দিনের অনেকটা সময় আমরা অফিসে কাটাই। আর এই অফিসেই আমরা কিছু অস্বাস্থ্যকর কাজ করে থাকি। যা আপাতত দৃষ্টিতে অস্বাস্থ্যকর মনে না হলেও এই অভ্যসগুলো আসলে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর অনেক বেশী বাজে প্রভাব ফেলে থাকে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু বদ অভ্যাসের কথা যা আমাদের সবার মাঝেই কম বেশি আছে!
১। বাথরুমের ব্যবহার
অফিসে অনেকেই থাকেন যারা বাথরুম ব্যবহার শেষে হাত ধুয়ে নেন না। শুধু টিস্যু পেপারে হাত মুছে থাকেন। এই অভ্যাসটি আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। এক অফিসের বাথরুম একাধিক মানুষ ব্যবহারের করে থাকে। আপনি ব্যবহারের ফলে আপনার হাত হাতে জীবাণুতে ভরে যায়। সাবান দিয়ে ভাল করে হাত না ধুলে সেই জীবাণু আপনার হাতেই থেকে যায়। যা পরবর্তীতে খাবারের মাধ্যমে আপনার পেটে চলে যেতে পারে।
২। সারাদিন বসে কাজ
একটানা সারাদিন বসে কাজ করা উচিত নয়। প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ১০ মিনিটের ব্রেক নিন। চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। বেশিক্ষণ একভাবে বসে থাকলে শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে।
৩। চেয়ারে বসার ধরণ
সবসময়ে চেষ্টা করুন টেবিলের সামনে চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসার। এতে করে পিঠ ও কোমড়ের ব্যথা এড়ানো সম্ভব। চেয়ারে সারাদিন এলিয়ে বসে থাকলে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৪। পানি কম খাওয়া
এক কাজটি আমরা প্রায় সবাই করি। কাজের চাপে আমরা প্রয়োজনমতো পানি খাওয়ার কথা ভুলে যাই। পানি শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। পানি ঠিকমত খাওয়া না হলে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
৫। চোখ ঘষা
কম্পিউটারের সামনে অনেকক্ষণ বসে থাকার কারণে অনেক সময় চোখ জ্বলতে শুরু করে। আর আমরা নোরাং হাত দিয়ে চোখ ডলে থাকি। এর ফলে হাতের লক্ষাধিক জীবাণু চোখে গিয়ে চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৬। বিনা ছুটিতে কাজ
কাজের চাপে আমরা ছুটি নিতে ভুলে যাই। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে সপ্তাহের একদিন ছুটি নেওয়া প্রয়োজন।
৭। ডেস্কে বসে খাওয়া
কাজের চাপে আমরা অনেকেই ডেস্ক ছেড়ে উঠতে চাই না, এমনকি দুপুরের খাবারটিও আমরা নিজের ডেস্কে বসে খেয়ে নিই। এতে করে আপনার ডেস্কে প্রচুর পরিমাণে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। আর অত্যন্ত খাওয়ার সময়টাতে পরিবেশ পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন।
৮। অনেক কাজ এক সাথে করা
বসকে খুশি করার জন্য এক সাথে অনেক কাজ করে থাকি আমরা। কিন্তু এটি খুব খারাপ একটি অভ্যাস। এক সাথে অনেক কাজ করলে আমাদের মানসিক চাপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। যার ফলে, স্নায়ু, হৃদযন্ত্র প্রভাবিত হতে পারে।