বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের হোম ম্যাচে বরাবরই বাংলাদেশ ফেভারিট। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ঘরের মাঠে দারুণ পারফরমেন্স করে ‘বেঙ্গল টাইগার্স’রা। ২০১১-তে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে পাকিস্তানকে ৩-০ ও লেবাননকে ২-০ তে হারিয়েছে এবং পাকিস্তানে গিয়ে গোলশূন্য ড্র করে ফেরে।
১১ ও ১৬ জুন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম দুটি ম্যাচ কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায়। এই দুই ম্যাচকে ঘিরে স্বপ্নের জান বুনছে কোচ-কর্মকর্তা-খেলোয়াড় থেকে কোটি সমর্থক। অতীত রেকর্ড যে মামুনুলদের বলছে ‘তোমরা পারবে।’ দেশের মাঠে খেলা। তাই জেতার আশা অবাস্তব নয় সমর্থকদের। এককভাবে পারফর্ম করে ম্যাচ জেতানো তারকা হয়ত নেই কিন্তু দল হিসেবে দারুণ বাংলাদেশ। ‘টিমগেম’ হিসেবে খেলে জয় ছিনিয়ে আনতে প্রস্তুত লাল-সবুজরা।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও জর্ডান। এই দুই দলের বিপক্ষে হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় কিংবা ড্র আশা করাটা বাস্তবতার খাতিরেই অসম্ভব। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ। জর্ডান তো আরেকটু হলে ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেই ফেলছিল। কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তানে গিয়ে খেলাটাও চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাদ পড়লেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা থাকবে ভালোভাবেই। এএফসির নতুন ফরম্যাটে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ছিটকে পড়ারা সুযোগ পাবে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। তাই বাংলাদেশ যদি পাঁচ দলের এই গ্রুপে তিন কিংবা চার নম্বরে শেষ করতে পারে, এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সহজ প্রতিপক্ষ পাবে। পঞ্চম হলেও প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের সুন্দর আগামীর ছবি আঁকতে আজকে (১১ জুন) কিরগিজস্তান ও ১৬ জুনের তাজিকিস্তানের ‘হোম ম্যাচ’ দুটি গুরুত্বপূর্ণ।