থাই ক্যাসুনাট সালাদ
রূপচর্চায় টমেটোর ব্যবহার
টমেটোতে বিভিন্ন ভিটামিন এবং এনজাইম রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও অনেক বেশি উপকারী সুন্দর আর মোলায়েম ত্বকের জন্য। জেনে নিন রূপচর্চায় টমেটোর কিছু ব্যবহার-
*অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ টমেটো দাগমুক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এর জন্য আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন-
২ কাপ পানিতে ২টি টমেটো এবং ২ চা চামচ মধুর একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তৈরি মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি খাওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর সকালের নাস্তা করুন।
*তারুণ্য ধরে রাখতেও বহু গুণ সম্পন্ন এই টমেটো বেশ সহায়তা করে। সালাদের জন্য কাটা টমেটো থেকে দুই ফালি টমেটো মুখেও ঘষুন। এর জন্য প্রথমে হালকা সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। এরপর ফালি করা টমেটো ১০ মিনিট মুখে ঘষে তা ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
*ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দই, হলুদ এবং টমেটোর একটি মিশ্রণ প্রতিদিন সকালে মুখে লাগাতে পারেন। এতে করে মুখে থাকা যেকোনো দাগ নির্মূল করে ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়তা করবে।
*অনেক সময় দেখা যায় যে মাথার ত্বকে থাকা বিভিন্ন ধূলোবালি এবং ময়লার কারণে দুর্গন্ধ ও অপরিস্কার হয়ে যায় যা সাবান বা শ্যাম্পু কিছুতেই যেতে চায় না। এমন পরিস্থিতিতে টমেটো দিয়ে তৈরি একটি মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এতে কওে পরিস্কার ও দুর্গন্ধমুক্ত হবে আপনার মাথার ত্বকটি।
*মসৃণ আর মোলায়েম ত্বকের জন্য টমোটো অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। প্রতিদিন নিয়ম করে টমেটো খেলে স্বাস্থ্যকর একটি মসৃণ ত্বক পাওয়া সম্ভব যা দামী প্রসাধনী ব্যবহারেও সম্ভব না।
লাল সবুজে বিজয় দিবস
বিজয় দিবসের রঙ বলতে লাল সবুজকেই বোঝায়। আর তাই বিজয় দিবসে পোশাকের ফ্যাশনের প্রাধান্য পায় লাল আর সবুজ এই দুটি রঙ। আর বিজয় দিবস আনন্দের দিন, তাই আমরা পোশাকের মধ্যে সেই আনন্দভাবটা তুলে ধরি। লাল-সবুজ যেহেতু আমাদের জাতীয় পতাকার রঙ, তাই পোশাকে এই দুটি রঙের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আনন্দের রঙ সৃষ্টি করা হয়। আবার পোশাক অন্য রঙের হলেও সাঁজে লাল সবুজের ছোঁয়া থাকেই। আর তাই বিজয় দিবস এলেই দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতে দেখা যায় লাল সবুজ রঙের নানান রঙের ও ঢঙের পোশাক। শাড়ি, পাঞ্জাবী, শার্ট, কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্টের ডিজাইনে আনা হয় বিজয় দিবসের আমেজ।
* নারীরা লাল সবুজ শাড়ি পরতে পারেন লম্বা হাতের ব্লাউজের সঙ্গে। লাল সবুজ শাড়ি পরতে না চাইলেও এক রঙা শাড়ির সঙ্গে লাল সবুজের সংমিশ্রণে ব্লাউজ পরুন আর বেছে নিন লাল সবুজ একটি শাল।
যারা শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তারা সালোয়ার কামিজ অথবা লম্বা কুর্তা পরে নিন। এক্ষেত্রেও উঁচু গলা ও লম্বা হাতা মানানসই হবে। পোশাকে লাল সবুজ পছন্দ না হলে লাল সবুজ রাখুন ওড়না, স্কার্ফ, শাল ও গহনার সাজে।
বিজয়ের লাল রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পড়ে নেওয়া যায় ফ্লাওয়ার প্রিন্টেড লং কামিজ বা ফতুয়া। সঙ্গে গাঢ় সবুজ রঙের লেগিন্স বা চোষ সালোওয়ার, আর শীতের রঙিন চাদর।
টিপঃ বাঙালি নারীর সাজের সঙ্গে আদিকাল থেকে জড়িয়ে আছে বাহারি রঙের টিপ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছু বিলিন হয়ে গেলেও টিপের কদর কমেনি এক ফোঁটাও। উৎসব আমেজে ভরপুর এই রীতিতে টিপ না হলে সাজের পূর্ণতাও কিছুটা কম থেকে যায়। নানা উৎসবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে টিপের রঙেও থাকে বিশিষ্টতা। বিজয় উৎসবও এর ব্যতিক্রম নয়। এদিনে পোশাকে যেমন থাকবে লাল-সবুজের সমারোহ, তেমনি টিপও...
শ্যাম্পুর পর ছোট্ট কাজে ঝলমলে চুল
রুক্ষ আর বিবর্ণ চুল নিয়ে বিষণ্ণতায় ভোগেন অনেকেই। ঝলমলে সুন্দর চুলের জন্য বেছে নিন নিজের পছন্দমত একটি উপায় আর নিয়মিত করুন। বদলে যাবে চুলের চেহারা।
*ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক... এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।
এটা তৈরির জন্য-
• দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন।
•এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি।
•এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন।
•শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
*শ্যাম্পু করে ফেলছেন? এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
•আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন।
•তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল।
•৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।
*নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই।
•এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
•শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান।
•৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!
ঘরোয়া টোনার
প্রাকৃতিক উপায়ে সহজ কিছু পদ্ধতিতে বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন আপনার স্কিন টোনার-
*একটি শশা কুচি করে কেটে তার সাথে ১/২ কাপ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তা মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফ্রিজে রেখে আপনি ২-৩দিন ব্যবহার করতে পারেন।
*১ লিটার গরম পানিতে পুদিনা পাতা ছেড়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে তা ঠাণ্ডা হতে দিন। তুলার সাহায্যে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বক পরিষ্কার করে ও টোনার হিসেবেও কাজ করে।
*গোলাপ জল খুবই উত্তম টোনার হিসেবে কাজ করে। ১/২ লিটার পানিতে ৫টি ডিস্টিল ওয়াটার ও ৮টি গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল করুন। যখন পানিটি প্রায় বেগুনি রঙ ধারণ করবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে পানিটি ছেঁকে নিন। এভাবে গোলাপ জল তৈরি করে আপনি এক মাস ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রতিদিন ২-৩ বার আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
*সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জলের মিশ্রণ তৈরি করেও আপনি টোনার হিসেবে লাগাতে পারেন। টোনার হিসেবে এই মিশ্রণ খুবই উপকারী।
*টোনার হিসেবে বরফের ব্যবহার অতি পরিচিত। প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখ ধুয়ে নিয়ে আপনি ৩-৪ টুকরো বরফ ঘষে নিতে পারেন। বরফ আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে আর সেই সাথে খোলা লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন।
*একটি গ্রীন টি প্যাক ১/২ কাপ পানিতে ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানি ছেঁকে নিন। রোজ সকালে আপনি এই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কেবল টোনার নয়, এটি আপনার ত্বককে সারাদিনের জন্য কোমল ও সতেজ রাখবে।
*লেবুর রস মুখে ঘষে ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা...
ত্বকের সতেজতায় বডি লোশন
জেনে নিন বডি লোশনের কার্যকরী কিছু ব্যবহার ও উপকারিতা-
*যে কোনো বডি লোশন কেনার আগে লক্ষ্য করে নিন যে এটি আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই কিনা।
*গোসলের পরই বডি লোশন লাগিয়ে নিন, এতে করে ত্বক দ্রুত ও বেশি সময়ের জন্য মসৃণ থাকবে।
*রাতে ঘুমানোর আগে হাতে পায়ে বডি লোশন লাগিয়ে নিন, এতে করে শীতেও হাত ও পা গরম থাকবে।
*বডি লোশন ভালো করে ত্বকে মেশাবেন যাতে করে কাপড়ে লেগে না যায়।
*পুরনো বডি লোশন ব্যবহার করবেন না, পুরনো বডি লোশন ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
*বডি লোশন মুখে লাগাবেন না। কারণ মুখের ত্বক অনেক সংবেদনশীল হয়ে থাকে।
*ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক থাকে তবে বডি লোশনের সঙ্গে ভ্যাসলিন মিশিয়ে মাখতে পারেন।
*মাঝে মাঝে না বরঞ্চ বডি লোশনের উপকার পেতে ধারাবাহিক ব্যবহার করা উচিত।
শুধু ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্যই যে বডি লোশন ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু নয়, শুষ্কতা দূর করা ছাড়াও বডি লোশনের বেশ কিছু উপকারিতা আছে-
*ত্বকের তারল্য ধরে রাখতে: বডি লোশন শরীরের উপরি ভাগে পাতলা আবরণ তৈরি করে যাতে শরীরের ভেতরের পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে না যায়। যা শুষ্ক দিনগুলোর এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই শীত ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন বডি লোশন।
*শুষ্কতার কারণে ত্বকে অনেক অবাঞ্ছিত দাগ তৈরি হয়, অনেকের ফাটা দাগগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। এ বিরক্তিকর দাগগুলো থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন ভালো ব্র্যান্ডের বডি লোশন।
*বডি লোশনের সুগন্ধ এবং পূর্ণ ম্যাসাজ আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। বডি লোশনের সুগন্ধ আপনাকে রাখবে প্রফুল্য। বডি লোশনের সুগন্ধ শীতে আপনাকে আরো ফ্রেশ অনুভূতি দেবে।
*শীতে কালো দেখানোর সমস্যায় কম বেশি সবাই পড়েছেন। বডি লোশন এক্ষেত্রে সহজ সমাধান...
শশা দিয়ে রূপচর্চা
স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি শশা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্যেও সমানভাবে উপকারী। চলুন জেনে নেই শশার বিভিন্ন গুণাগুন এবং ব্যবহার সম্পর্কে-
*তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শশা খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ওপেন পোর কন্ট্রোল করতে বেশ উপকারী। মুখ ধোয়ার পর শুধু শশার রস টোনার হিসেবে মুখে লাগাতে পারেন অথবা একে আরো কার্যকরী করতে শশার রসের সাথে আপেল সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
*শশাতে থাকা ব্লিচিং প্রপার্টিজ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং স্কিন টোন সমান করে। বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে শশার রস লাগান। এটি সান বার্ন দূর করবে।
*একটি শশা ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।
*শশার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। এর ফলে শশা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। শশার বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম যা ফাইন লাইন্স, রিংকেল সহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।
*ডার্ক সার্কেল কমাতে শশা বেশ কার্যকর। শশাতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের ডার্ক সার্কেল কমিয়ে চোখের চারপাশের স্কিন ভালো রাখে। শশা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শশার রস লাগিয়ে তুলা চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ডার্ক সার্কেল কমবে। এছাড়াও শশাতে থাকা এসকরবিক এসিড এবং ক্যাফেইক এসিড চোখের ফোলাভাব দূর করতেও বেশ কার্যকরী।
*তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং শশা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন।...
বলিরেখা মুক্ত ত্বক
বাইরে প্রচুর ধুলোবালি থাকার কারণে ত্বকে অনেক ময়লা জমে এবং সঠিক উপায়ে যত্ন না নেয়ার কারণে ত্বকে দেখা দেয় বিভিন্ন রকমের সমস্যা। এইসব সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ত্বকের বলিরেখা সমস্যা বা বয়সের ছাপ, যা ত্বকে সঠিক যত্নের অভাবে দেখা দেয়। চলুন জেনে নেই এই বলিরেখা থেকে মুক্তির কয়েকটি ঘরোয়া
টিপস-
*আমণ্ড অয়েল ও দুধের সর একসাথে মিশিয়ে ত্বকে ৫ মিনিট ম্যাসেজ করুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
*শীতে বাড়তি বলিরেখা হতে রেহাই পেতে মশুর ডাল বাটার সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বকের মসৃণতা ও তারুণ্য ধরে রাখতে এই প্যাকটি খুব উপকারি।
*কাপে দুধ নিয়ে তাতে সারারাত কিশমিশ ও কাজু বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন তার সাথে মধু ও কর্ণফ্লাওয়ার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। শসার রস দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। বয়সের ছাপ মুছে ফেলতে দারুণ কাজে দেবে।
ডিমে চুলের যত্ন
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য একটি অবশ্যম্ভাবী উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। আর ডিম হল এই প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস। নিচে দেয়া হল চুলের যত্নে ডিমের কিছু ঘরোয়া প্যাকের রেসিপি-
*ডিমের প্রোটিন প্যাকটি বানাতে-
২টা ডিম, ১/২ কাপ অলিভ অয়েল, ১/২ কাপ মধু, ১/২কাপ টকদই, ২ টেবিল চামচ ভিনেগার। (এই পরিমাণটি লম্বা চুলের জন্য। আপনার চুল ছোট হলে সেই অনুযায়ী উপাদানের অনুপাত কমিয়ে নিবেন।)
•উপকরণগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।
•চুল আচঁরে জট ছাড়িয়ে নিন।
•চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত খুব ভালো করে এই প্যাকটি লাগান।
•একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।
এই প্যাকটি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন। ফলাফল দেখে আপনি নিজেই চমকে যাবেন।
*যারা চুলে হেনা ব্যবহার করেন তারা বাড়তি পুষ্টির জন্য ডিম যোগ করতে পারেন।
•পরিমাণমত হেনা পাউডার পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন।
•এবার এতে একটা ডিম, এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশান।
•এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। যদি চুল রঙ করতে চান তবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখুন।
•এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন।
এই প্যাকটি মাসে দুই বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
*আমলা চুলের জন্য একটি অসাধারণ উপাদান। এটি চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে আর ডিম চুলের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে চুলকে করে সিল্কি, শাইনি ও প্রাণবন্ত। কাজেই এই দুই উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে তা যে চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও মজবুত করে তুলবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
•একটা ডিম ভালো করে ফেটে নিন।
•এবার এতে আমলা পাউডার মেশান। কাটাচামচ দিয়ে ভালো করে ফেটুন যাতে...
ত্বকের যত্নে আঙ্গুর
আঙ্গুরে স্বাস্থ্যকর গুণাগুনের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও আছে এর নানারকম ব্যবহার। জেনে নেয়া যাক এমন কয়েকটি টিপস-
*কয়েকটি আঙ্গুর হাত দিয়ে আলতো করে পুরো মুখে মিনিট খানেক ঘষে নিন। এবার হালকা করে পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একবারেই প্রাকৃতিক ফেইস ওয়াশের কাজ করবে এটা আপনার মুখে।
*এছাড়াও আঙ্গুর ম্যাশ করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। রোদের পোড়া ভাব কাটিয়ে এতে আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল হবে।
*বিভিন্ন নামি–দামি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে আঙ্গুরের বীজ ব্যবহার করা হয়। কারণ এর নির্যাস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেনিফিট হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকের কোষ রক্ষা করে, রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, ত্বককে ভালো রাখে।
...আঙ্গুরের ব্যবহার আপনার ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করে ত্বককে ভালো রাখে।