Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Beauty Image

কার্লি চুলের যত্ন



*যাদের মাথায় কোঁকড়া চুল আছে, তাদের অবশ্যই মাথার তালু পরিষ্কার রাখতে হবে। যেহেতু এ ধরনের চুলের গোড়ায় বাতাস পৌঁছাতে পারে না, তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার না রাখলে চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি ওঠা, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

*গোসল করার পর কোঁকড়া চুল ভালো করে না শুকালে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। তাই গোসল শেষে চুলগুলো ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর ফ্যানের বাতাসে দুই হাত দিয়ে চুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে শুকিয়ে নিন। কোঁকড়া চুলের ধরন খুবই রুক্ষ। তাই চুল শুকাতে কখনোই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।

*যেহেতু এ ধরনের চুলে খুব জট লেগে থাকে, তাই চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে।

*মেথি গুঁড়া, টক দই, ত্রিফলার রস (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। এই মিশ্রণ চুলে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের জট অনেকটা কমবে।

*চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চুল পড়ে যায়। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে চুলে ভাতের মাড় মেখে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

*এ ধরনের চুলে প্রয়োজন প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। তাই ১৫ দিনে একবার ডিম, টক দই, নিমপাতা বাটা, পেঁয়াজের রস, মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মতো রাখতে হবে। পুরোপুরি শুকানোর আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে।

*একইভাবে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে ডিম ও কলার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

*গরমে মাথার তালুতে অনেক সময় ফুসকুড়ি ওঠে। দূর্বাঘাসের মুথা ও স্বর্ণলতা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।

*শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে ঘৃতকুমারী, অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে।

*এছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এক কাপ চায়ের লিকারের সঙ্গে (দুই টেবিল চামচ করে ভিনেগার, কফি, সেদ্ধ বিটের রস) একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

*চুলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নারকেল তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মালিশ করতে হবে। এরপর গরম পানিতেই তোয়ালে ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে ধরতে হবে। এতে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।

*এ ধরনের চুল যাদের রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও পানি খেতে হবে। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। কারণ সামুদ্রিক মাছ খেলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।