Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

বিশ্ব ভোক্তা দিবস




ভোক্তা অধিকার দিবস স্লোগানঃ
Consumer’s Right to Healthy Food
(ভোক্তার অধিকার স্বাস্থ্যকর খাদ্য)

১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। এ বছর দিবসটির কনজ্যুমারস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ঈড়হংঁসবৎ’ং জরমযঃং :ড় ঐবধষঃযু ঋড়ড়ফ (স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভোক্তার অধিকার)’। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরÿণ অধিদপ্তর ও কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অভ্‌ বাংলাদেশ (ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে দেশব্যাপী দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে ঢাকা হতে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকাসমূহে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে এবং সারাদেশে বিভাগ হতে উপজেলাপর্যায়ে দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রতিফলিত পোস্টার প্রদর্শন এবং লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হবে।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরÿণ কমিটি এবং উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরÿণ কমিটির উদ্যোগে সেমিনার, আলোচনাসভা,র্ যালি ও সমাবেশের আয়োজন করা হবে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরÿণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সেমিনার বা আলোচনাসভার আয়োজন করবে।

বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ১৫ মার্চকে উপজীব্য করে বৈশ্বিকভাবে উদযাপিত দিবস। বিশিষ্ট পরিবেশবাদী ও ভোক্তাদের অধিকার বিষয়ে আন্দোলনে সোচ্চার কর্মী মালয়েশিয়ার আনোয়ার ফজল কর্তৃক এ দিবস পালনের রূপকার হিসেবে পরিচিতি হয়েছেন। ১৫ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে তিনি ভোক্তা সংগঠনগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতনতার উদ্দেশ্য বৈশ্বিকভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান।

ইতিহাসঃ
১৫ মার্চ, ১৯৬২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার - ভোক্তাদের এ চারটি মৌলিক অধিকার সম্পর্কে তিনি আলোকপাত করেন যা পরবর্তীতে ভোক্তা অধিকার আইন নামে পরিচিতি পায়।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল এ সকল অধিকারকে সনদে অন্তর্ভূক্ত করে। কেনেডি'র ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৫ মার্চকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে উদযাপন করে আসছে।



ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯
( ২০০৯ সনের ২৬ নং আইন )
[এপ্রিল ৬, ২০০৯]


ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন।

যেহেতু ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-



সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন ভোক্তা-অধিকার সংরৰণ আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।

(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।



সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) "অধিদপ্তর" অর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর;

(২) "অভিযোগ" অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন কার্যের জন্য কোন বিক্রেতার বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট লিখিতভাবে দায়েরকৃত নালিশ;

(৩) "অভিযোগকারী" অর্থ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ, যিনি বা যাহারা এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ দায়ের করেন-

(ক) কোন ভোক্তা;

(খ) একই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা;

(গ) কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ভোক্তা সংস্থা;

(ঘ) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা উহার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;

(ঙ) সরকার বা, এতদুদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সরকারী কর্মকর্তা; বা

(চ) সংশ্লিষ্ট পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী;

(৪) "উৎপাদনকারী" অর্থ কোন ব্যক্তি, যিনি-

(ক) কোন পণ্য অথবা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন;

(খ) কোন পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন না, কিন্তু আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্ততকৃত বা উৎপাখদিত পণ্যের অংশসমূহ সংযোজন করিয়া থাকেন এবং এইরূপে সংযোজিত পণ্যকে নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বলিয়া দাবী করেন;

(গ) আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত কোন পণ্যের উপর নিজস্ব ট্রেডমার্ক সন্নিবেশ করিয়া উক্ত পণ্যকে নিজস্ব প্রস্তুতকৃত কিংবা উৎপাদিত পণ্য বলিয়া দাবী করেন; বা

(ঘ) বাংলাদেশের বাহিরে উৎপাদিত হয় এমন কোন পণ্য, যে পণ্য উৎীপাদকের বাংলাদেশে কোন শাখা অফিস বা ব্যবসায়িক অফিস নাই, আমদানি বা বিতরণ করেন;

ব্যাখ্যাঃ কোন দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য উহার কোন স্ব-নিয়ন্ত্রিত বা স্ব-পরিচালিত শাখা অফিসে সংযোজন করিয়া থাকিলেও, উক্ত শাখা অফিস উৎপাদক হিসাবে গণ্য হইবে না;

(৫) "ঔষধ" অর্থ মানুষ, মৎস্য ও গবাদি পশু-পাখির রোগ প্রতিরোধ বা রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার্য এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক বা অন্য যে কোন ঔষধ;

(৬) "কারাদণ্ড" অর্থ সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড;

(৭) "খাদ্য পণ্য" অর্থ মানুষ বা গবাদি পশু-পাখির জীবন ধারণ, পুষ্টি সাধন ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ফল-মূল এবং পানীয়সহ অন্য যে কোন খাদ্য দ্রব্য;

(৮) "গবেষণাগার" অর্থ কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন গবেষণাগার বা প্রতিষ্ঠান, যে নামেই অভিহিত হউক;

(৯) "নকল" অর্থ বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদিত কোন পণ্যের অননুমোদিত অনুকরণে অনুরূপ পণ্যের সৃষ্টি বা প্রস্তুত, যাহার মধ্যে উক্ত পণ্যের গুণাগুণ, উপাদান, উপকরণ বা মান বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক;

(১০) "নির্ধারিত" অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত মহাপরিচালক কতৃক লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;

(১১) "পণ্য" অর্থ যে কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে কোন ক্রেতা বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন;

(১২) "পরিষদ" অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ;

(১৩) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(১৪) "ফৌজদারী কার্যবিধি" অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898);

(১৫) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১৬) "বিক্রেতা" অর্থ কোন পণ্যের উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারী, সরবরাহকারী এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১৭) "ব্যক্তি" অর্থ কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১৮) "ভেজাল" অর্থ Pure Food Ordinance, 1959 (Ordinance No. LXVIII of 1959) এর section 3(1) এ সংজ্ঞায়িত adulteration এবং Special Powers Act, 1974 (Act No. XIV of 1974) এর section 25C বা অন্য কোন আইনে উল্লিখিত adulteration বা ভেজাল;

(১৯) "ভোক্তা" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি,-

(ক) যিনি পুনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত-

(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন পণ্য ক্রয় করেন;

(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রুত মূল্যের বিনিময়ে কোন পণ্য ক্রয় করেন; বা

(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন পণ্য ক্রয় করেন;

(খ) যিনি ক্রেতার সম্মতিতে দফা (ক) এর অধীন ক্রীত পণ্য ব্যবহার করেন;

(গ) যিনি পণ্য ক্রয় করিয়া উহা, আত্মকর্ম-সংস্থানের মাধ্যমে স্বীয় জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেন;

(ঘ) যিনি-
(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা

(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রুত মূল্যের বিনিময়ে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা

(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের বিনিময়ে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা

(ঙ) যিনি সেবা গ্রহণকারীর সম্মতিতে দফা (ঘ) এর অধীন গৃহীত কোন সেবার সুবিধা ভোগ করেন;

(২০) "ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য" অর্থ,-

(ক) কোন আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;

(খ) জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;

(গ) মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্যপণ্যের সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোন পণ্য বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;

(ঘ) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা;

(ঙ) প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা;

(চ) কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময়ে ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;

(ছ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া;

(জ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;

(ঝ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত গজ বা ফিতা প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শনকারী হওয়া;

(ঞ) কোন নকল পণ্য বা ঔষধ প্রস্তুত বা উৎদপাদন করা;

(ট) মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা; বা

(ঠ) সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হইতে পারে এমন কোন কার্য করা, যাহা কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে;

(২১) "মহাপরিচালক" অর্থ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; এবং

(২২) "সেবা" অর্থ পরিবহন, টেলিযোগাযোগ, পানি-সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, জ্বালানী, গ্যাস, বিদ্যুৎ‍, নির্মাণ, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ এবং স্বাস্থ্য সেবা, যাহা ব্যবহারকারীদের নিকট মূল্যের বিনিময়ে লভ্য করিয়া তোলা হয়, তবে বিনামূল্যে প্রদত্ত সেবা ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে না৷



এই আইন অতিরিক্ত গণ্য হওয়া
৩। এই আইনের বিধানাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের কোন বিধানকে ক্ষুণ্ন না করিয়া উহার অতিরিক্ত হিসাবে কার্যকর হইবে।



আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি
৪। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন সেবা বা এলাকাকে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য এই আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।


দ্বিতীয় অধ্যায়
পরিষদ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

পরিষদ প্রতিষ্ঠা
৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে একটি পরিষদ থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-

(১) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

(২) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;

(৩) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;

(৪) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;

(৫) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(৬) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(৭) মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(৮) খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(৯) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(১০) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(১১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(১২) জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, পদাধিকারবলে;

(১৩) পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(১৪) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি, পদাধিকারবলে;

(১৫) ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;

(১৬) কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি, পদাধিকারবলে;

(১৭) জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, পদাধিকারবলে;

(১৮) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পরিচালক, পদাধিকারবলে;

(১৯) সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক;

(২০) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প ও জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনূ্যন দুইজন মহিলা সদস্য সমন্বয়ে চারজন সদস্য;


(২১) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শিৰক প্রতিনিধি;

(২২) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শ্রমিক প্রতিনিধি;


(২৩) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কৃষক প্রতিনিধি; এবং


(২৪) মহাপরিচালক, যিনি উহার সচিবও হইবেন।



সদস্য পদের মেয়াদ
৬৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে পরিষদের কোন মনোনীত সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসার ছয় মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় উহার প্রদত্ত কোন মনোনয়ন বাতিল করিয়া উপযুক্ত নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে৷



পরিষদের সভা
৭৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷


(২) পরিষদের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷


(৩) প্রতি ২ (দুই) মাসে পরিষদের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷


(৪) পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন৷


(৫) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷


(৬) অন্যূন ১০ (দশ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে পরিষদের সভার কোরাম গঠিত হইবে৷


(৭) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷


(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিষদের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷



পরিষদের কার্যাবলী
৮৷ পরিষদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-

(ক) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নে মহাপরিচালক ও জেলা কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান;

(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় প্রবিধানমালা প্রণয়ন;

(গ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে সরকার কর্তৃক প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং মতামত প্রদান;

(ঘ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়নের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান;

(ঙ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;

(চ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সুফল এবং ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের কুফল সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ছ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;

(জ) অধিদপ্তর, মহাপরিচালক এবং জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণ; এবং

(ঝ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ৷



পরিষদের তহবিল
৯৷ (১) পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথাঃ-

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(ঘ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং

(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷

(২) পরিষদের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷

(৩) তহবিলে জমাকৃত অর্থ পরিষদের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷

(৪) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে৷



জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি প্রতিষ্ঠা
১০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রত্যেক জেলায় জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরৰণ কমিটি নামে একটি জেলা কমিটি থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-


(ক) জেলা প্রশাসক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;


(খ) জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;


(গ) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন ভোক্তা-অধিকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;


(ঘ) সিভিল সার্জন, পদাধিকারবলে;


(ঙ) পুলিশ সুপার, পদাধিকারবলে;


(চ) পৌরসভা বা, ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;


(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প এবং জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, চারজন প্রতিনিধি;


(জ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত তাহার কার্যালয়ে কর্মরত অনূ্যন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, যিনি উহার সচিবও হইবেন।


(২) জেলা কমিটির মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর ছয় মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তৎকর্তৃক প্রদত্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।



জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
১১৷ জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-

(ক) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, যদি থাকে, প্রতিপালন করা;

(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদের কার্যাবলী সম্পাদনে উহাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা;

(গ) ভোক্তা-অধিকার বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা, সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা;

(ঘ) পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ভোক্তাদের ব্যবহারের জন্য অন্যান্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী তদারক ও পরিবীক্ষণ করা;

(ঙ) পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা; এবং

(চ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে আনুষঙ্গিক যে কোন কার্য সম্পাদন করা৷



জেলা কমিটির সভা
১২৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জেলা কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷

(২) জেলা কমিটির সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবেঃ-

তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি মাসে জেলা কমিটির কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷

(৩) জেলা কমিটির সভাপতি উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷

(৪) অন্যূন ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে৷

(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে জেলা কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসযম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷



উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ইত্যাদি
১৩৷ (১) অধিদপ্তর, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনবোধে, প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির-

(ক) সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের মনোনয়ন, যোগ্যতা, অপসারণ ও পদত্যাগ সংক্রান্ত বিধানাবলী; এবং

(খ) দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্যপদ্ধতি, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷



জেলা কমিটি, ইত্যাদির তহবিল
১৪। (১) প্রতিটি জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটির একটি করিয়া তহবিল থাকিবে।

(২) জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটির তহবিল রৰণ, উহার অর্থ ব্যয় এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

(৩) এই আইনের অধীন মামলা, ল্যাবরেটরী পরীৰার খরচসহ জেলা কমিটির প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি বা, ক্ষেত্রমত, ইউনিয়ন কমিটির তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে।



বাজেট
১৫৷ পরিষদ প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটিসহ পরিষদের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে৷



হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৬৷ (১) পরিষদ যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷

(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রতি বৎসর পরিষদের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও পরিষদের নিকট পেশ করিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পরিষদের যে কোন সদস্য, মহাপরিচালক এবং পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷



বার্ষিক প্রতিবেদন
১৭। পরিষদ প্রতি বৎসর ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরের স্বীয় কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা জাতীয় সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।


তৃতীয় অধ্যায়
অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, ইত্যাদি

অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
১৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি অধিদপ্তর থাকিবে, যাহা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নামে অভিহিত হইবে৷

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করিবে৷

(৩) অধিদপ্তর পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়তা প্রদান করিবে এবং পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে৷



অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
১৯৷ (১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে৷

(২) সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, ঢাকার বাহিরে যে কোন জেলায় অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷



মহাপরিচালক
২০। (১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন।

(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।

(৩) মহাপরিচালক অধিদপ্তরের সার্বৰণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেৰে, পরিষদ কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ৰমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৪) মহাপরিচালক কর্তৃক কার্যাবলী সম্পাদনের সুবিধার্থে কোন ব্যক্তি মহাপরিচালক বরাবরে ফ্যাক্স, ই-মেইল বা অন্য কোন উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।

(৫) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে, বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তি অস্থায়ীভাবে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।



মহাপরিচালকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
২১৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করিবার লক্ষ্যে সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সকল কার্যক্রম মহাপরিচালক গ্রহণ করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মহাপরিচালক নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথাঃ-

(ক) এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোন প্রতিপক্ষ বা সংস্থার কার্যাবলীর সহিত সমন্বয় সাধন;

(খ) ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হইতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, উহাদের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(গ) কোন পণ্য বা সেবার নির্ধারিত মান বিক্রেতা কর্তৃক সংরক্ষণ করা হইতেছে কিনা উহা তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঘ) কোন পণ্যের বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে ওজন বা পরিমাপে কারচুপি করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঙ) কোন পণ্য বা ঔষধের নকল প্রস্তুত, উৎপাদন ও বাজারজাত করা হইতেছে কিনা এবং উহার দ্বারা ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(চ) কোন পণ্য বা ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ছ) কোন আইন বা বিধির অধীন নির্দেশিত মতে কোন পণ্য বা ঔষধের মোড়কে উক্ত পণ্য বা ঔষধ উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার তারিখ, সঠিক ব্যবহার- বিধি ও পরিমাণ মুদ্রণ করা হইয়াছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ;

(জ) মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঝ) মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোন খাদ্য-পণ্য প্রস্তুত, উৎপাদন বা বিক্রয় করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঞ) মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায় কোন পণ্য উৎপাতদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ট) বৈধ লাইসেন্স ব্যতিরেকে অবৈধভাবে কোথাও কোন ঔষধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঠ) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য অসত্য বিজ্ঞাপন দ্বারা ভোক্তা সাধারণকে প্রতারিত করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ড) সাধারণ যাত্রী পরিবহনকারী কোন যানবাহন যথা- মিনিবাস, বাস, লঞ্চ, স্টিমার ও ট্রেন অবৈধভাবে অদক্ষ ও অননুমোদিত চালক দ্বারা চালনা করিয়া যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং

(ঢ) কোন আইন বা বিধির অধীন আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া সেবা গ্রহীতাদের জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ৷

(৩) মহাপরিচালক প্রতি বৎসর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত ১ (এক) বৎসরের স্বীয় কার্যাবলী এবং জেলার কার্যাবলী, যদি থাকে, সম্পর্কে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন এবং উহা পরিষদের নিকট অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন৷



কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
২২৷ অধিদপ্তরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷



মহাপরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তার তদন্তের ক্ষমতা
২৩৷ (১) এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে মহাপরিচালকের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা থাকিবে৷

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷



পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা
২৪৷ (১) মহাপরিচালক অথবা সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,-

(ক) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন; বা

(খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোন বস্তু বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোন দলিল, কাগজপত্র বা কোন প্রকার জিনিসপত্র কোন স্থানে বা কোন ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে;

তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার জন্য বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট উক্ত বস্তু, দলিল, কাগজপত্র বা জিনিসপত্র যে স্থানে রক্ষিত আছে সে স্থান তল্লাশীর জন্য পরোয়ানা জারী করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন পরোয়ানা কার্যকর করিবার জন্য যাহার নিকট প্রেরণ করা হইবে, উহা কার্যকর করিবার বিষয়ে তাহার ধারা ২৩ এ উল্লিখিত কর্মকর্তার সকল ক্ষমতা থাকিবে৷



প্রকাশ্য স্থান, ইত্যাদিতে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা
২৫৷ এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রমে কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন চলমান যানবাহনে এই অধ্যাদেশের পরিপন্থী কোন পণ্য রহিয়াছে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত পণ্য তল্লাশী করিয়া আটক করিতে পারিবেন এবং উক্ত পণ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন৷



তল্লাশী, ইত্যাদির পদ্ধতি
২৬৷ এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন জারীকৃত সকল তদন্ত, পরোয়ানা, তল্লাশী, গ্রেফতার ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷



ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের জন্য দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ
২৭৷ (১) কোন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদামে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন পণ্য বিক্রয় বা উৎপাবদিত হইতেছে কিংবা গুদামজাত করিয়া রাখা হইয়াছে এইরূপ প্রতীয়মান হইলে, মহাপরিচালক বা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদাম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে অধিদপ্তরের পক্ষ হইতে উক্ত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদাম তালাবদ্ধ করিয়া তাৎক্ষপণিক ব্যবস্থা হিসাবে সাময়িকভাবে বন্ধ করা যাইবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন ব্যবস্থা গৃহীত হইবার পর অধিদপ্তর নিয়মিত শুনানী, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত করিয়া ভোক্তা-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করিয়া এবং প্রকৃতই এই আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘনের ফলে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য হইয়াছে কিনা উহা সঠিকভাবে নিরূপণ করিয়া প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷

(৪) সেবা প্রদানকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই অধ্যাদেশের অধীন কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন কার্য করিয়া থাকিলে মহাপরিচালক বা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে অধিদপ্তরের পক্ষ হইতে সেবা সম্পর্কিত উক্ত ব্যবসা সাময়িকভাবে বন্ধ করা যাইবে৷

(৬) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর অধীন কোন সেবামূলক ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হইলে অধিদপ্তর নিয়মিত শুনানী, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত করিয়া ভোক্তা-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করিয়া এবং প্রকৃতই এই আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘনের ফলে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য হইয়াছে কিনা উহা সঠিকভাবে নিরূপণ করিয়া প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷



আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ
২৮৷ এই আইনের অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্যসম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবার জন্য মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং এইরূপ অনুরোধ করা হইলে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করিবে৷



মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য সামগ্রী উৎপা দন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাধা-নিষেধ
২৯৷ কোন পণ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর বলিয়া প্রমাণিত হইলে, মহাপরিচালকের পরামর্শক্রমে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এইরূপ পণ্যের উৎপা্দন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিবার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীন ঐ সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে৷



প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা
৩০৷ (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কোন ব্যক্তি সকল যুক্তিসংগত সময়ে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সহকারে যে কোন ভবনে বা স্থানে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিবার অধিকারী হইবেন, যথাঃ-

(ক) এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করা;

(খ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ভবনে বা স্থানে কোন কার্য পরিদর্শন করা;

(গ) কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল অথবা তত্সংনশ্লিষ্ট অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরীক্ষা এবং যাচাই করা;

(ঘ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ ভঙ্গ করিয়া কোন ভবনে বা স্থানে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া উক্ত ব্যক্তির যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকিলে, উক্ত ভবনে বা স্থানে তল্লাশী পরিচালনা করা;

(ঙ) এই আইন বা বিধির অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার হইতে পারে এইরূপ কোন পণ্য, উপাদান, রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল ইত্যাদি আটক করা৷

(২) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয় বা উৎপাদনের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন৷



নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা, ইত্যাদি
৩১৷ (১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে যে কোন দোকান, গুদাম, কারখানা, প্রাঙ্গন বা স্থান হইতে যে কোন পণ্য বা পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (৩) বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন গৃহীত নমুনা সম্পর্কে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত নমুনা বা গবেষণাগারের রিপোর্ট বা উভয়ই সংশ্লিষ্ট কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা-

(ক) উক্ত স্থানের দখলদার বা এজেন্টকে, অনুরূপ নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে তাহার অভিপ্রায় সম্পর্কে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ প্রদান করিবেন;

(খ) উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করিবেন;

(গ) উক্ত নমুনা একটি পাত্রে রাখিয়া ইহাতে নিজের ও উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর স্বাক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করিয়া সীলমোহর প্রদান করিবেন;

(ঘ) সংগৃহীত নমুনার একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া উহাতে নিজে স্বাক্ষর করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন;

(ঙ) মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে উক্ত পাত্র অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷

(৪) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং সংগ্রহকারী কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর (ক) দফার অধীন নোটিশ প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে যদি দখলদার বা এজেন্ট নমুনা সংগ্রহের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকেন, বা উপস্থিত থাকিয়াও নমুনা ও রিপোর্টে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে সংগ্রহকারী কর্মকর্তা দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজেই তাহার স্বাক্ষর প্রদান করিয়া উহা নিশ্চিত ও সীলমোহরকৃত করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের অনুপস্থিতি বা, ক্ষেত্রমত, স্বাক্ষরদানে অস্বীকৃতির কথা উল্লেখ করিয়া মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে বিশ্লেষণের জন্য অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷



বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য, ইত্যাদি
৩২৷ এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে পণ্য, উপাদান, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷