিশ, বোয়াল, শোল, গরু, মুরগী।
- আর কিছু নাই?
- ডিম আছে।
- ভর্তা নাই?
- আছে। আলু ভর্তা। বাসি হবে।
- ব্যাপার না। দাম কত?
- ৫ টাকা।
- সাথে একটু ডাল দেয়া যাবে?
- ২ টাকা দিতে হবে বেশি।
- আচ্ছা, ভর্তা ভাত আর একটু ডাল দেন।
আসিফ বসে আছে, ফুটপাথের এক দোকানে। রোদ আসছে উপরের পলিথিনের ফুটো দিয়ে। শীত শীত ভাবে, একটু রোদ, বেশ লাগছে। বাসি আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে, ভাত চলে এসেছে। মেখে মেখে খাচ্ছে আসিফ। একটু একটু টক লাগছে, ওটা ব্যাপার না। ১২ টাকায় দুপুরে পেট ভরে খাওয়া হয়ে গেল। বেশ তো। ফিল্টার পানি খেলে আলাদা টাকা দিতে হবে। এর চেয়ে জগ ভর্তি পানি, ঢক ঢক করে খেয়ে ফেলল। তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে, বিল মিটিয়ে বের হয়ে আসল আসিফ। পকেটে এখন ৩ টাকা আছে। ১৫ টাকা রুমমেটের টেবিলের ড্রয়ার থেকে চুরি করল। সুবীর ছেলেটা ভাল অনেক। টাকা পয়সা চাইলেই দিয়ে দেয়। কত টাকা নিল আসিফ, হিসেবও রাখে না। হয়ত কখনও শোধ করা হবে না। ফেরত চায় সুবীর তাও না। একদিন আসিফকে বলল, বন্ধু, তোর টাকা পয়সা কখনও ধার লাগলে বলিস।
পরদিনই আসিফ সুবীরের কাছে গিয়ে বলে, বন্ধু, খুব বিপদে পড়েছি। কিছু টাকা ধার দিতে পারবি?
সুবীর মানিব্যাগ বাড়িয়ে দেয়। আসিফ মানিব্যাগ ঘেঁটে টাকা নিয়ে যায়। তিন দিনে সে টাকা শেষ। পরে আবার বলে, বন্ধু আবার কিছু টাকা দিতে পারবি?
সুবীর আবার বাড়িয়ে দেয় মানিব্যাগ। বাড়িয়ে দিয়ে বলে, একটু বেশি করে নে। সমস্যা নেই।
আসিফ নির্লজ্জের মত বেশি করেই নিয়ে নেয় টাকা। সুবীর ক্লাসের সবচেয়ে ভাল ছাত্র ছিল, পাস... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মেজদা

    একটার পর একটা পরে যাচ্ছি, খুব ভাল লাগছে। 

শেষ রাতের আঁধার

১০ বছর আগে লিখেছেন

বেঁচে থাকা ভালবাসা

 
- আবার কবে আসবি?
মায়ের কথায় মুখের দিকে তাকাল হিমেল। আবার কবে আসবে? এসে কি হবে? এবার এসেও খুব একটা লাভ হল, তা না। অনেক দিন ধরে, আসবে আসবে করেও আসা হয় না বাসায়। এবার ক্লাস মিস দিয়েই চলে আসল। না আসলে চলত না। পকেটের কথা চিন্তা করতে হবে। বাসের হেল্পারের সাথে অনেক ঝগড়া করে, ৮০ টাকার ভাড়া ৩৫ টাকা দিল। পকেটে ছিল ৩৮। ছাত্র ভাড়া। হেল্পার এতদূরের ছাত্র নিবে না। কোন হাফ ভাড়া নাই। আর হিমেল দিচ্ছে, হাফ ভাড়ার চেয়েও ৫ টাকা কম। এ মানা যায় না। হিমেলও দিবে না বেশি। অবশেষে কয়েকটা খারাপ কথা বলে, হেল্পার চলে যায়। ওসব হিমেল শুনে না। পকেটে টাকা না থাকলে নানা জনেই নানা কথা বলে। ওসব শুনলে হয় না। বাসায় এসে ৪ দিন ধরে পকেটে ঐ ৩ টাকা নিয়ে ঘুরল। এখন চলে যাচ্ছে ঢাকাতে। টাকার খুব দরকার ছিল। কয়েকদিন খুব কষ্ট করে চলতে হল। বন্ধুদের থেকেও ধার করল ৩০০ টাকা। এখন মা আগামী সপ্তাহের জন্য খরচ দিল ৫০০ টাকা। ৩০০ টাকা বন্ধুদের দিয়ে দিলে, থাকবে ২০০ টাকা। ২০০ টাকা দিয়ে চলা যায় নাকি? গত সপ্তাহে এতো খরচ হত না। তিশার সাথে দেখা করতে হল। খুব করে বায়না ধরল, বাণিজ্য মেলায় যাবে। নিয়েও গেল। তিশা কিছু কিনবার আবদার করেনি। তবুও কিছু না দিলে কেমন যেন দেখায়। বার বার বলে হিমেল, নাও না কিছু। দাম বেশি, তিশা নিবে না কিছু। তবুও অনেক জোরাজুরির পর, এক জোড়া কানের দুল কিনল। অত ছোট ছোট দুইটা কানের দুল, দাম নিল ৩৫০ টাকা। কোন মানে হয়? সব ডাকাত। সপ্তাহের শেষ দিকে টানাটানি। ধার করে চলেও তাও শেষ,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - ঘাস ফুল

    আপনার মতো আমারও গুঁড় তৈরি করার প্রক্রিয়া একবার দেখার সুযোগ হয়েছিল। দারুণ উপভোগ করেছিলাম সেই রাতটা। আজ আপনার পোষ্ট দেখে সেদিনের কথা মনে পড়ে গেলো। ছবিগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন কামাল ভাই। ছবিতে ছবিতে আখ মাড়াই দেখে নিলাম। 

    • - কামাল উদ্দিন

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    আহারে মিঠাই আগে কত গরম গরম মিঠাই খাইছি। আপনার ছবি দেইহা হেই সব কথা মনে পরতেছে।

    • - কামাল উদ্দিন

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    আহারে মিঠাই আগে কত গরম গরম মিঠাই খাইছি। আপনার ছবি দেইহা হেই সব কথা মনে পরতেছে।

    • - কামাল উদ্দিন

    Load more comments...

শেষ রাতের আঁধার

১০ বছর আগে লিখেছেন

ছায়া আলো

 
ভয় পেয়েছে নিশান। অনেক বেশি ভয়। ভয়ে হাত পা কাঁপছে। এমন হবার কথা না, তবুও এমন হল। ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।দেয়ালে কারও ছায়া দেখেছে ও। ছোট একটা ছায়া। ঠিক নিমির সমান একটা ছায়া।নিমি কি তাহলে উঠে আসল? নিমি কি করে উঠবে? নিমি তো নেই। আর কখনও থাকবেও না। হাঁটবেও না, বসবেও না।গলা ধরে বলবে না, আব্বু মুখ থেকে পচা গন্ধ আসে।শায়লাকে মারার সময় বলবে না, আব্বু আম্মুকে মার কেন?শায়লার গয়না নিয়ে যাবার সময় বলবে না, আম্মু দেখলে রাগ করবে। রাতের শেষে ঘরে এসে আর দেখবে না, মেয়েটা জেগে আছে। মেয়েটা আর বলবে না, আব্বু আগের মত হয়ে যাও।  
আগে যা করত তাও করবে না।
নানা আবদারে নানা কথা বলবেও না। বাবা বাবা বলে গলা জড়িয়ে ধরবে না।আঙ্গুলের সাথে আঙ্গুল মিশিয়ে বলবেও না, যাও তোমার সাথে আড়ি। মাথায় টুপি পরিয়ে দিয়ে বলবে না, আব্বু কান গরম থাকলে আর ঠাণ্ডা লাগে না। কুট কুট করে কামড় দিয়ে, নিশানের জামার বোতাম ছিঁড়ে বলবেও না, বাবা ভাল লাগছে অনেক। খেতে বসে মুখে মাংসের টুকরা দিয়ে বলবে না, আব্বু খাও খাও। গোসল করে এসে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বলবে না, ঠাণ্ডা লাগে আব্বু।তোমার সোয়েটারের ভিতরে যাব।খাতায় গোল গোল কয়েকটা, দাগ দিয়ে এসে বলবে না, আব্বু এইটা তুমি। আমি আঁকছি। জ্বর আসলে, ছোট হাতগুলো দিয়ে মাথায় হাত রেখে বলবে না, আব্বু আমার কষ্ট হয়, কান্না পায়। কখনও আর বলবে না, আমার আব্বু সবার চেয়ে ভাল।
সবচেয়ে বড় কথা আর কখনও বলবে না, তুমি আমার আম্মুকে মারলে কেন?
শায়লাকে মেরে ফেলেছে নিশান। নিজ হাতে।নিমির সামনে। নেশা করে এসে, কাঁপতে কাঁপতে সেদিন শায়লার গায়ে হাত তুলল।শায়লা বলে, তুমি আমাকে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - কে এম রাকিব

    ‘প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত’ নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো এই লেখাটি শুধু তোমার জন্যই প্রযোজ্য নয়
    এখানে ভ্রমর ও পাখিদের প্রবেশ নিষেধ, নিষেধ রয়েছে প্রজাপতিদেরও ফুলে বসার 
    তোমার ওপর থেকে দৃষ্টি সরে যাবে বলে নিষিদ্ধ করে দিয়েছি জনতার কোলাহল

    ভিন্নধর্মী ভঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেছেন। বেশ লাগল। শুভকাম্না প্রিয় ঝড়।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আপনার জন্যও

    - কামাল উদ্দিন

    • - মোকসেদুল ইসলাম

    - কামাল উদ্দিন

    সুন্দর ভালোবাসার গল্প

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    Load more comments...

শেষ রাতের আঁধার

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভাবতে পারি ভালবাসা

- আশিক, আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
- মানে?
- হ্যাঁ, সত্যি কথা।
সামনে বসে আছে নিধি। আশিকের সামনে। একটা লাল রঙের শাড়ি পরে। মুখে ক্রিম অথবা পাউডার মাখা। নিধি এমনিই সুন্দর দেখতে। আজ আরও বেশি লাগছে। বিয়ের সাজে সাজলে সব মেয়েকেই সুন্দর লাগে। তবে একটু আগে, নিধি যে কথাটা বলল, তা শুনবার পর, এই সুন্দর টুকুই অসহ্য লাগছে আশিকের কাছে।
- কি বলতেছ তুমি?মাথা খারাপ?
- মাথা খারাপ হবে কেন? আব্বু আম্মু বিয়ে ঠিক করেছে, করে ফেলতেছি।
- আমার কি হবে?
- তুমিও একটা বিয়ে করবা। আমার থেকে সুন্দরী।
- আমি তো তোমাকে বিয়ে করব।
- তোমার বিয়ের বয়স হইছে? মেয়েদের বিয়ের বয়স হয়, ২০ এর পর। আর ছেলেদের হয়, বউকে ভালভাবে রাখার মত, উপার্জন করার পর।
- এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে কেন?আমি তো আর কয়েক বছর পরেই,এস্টাব্লিশড হয়ে যাব।
-আমার পরিবার এতদিন অপেক্ষা করবে না।
- নিধি, এই নিধি।
- বল।
- একটু বুঝাও না বাসায়। আমি তোমাকে ভালবাসি অনেক।
- আমিও বাসতাম।
- এখন বাস না?
- ভেবে দেখলাম, তোমার মত বেকারের সাথে প্রেম করার চেয়ে,বাবা মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে ফেলা ভাল।
- এভাবে বইল না প্লিজ। কষ্ট লাগে।আমি তোমাকে ভালবাসি। আমাকে আর এক বছর সময় দাও, আমি ঠিক ব্যবস্থা করে ফেলব একটা।
- তুমি এক বছরে তো বের হতেই পারবে না, পাস করে। কিসের ব্যবস্থা করবে?
- করে নিব ঠিক। দরকার হলে সারাদিন টিউশনি করাব।
- টিচার আমার পছন্দ না।
- প্লিজ নিধি। একটু আব্বু আম্মুকে বলে বিয়েটা ভেঙ্গে দাও না।
- কেন ভাঙব? আমার বাবা মা ছেলেকে অনেক পছন্দ করেছে। তাছাড়া আমারও পছন্দ হয়েছে অনেক। এতো এতো টাকা তার।
-... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - ঘাস ফুল

    আকিফের সাথে আপনি কেন ফটোসেশনে নাই ফেরদৌসা আপা? সেটা কী ঠিক হল?

    যাহোক, আবারও বিজয়ীদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি পরবর্তী অনুষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষ আরও আন্তরিকতার সহিত ব্যবস্থা করবেন। অন্তত এই পর্বের মতো যেন না হয়। ধন্যবাদ ফেরদৌসা আপা।  

    • - ফেরদৌসা রুহি

      ঘাস ফুল ভাই আমি পাবলিক ব্লগে নিজের ছবি দিতে বিব্রতবোধ করি তাই ছবি থাকেনা।

      তিনটা পর্ব একসাথে করলে অনুষ্ঠানটা অনেক বেশি সুন্দর হত। তারপর নক্ষত্র ব্লগ নতুন হিসেবে ভালই করেছে। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ

    - সালাহ্‌ আদ-দীন

    ছবি এরকম লম্বা আসছে ক্যান?

    • - ফেরদৌসা রুহি

      কি জানি কেন এমন হল

    - মিশু মিলন

    বিজয়ীদেরকে আবারও অভিনন্দন!!

    ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

    • - ফেরদৌসা রুহি

      আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ

    Load more comments...
Load more writings...