বাসে-ট্রেনে-প্লেনে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশেরই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। সিলেট শহরে নেমেই দেখে আসুন পুণ্যাত্মা হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের (রা.) মাজার। হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানী।
সিলেটের অন্যদিকে মৌলভীবাজার। আসলে বিধাতা সৌন্দর্যের ডালি মেলে দিয়েছেন এ জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা উপজেলায়। সিলেট থেকে চলে এসে আস্তানা গাড়বেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এখান থেকে শুরু করবেন শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ আর কুলাউড়ার প্রকৃতি দর্শন। এ জেলাতেই দেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান। এখানেই আছে সবার পরিচিত লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক, মাধবপুর লেক, মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও ঝরনা, হাকালুকি হাওর, বাইক্কা বিল, হাইল হাওর। দেখবেন মণিপুরিদের গ্রাম, খাসিয়া পানপুঞ্জি। পাশাপাশি আছে অপেক্ষাকৃত অল্প পরিচিত আরও কয়েকটি রিজার্ভ ফরেস্ট। শ্রীমঙ্গলের কোনো চা বাগানের গেস্টহাউসে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করতে পারলে তো কথাই নেই।
হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত শেষে শহরেই ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দিতে পারেন। বিশেষ করে কীন সেতুর নিচে এখন নদীতীরে সময় কাটানোর সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, দেখে আসুন সেটা। সিলেট শহরের আশপাশেও চা বাগান আছে। এছাড়া শহর থেকে একদিকে জাফলং-লালাখাল-তামাবিল।
সিলেটে আস্তানা গেড়ে দেখে আসবেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া পাহাড়ের কোলে জাফলং-তামাবিল-লালাখাল-জৈন্তাপুর। ঈর্ষা হবে সীমান্ত থেকে ভারতের দিকে শুরু হওয়া খাসিয়া পাহাড়ের স্থানে স্থানে ঝরনা দেখে। কেন যে পাহাড়টা বাংলাদেশে পড়ল না!
যাতায়াতের বাহন হিসেবে সিলেট বা শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাস বা ট্রেনে যাওয়াই ভালো। এরপর ভাড়া করে নিন জিপ অথবা মাইক্রোবাস। যদি কেউ শুধু মৌলভীবাজারের প্রাকৃতিক নিসর্গ উপভোগ করতে চান তাহলে সিলেট পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নেই। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সোজা শ্রীমঙ্গল চলে যান। এরপর গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়ুন।
বিভাগীয় শহর সিলেটে কমদামি থেকে বিলাসবহুল-সব ধরনের হোটেল আছে। শ্রীমঙ্গলেও পাবেন সব মানের হোটেল-রেস্টহাউস।