Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Technology Image

বাংলাদেশীদের আবিষ্কার

মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2)



প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (আগস্ট ২, ১৮৩১ – জুন ১৬, ১৯৪৪) যিনি পি সি রায় নামেও পরিচিত তিনি ১৮৯৫ সালে মারকিউরিস নাইট্রাইট (HgNO2)আবিষ্কার করেন যা সে সময়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২ টি যৌগিক লবণ এবং ৫ টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।

উদ্ভিদ উদ্দীপনায় সাড়া দেয়



পৃথিবীর প্রথম বায়োফিজিস্ট স্যার জগদীশচন্দ্র বসু (নভেম্বর ৩০, ১৮৫৮ – নভেম্বর ২৩, ১৯৬৭) প্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদও উদ্দিপণায় সাড়া দেয়। তিনিই প্রথম উদ্ভিদ গবেষণায় পদার্থ বিদ্যা প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে এবং দেশীয় উপাদানে তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক সংবেদনশীল যন্ত্রের মডেল আবিষ্কার করেন যা অনেকটা কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের মতো। উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও সংবেদনশীলতা মাপতে ব্যবহৃত হয় এই যন্ত্র।

তাপীয় আয়নবাদ তত্ত্ব



বাংলাদেশী বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা ( ৬ অক্টোবর, ১৮৯৩ – ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬) তাপীয় আয়নবাদ (Thermal Ionization) সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থ বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।


পাট থেকে পাটকাঠি এবং পাটকাঠি থেকে রেয়ন



বাংলাদেশী রসায়নবিদ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা (ডিসেম্বর ১, ১৯০০ – নভেম্বর ৩, ১৯৭৭) পাঠ ও পাঠকাঠি থেকে রেয়ন, পাঠকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার করেন যা এখনো বাংলাদেশের উল্লেখযোগ আবিষ্কার।


সংকর ধাতু উৎপাদন



বাংলাদেশের বিখ্যাত মহাকাশ গবেষক আব্দুস সাত্তার খান (১৯৪১ – ৩১ জানুয়ারি,২০০৮) নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময় ৪০ টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ ১৬ ও এফ ১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


রেকডি (জেনেটিক রিকম্বিনেশনের জিন)

বাঙ্গালী জিন বিজ্ঞানী ১৯৮৩ সালে পিএইচডি গবেষণাকালে আবেদ চৌধুরী (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ -) রেকডি নামক জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটী নতুন জিন আবিষাকার করেন যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়। তিনি অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত তিনতি নতুন জিন আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে এই জিনবিশিষ্ট মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়। তার এই আবিষ্কার এপোমিক্সিস এর সূচনা করেছে যার মাধ্যমে পিতৃহীন বীজ উৎপাদন সম্ভব হয়।


উলের প্রোটিন থেকে চিকিৎসা পদ্ধতি

বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আজম আলী (১৯৬৭ -) প্রোটিন থেকে এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে অগ্নিদগ্ধ ও রাসায়নিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর ত্বক ও মাংশপেশীর আরোগ্য সম্ভব। এ কাজ সম্ভব করেছেন উল দিয়ে। উলে কেরাটিন নামের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনটি মানুষের নখ ও চুলেও পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে এগুলো ব্যবহার করলে শুধু ত্বকই নয়, মাংসপেশির টিস্যুও তৈরি করবে। তাছাড়া তুলনামূলকভাবে অন্যান্যগুলোর চেয়ে দ্রুত কাজ করে এটি।


সোনো ফিল্টার



পানি ফুটিয়ে বা অন্য কোনভাবে খাবার পানি থেকে আর্সেনিক দূর করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু অধ্যাপক আবুল হুসসাম (১৯৫২-) ও তার ছোট ভাই মিলে সোনো ফিল্টার একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। যার মাধ্যমে কম খরচে ভূগর্ভস্থ আর্সেনিকযুক্ত পানি পরিশোধন করা যায়। ২০০৭ সালে এটি টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে পরিবেশ বিষয়ক অন্যতম সেরা আবিষ্কার ছিল।


স্পেকট্রোমিটার



বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. আনিস রহমান যুগান্তকারী একটি আবিষাকার স্পেকট্রোমিটার। মূলত এই আবিষ্কার দিয়েই তিনি আলোচনায় চলে আসেন। কেননা তার আবিষ্কৃত স্পেকট্রোমিটার দিয়ে যেকোনো ধরণের বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত করা সম্ভব। এ ছাড়া এ মেশিন যেন ভুল সিগন্যাল না দেয় অথবা সন্ত্রাসী বা যাতে সিগন্যাল আড়াল করতে না পারে সে জন্য বিশেষ ধরণের সেন্সর ও ন্যানো প্রযুক্তির আলোকরশ্মি। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ নিরাপত্তাজনিত কারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।


কলেরার কারণ আবিষ্কার



প্রথমে ধারণা করা হত যে, নতুন ধরণের ব্যক্টেরিয়া কলেরা রোগীর জন্য দায়ী। কিন্তু আন্তর্জাতিক কলেরা গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডি ডিয়ায়বি’র আনবিক জেনেটিক্স বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাহ এম ফারুক ও তার গবেষণা দল এ ধারণা পাল্টে দেন। তারা আবিষ্কার করেন ‘ভিবরিও’ নামে এক ধরণের ব্যাক্টেরিয়া আছে যা কলেরা সংক্রমণের জন্যে দায়ী। আন্যান্য ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এসে একে আরো কার্যকরী বা শক্তিশালী করে তোলে।


পাটের জিন নকশা



বাংলাদেশী জিনতত্ত্ববিদ ড. মাকসুদুল আলম (১৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ - ) এর নেতৃত্বে একদল উদ্যমী গবেষকের প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা। এই আবিষ্কারের ফলে ভবিষ্যতে নতুন উন্নত জাতের পাট উৎপাদনের সম্ভবনা উন্মোচিত হয়েছে।


সোলার এনার্জি সেলস



বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর সোলার এনার্জি সেলস উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. জামাল উদ্দিন ইতিহাস গড়েছিলেন। তিনি এবং তার গ্রুপ সোলার সেল থেক শতকরা ৪৩.৪ পুনঃব্যবহার যোগ্য এনার্জি উৎপাদনে সক্ষমত অর্জন করেছিলেন যা স্পেক্ট্রোল্যাবের সোলার সেলের তুলনায় প্রায় ৪% অধিক কার্যকর ছিল।


রেল লাইন স্পর্শ না করেই চলবে ট্রেন



রেল লাইন স্পর্শ না করেই চলবে ট্রেন কল্পনা করা যায়। এ অবিশ্বাস্য ঘটনাটি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশের কৃতী বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম। তিনি এটি করেন চুম্বকের সাহায্য যার মাধ্যমে ট্রেনটি সামনে এগিয়ে যাবে এবং গন্তব্যে পৌঁছবে চোখের পলকে।


জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন তত্ত্ব



জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসা যে মূলনীতির উপর ভিত্তি করে নিরাময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ভুল প্রমাণিত করে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী রেজাউল করিম। তিনি এই চিকিৎসা ক্ষেত্রে ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য নতুন তত্ত্ব দেন।