Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

হাত না ধুয়ে শরীরের যে অঙ্গগুলো স্পর্শ করা ক্ষতিকর



শরীরটা আপনার, যেখানে ইচ্ছা সেখানেই স্পর্শ করতে পারেন। তাই না? কিন্তু জানেন কি, নিজের শরীরের কোন স্থানে স্পর্শ করার আগে হাত ধুয়ে নেয়া কতটা জরুরী? শরীরের এমন কিছু অঙ্গ আছে যেখানে কেবল আমরা নিজেরাই স্পর্শ করি। এমন কিছু স্পর্শকাতর অঙ্গ আছে যেখানে খুব বেশী স্পর্শ করা ঠিক নয় আর আর করলেও খুবই সাবধানে। কিন্তু আমরা কি সেসব মানি? মানি না! দিনের মাঝে কতবার নিজের মুখে বা নাকে হাত দেন আপনি? জানেন কি, আপনার এই ঘনঘন মুখে হাত দেয়ার কারণেই দিন দিন খারাপ হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য? চলুন, জেনে নিই শরীরের কোথায় হাত না ধুয়ে স্পর্শ করা ঠিক নয় এবং কেন। কেবল নিজের শরীর নয়, যে কারো শরীরের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এগুলো অবশ্য পালনীয়।

মুখ
মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে ক্রিম লাগানো পর্যন্ত নানান কারণে মুখে হাত দিতেই হয়। কিন্তু এসব ছাড়া অকারণে মুখে হাত একদমই দেবেন না। মুখ ধোয়া বা ক্রিম লাগানোর আগেও হাত ভালো করে ধুয়ে তারপরই মুখে স্পর্শ করান। নোংরা হাতেমুখ স্পর্শ করা থেকে কেবল ব্রণই নয়, ত্বকের আরও নানান রকম অসুখ হতে পারে। হাত না ধুয়ে মুখে হাত দেয়াটা ডায়রিয়া থেকে শুরু করে মুখ ও পেটের নানান রকমের অসুখের জন্য দায়ী। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে খুবই কম মানুষই প্রত্যেকবার হাত ধুয়ে নেন মুখে হাত দেয়ার আগে। বেশিরভাগ মানুষই ব্যাপারটা খুবই অবহেলা করেন।

চোখ
লেন্স পরা ছাড়া অন্য কোন কাজে চোখে হাত দেবেন না মোটেও। লেন্স পরতে হলেও হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই লেন্স পরবেন। একটু অবহেলার কারণে চোখ দুটির মারাত্মক ক্ষতি করে বসতে পারেন।

নাক
নাকের ময়লাই তো পরিষ্কার করবেন, হাত ধুয়ে নেয়ার দরকার কি? দরকার অবশ্যই আছে। এই স্পর্শ কাতর অঙ্গ খুব সহজেই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সবচাইতে ভালো হয় কটনবাড দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে।

কান
কানের মত অতি সংবেদনশীল একটি অঙ্গে ভুলেও আঙ্গুল দেবেন না হাত না ধুয়ে। সবচাইতে ভালো নাক পরিষ্কারের জন্য কটন বাড ব্যবহার করা।

মল-মুত্র ত্যাগ করার স্থান
ভাবছেন এসব স্থান দিয়ে তো বর্জ্য পদার্থই বের হয়, তাহলে এখানে হাত দেয়ার আগে ধুয়ে দেয়ার প্রয়োজন কী? প্রয়োজনতা হচ্ছে এসব স্থান খুব সহজেই সংক্রামণের শিকার হয়। আপনার হাতে লেগে থাকে সারা পৃথিবীর জীবাণু, যেগুলো হাতের মাধ্যমে এসব স্থানে পৌঁছে ও নানান রকম রোগ ব্যধি তৈরি করে।