Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

সন্তানের বেডরুমে মোটেও রাখতে দেবেন না এই একটি জিনিস


বাচ্চার আবদারে গলে গিয়ে তাকে নিজের ইচ্ছেমত চলতে দিচ্ছেন আপনি, ভালো কথা। কিন্তু সবকিছুর মাঝেই একটি সীমারেখা টানা জরুরী। আর এ কারণেই এমন একটি জিনিসের ব্যাপারে জেনে রাখুন যা ভুলেও বাচ্চার বেডরুমে রাখা যাবে না কখনোই।
এই জিনিসটি কী? তা হলো বাচ্চার স্মার্টফোন। কিশোর-কিশোরী সন্তানের জন্য স্মার্টফোন কিনে দিয়েছেন বটে, কিন্তু তা যথেচ্ছ ব্যবহার করতে দেবেন না। কারণ এতে তাদের রাতের ঘুম নষ্ট হবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাদের পড়াশোনার ওপরে।
এ ব্যাপারটায় খুব বেশি চিন্তিত হন না অনেক পিতামাতা। কিন্তু চিন্তিত হবার কারণ আছে বৈ কি। গবেষণায় দেখা যায় ২০ শতাংশেরও বেশি বাচ্চারা রাতের বেলায় ঘুম থেকে উঠে পড়ে ফোনে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা বা নোটিফিকেশন চেক করার জন্য। এতে তাদের ঘুম তো নষ্ট হয়ই, এছাড়াও স্কুলে গিয়ে তারা মনোযোগ দিতে পারে না এবং সার্বিক স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে স্ন্যাপচ্যাট বা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করারটা খুবই সাধারণ। ১২-১৫ বছর বয়সীদের মাঝে এটা খুব সচরাচর হতে দেখা যায়। তাদের এক তৃতীয়াংশ বলে তারা সপ্তাহে অন্তত একদিন এভাবে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এবং এ কাজটি করার ফলে স্কুলে গিয়ে তাদের খুব ক্লান্ত লাগে বলেও তারা স্বীকার করে। শুধু ঘুমের মাঝে নয়, ঘুমাতে যাবার আগেও যারা বেশ কিছুটা সময় ল্যাপটপ ব্যবহার করে তাদের ঘুমটাও অন্যদের চাইতে অনেক কম হতে দেখা যায়। এসব গ্যাজেট ব্যবহারে সময় যতো বাড়ে, তাদের ঘুম তত কম হয় এবং বাড়ে ক্লান্তি।
এটা যে শুধু পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্য খারাপ করে তাই নয়, বরং এ থেকে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে বাচ্চারা যাতে এ কাজটি করতে না পারে তার জন্য ঘুমাতে যাবার সময়ে তার বেডরুমের বাইরে রেখে যেতে বলুন স্মার্টফোনটিকে। এতে ফোনে কোনো নোটিফিকেশন এলেও তার ঘুমের সমস্যা হবে না। একইভাবে ট্যাব, ল্যাপটপ এগুলোও যেন বেডরুমের বাইরে থাকে তার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন।