Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

৮ বছর আগে লিখেছেন

চিঠি "কালো রাত্রী"

এখন তা কল্পনাতীত…অথচ এক দিন এই চিঠি লেখাই ছিল অনেকের কাছে দৈনিক রুটিন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর হতেই মুলত স্বাধীনতা যুদ্ধের ঢামাঢোল বাজতে থাকে,সময়ের অতিক্রমে তার রূপ ভয়ংকর হতে থাকে…চার দিকে কেবল ফিসফাস পাকিদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাতে ঢাকা শহরে বসবাসরত একটি পরিবারের এক মাত্র কন্যা নাজমার অপেক্ষা তার সহপাঠি বন্ধু প্রিয়তমা যাই বলি না কেনো,সেই সু-পুরুষটির আগমনের জন্য অপেক্ষায় ঘরের একটু বাহিরে পা চারি করছেন সে “কখন সে আসবে!।দেশের এমন ক্লান্তিলগ্নে উদ্বিগ্ন ছিলো পুরো দেশের জনগণ… কি জানি কি হয় কেবল ব্যাতিক্রম নাজমা,দেশ জাহান্নামে যাক ফিরে আসুক একান্ত নিজের তার প্রিয়তম তার নিকটে।সে বলেছিল এবার যদি আসতে না পারেন তবে সে চিঠি হলেও পাঠাবেন।
হঠাৎ বিকট শব্দ লোকমুখে জানা গেল রাজার বাগ পুলিশ নাইলে হামলা করেছে পাকিরা।তাদের প্রতিরোধে ছাত্ররা উৎপেতে ছিল,কিছু বুঝে উঠার পূর্বে পাকিদের গোলাবারুদের ঝনঝনানিতে পরিবেশ হয়ে উঠল এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালো রাত্রীতে।বোমার প্রচন্ড শব্দে কান দুটো চেপে ধরেন নাজমা তবুও বোমার শব্দ আর মানুষের ভয়ার্ত চিৎকারের শব্দ যেনো ক্রমশতঃ বেড়েই চলছে…..দৌড়ে উঠে গেলেন ঘরের ছাদে….।যে দিকে চোখ যায় কেবল আগুনের লেলিহান শিখার দাপুটে খেলা।চোখে পড়ে পাশের বাড়ী লুটপাট আর স্বদেশীয়দের ডাকাতি মহড়া,যে যা পাচ্ছেন কেউ বদনা কেউ বা ঘটি নিয়ে ছুটছেন,কেউ বা ভয়ে তপ্লিতপ্লা সহ কাদো নয়নে বাড়ী ছাড়ছেন কেউ বা মটরের গুলিতে লুটিয়ে পড়ছেন রাজপথের অলিগলিতে…..সবিই তার চোখে একটি সিনেমার চিত্রায়ন ধারন মনে হচ্ছিল।চোখের দৃষ্টি রাজপথের সুডিয়াম আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন,পথচারিদের ভয়ে পালানোর আত্বচিৎকারের সাথে সাথে পাকিদের গুলিতে ছুটন্ত দন্ডায়মান দেহটি ধপাস্ করে রাজপথে লুটিয়ে পড়া কোরবানীর গরুর মতো শত শত মানুষের রুহু বিয়োগের আগ মুহুর্তের ছটফটানি…তার চোখ ঝাপছা হয়ে আসছে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

৯ বছর আগে লিখেছেন

“চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি(ফরমালিন)

“চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি(ফরমালিন)
রাত দুটো হঠাৎ ঘুমিয়ে যাওয়া শিশুটি চিৎকার দিয়ে উঠল।মা বাবা ভয়ে আতৎকে উঠেন “কি হলো যক্ষের ধনের?কেনো এমন করছে বাবা আমার?নাহ্ কিছুতেই থামছে না চিৎকার আর শরীরটাকে এ পাশ ওপাশ মুচরানো।এত রাতে ডাক্তার কোথায় পাবো?শিশুটি মাঝে মাঝে খিচুনি দিয়ে নির্বাক হয়ে আবার হঠাৎ চিৎকার।এভাবে চলতে থাকে প্রায় ঘন্টা খানেক এরপর বাবা একটি সি এন জি এনে সোজা চলে যান হাসপাতালে।হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা শেষে ডাক্তার সাহেব কর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন রাতে শোবার পূর্বে শিশুটি কি খেয়েছিল?সরলতায় সত্য কথাটিই বলেন মা বাবা “শোবার আগে আম খেয়েছিল”।সেই আমটিতে মনে হয়  ফরমালিনের বিষাক্ত ক্যামিক্যাল ছিল যার জন্য শিশুটির দুধের পেটে হজমের কষ্ট হয় তার প্রতিক্রিয়াই বাচ্চার এ অবস্হা আর একটু সময় নিলে হয়তো শিশুটিকে হারাতে হত।………………………………………………………………………………
প্রশ্ন এখন আপনার বাচ্চাদের কি খাদ্য খাওয়াবেন?কে দিবে আপনাকে খাদ্য সলিটের গ্যারান্টি?তাহলে উপায়?এমন হাজারো প্রশ্ন আজ বাংলাদেশের প্রতিটি পিতা-মাতার।প্রশ্ন শুধু প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে এর সমাধানে না আছে সরকারের ভূমিকা না আছে আমদানীকারক প্রতিষ্টানগুলোর মালিকদের যুগান্তকান্তকারী কোন পদক্ষেপ।তারা হয়তো ভাবছেন “মানুষ মরবে কি বাচবে সেটা তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই কিন্তু তাদের ভবিষৎ সন্তান নায়- নাতনীরা যে ফরমালিনের ক্ষতির মূখে পড়বে না, ফরমালিন যুক্ত খাদ্য ভক্ষন করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে?
আমাদের বাংলাদেশের স্হপতি জাতির পিতার কন্যা যাদের ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে অঙ্গীকার ছিল জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিত করবে,দেশ থেকে দূর্নিতি আর সকল অনিয় দূর করবে,জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমাদের চাওয়া থেকে পাওয়ার আশাটা একটু বেশী করতেই পারি কিন্তু আমরা কি পেয়েছিল আশানুরূপ কোন সমাধান,ক্ষমতার ছয় সাত বছরে পেয়েছি কি ভেজাল খাদ্যের বিশেষ কোন সমাধান?পাইনি বরং উল্টো এটাকে রাজনিতীতে ঢুকিয়ে একে সরবরাহ ও আমদানীতে সহজ করে দিয়েছে।  বি এন পি কে ফরমালিন দিয়ে বাচিয়ে রাখা হয়েছে মাননীয়... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    emoticons

    • - কল্পদেহী সুমন

      emoticons

মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রশ্ন

প্রশ্ন যে বার বার ঘুরে ফিরে আসে
মনে,
কেনো সৃষ্টি করলে আমায়?
কেনোই বা আবার মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যাবে?
যার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংস অর্নিবার্য,
কিন্তু কেনো?।
জম্মে আমি করিনি পাপ
যখন পাপ-পূর্ণ্য হিসাবের খাতা খোলার বয়স হয়,
তখনও আমি করিনি পাপ,
সাত খুনে বলবো আমিই নিষ্পাপ,
যা কিছু অন্যায় পাপ তোমার ইশারায় তো হয়
তুমিই বলেছ,
তোমার ইশারা ছাড়া পৃথিবীর কোন কিছু নড়িবার নয়।
প্রশ্ন যে বার বার ঘুরে ফিরে আসে
মনে,
"গাহি সাম্যের গান"আজ তা কোথায়?
কাউকে করলে পার্থিবের রাজা কাউকে করছ প্রজা
কেউ করে ক্ষিদের যন্ত্রনায় চিৎকার,পাপাচার
কেউবা সোনার চামচে মুখে নেয় জম্মেতেই ,
কেনো করলে এত বিবেদ মানুষ মানুষের জীবনে?।
সুন্দর এ পৃথিবীর সাংসারিক মায়ার বন্ধনে
আমরা মুসাফির,
পেটের পিঠের তরে হন্নে হয়ে গুড়িফিরি করি কত অনাচার
তুমি দয়াল,তুমিই জানো কি দোষ আমার চলছিতো তোমার ইশারায়,
হাতে রেখে লাটাই ছেড়েছ ঘুড়ি মুক্ত আকাশেঁ
গুড়ে ফিরে দিন রাতে তোমারি বন্দনা করি।
প্রশ্ন যে বার বার ঘুড়ে ফিরে আসে
মনে,
মুসলিম,হিন্দু,খ্রিষ্টান সব ধর্ম তোমারি সৃষ্টি
কেউ ডাকে আল্লাহ বলে কেউ বা ভগবান
কেউবা আবার যীষু খৃষ্ট সকলের রক্ত যে লাল
সব কিছুতেই যখন এক,তবে কেনো নরক
রিমোট যখন তোমার কাছে,
কেনো আমরাই আবার অপরাধী?
continue reading
Likes Comments
০ Shares

মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

১০ বছর আগে লিখেছেন

মা

‘মা’
ছোট্ট একটি শব্দ বিশাল তার মর্যাদা
সারা পৃথিবীর সেরা সবার প্রিয় মা
কখনও সে হয় জননী কখনও হয় জায়া
কখনও কন্যা আবার কারো ছায়াঁ।
মা’
নারী মাতৃত্ত্বের সাফল্যতা
একটি জীবনের নতুন পৃথিবী
একটি নারীর অসহীয় যন্ত্রনার চরম স্বার্থকতা
মানুষ হিসাবে নস্বর দূনিয়ায় নিজেকে যাহির করা।
মা’
আমার আত্ত্বার শান্তির পরশ বয়ে আনা
আমার চলার পথে এক মাত্র উচ্চ আর্শিবাদ
আমার বেড়ে উঠা,শৈশব-কৈশরের রক্ষক
যৌবনে সূ-পথে চলার দিক নির্দেশক।
মা’
কোলাহল অশান্তি পৃথিবীর এক মাত্র বট বৃক্ষ
শীতল ছায়ায় প্রশান্তি আনে তার মায়াবী আচলেঁর তলে
পৃথিবীর হিমালয়ের সর্বো নিম্ম হিমান্তকের মাত্রাকেও হার মানিয়ে
জীবনকে এনে দেয় এক অনাবিল সূখের ছন্দ।
মা’
যার আছে বিদ্যমান করো যন্ত তারে ঠিক,
শিশুকালে তুমি যেমন ছিলে মায়ের কোলে
তার বিশেষ কোন চাওয়া নেই,
নেই পাওয়ার সন্তানের সূখে সে
হাসে দুঃখে তার কলিজা ফাটে।
মা’
যার নেই সে বুঝে জীবনে তার কি অবদান
সে বীনা জীবন যেমন তরকারীর নিরামিস
দাত থাকিতে দাতের মর্যাদা যে না বুঝে
ভবিষৎতে তার কপালে বহু দুঃখ থাকে।
মা’
তুমি আছো বলেই এই পৃথিবীর সৃষ্টি
তুমি আছো বলেই সুন্দর পৃথিবীতে মেলেছি দৃষ্টি
পৃথিবীর নিয়মে কয়
“ইটকলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়”।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাসুম বাদল

    আমি বহুবার মারা যাচ্ছিলাম পৃথিবীতে এসে । 
    একবার আমি সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিলাম
    সমুদ্রে আর কত জল !
    কত আর গভীরে গেছে তল, তুমি বীণে !! 

     

     

    দারুণ... 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    বা সুন্দর ভাবনার কবিতা--------

    - রোদের ছায়া

    কবিতার বক্তব্য গভীর আবেগ জড়ানো। খুব সুদনর লিখনি। 

    Load more comments...

মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঋণী

তিন হাটুতে ভর করে চলাচল করতে হয় সমাজের অচেনা ব্যাক্তি নাছির সাহেবকে।জীবনে চলার পথে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবন সংসার কিংবা রাষ্ট্রীয় কোন দেশপ্রেমের সংগ্রামে।সে আজ অসহায় নিঃস্ব, যে ছিল একদিন বীরের দর্পের দাপুটে সে আজ কাঙ্গাল ভালবাসায়,স্নেহে,মমতায়।নাছির সাহেব গভীর অন্ধকারে ঝড়া জীর্ণ একটি আশ্রীত বিল্ডিংয়ে দিন রাত অতিবাহিত করছেন কখন বিধাতার ডাক পরবে বলে।তারই নাতি আজিম উদ্দিন অক্ষ্যাত লেখক আগামী বই মেলায় সে একটি বই বের করবে বলে কিছু লেখালেখি করছেন।এ ছাড়াও আজিম সাহেব মানব কল্যায়নমূলক কাজে নিজেকে সব সময় ব্যাস্ত রাখেন।আজিম সাহেবে বাবা এ সমাজের বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং রাজনৈতিক কেন্দ্রীয় নেতা।আজিম সাহেব ভাষা আন্দোলনের উপর লিখবে বলে সে ঘুরে বেড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় সংগ্রহ করেছেন জানা অজানা অনেক তথ্যাদি আরো কিছু তথ্যাদির জন্য অপেক্ষায় আছে তার বই প্রকাশের কাজ।তবে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়।
আজিম সাহেব আজ কোথাও যাননি ঘরে বসেই কি যেন লেখালেখি করছেন টেবিল ল্যাম্পের ক্ষীর্ণ আলোতে।তার ছোট ছোট এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।মেয়েটি তার লউগ্গা তাকে ছাড়া মেয়েটি থাকতে পারেনা।ছোট এই মেয়েটিকে আজিম সাহেব আদর করে মা মণি বলে ডাকেন।মেয়েটি তার বাবার লেখালেখি টেবিলের সামনে এসে এক বার এটা ধরে আর এক বার ওটা ধরে বাবাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে।বাবা আজিম সাহেবও লেখার মাঝে হ্যা-না বলে মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দেন।এবার মেয়েটি টেবিল ল্যাপ্মের সুইচ এক বার অফ করে আবার অন করে ।বাবার লেখায় মনযোগ নষ্ট হয়।
-মা মণি একি করছ?তুমি দেখছ না আমি লিখছি।
-আব্বু সুইচ টিপ দিলে বাত্তি জ্বলে আবার নিভে কেনো?
আজিম সাহেব কোন উত্তর দেয়না। মেয়েটি আবারও একই প্রশ্ন করে।বিরক্ত হয়ে আজিম সাহেব মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দেন।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - কামাল উদ্দিন

    চা আর খামু না

    • - ডাঃ এন এইচ সার্জা

      লিমিটের ভিতরে থেকে খেতে হবে ! 

    - ঘাস ফুল

    আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। কারণ বেশী চা খাওয়ার বদ অভ্যাসটা এখনো ছাড়তে পারি নাই। ধন্যবাদ ডাক্তার ভাই। 

    • - ডাঃ এন এইচ সার্জা

      শুভেচ্ছা রইলো! 

    - নুসরাত জাহান আজমী

    পানি তো খাওয়াই হয় না। সারাদিনে তিন গ্লাস। আর চা?? ঐটা ৩ থেকে ৪ বার... কাহিনী তো তাইলে আমার ভালো না। কি করুম??

    • - ডাঃ এন এইচ সার্জা

      আপাতত, পানি খাওয়ার পরিমান বাড়ায় দেন... এতেই কাজ হবে! 

    Load more comments...
Load more writings...