রাতে খাওয়া দাওয়ার পর জামাল উদ্দিন ও স্ত্রী জরিনা বেগম তাদের শোবার ঘরে আসলো। জামাল উদ্দিন বালিশটা টেনে হেলান দিয়ে বসলেন। জরিনা বেগম একটি পান মুখে দিয়ে বললেন, কি ব্যাপার আইজকা এতো তাড়াতাড়ি শুইয়া পড়বেন নাকি?
– না। তোমার সাথে কিছু কথা আছে। তার আগে আমারে এক খিলি পান দাও।
জরিনা বেগম সুপারি, জর্দা, খয়ার ও চুন দিয়ে পান বানিয়ে স্বামীর নিকট এসে বললো, নেন আপনার পান।
জামাল উদ্দিন পানটি হাতে নিয়ে মুখে দিল। জরিনা বেগম এবার বললো, বলেন কি বলবেন?
জামাল উদ্দিন পান মুখে দিয়ে চিবাচ্ছে আর বলছে, ভাইয়া মারা যওয়ার পর এ পর্যন্ত কোনদিন কোরবানি দিতে পারি নাই। প্রতিবছরই তো মাংসের জন্য শিহান মাইনষের বাড়িতে গিয়া বইসা থাকে। তাই ভাবতেছি এইবার আমি কোরবানিতে শরিক হইব। এহন তুমি কি কও?
– কোরবানিতে শরিক হইবেন ট্যাহা কোথায় পাইলেন?
– ট্যাহা কোথাও পাইনি। লাল গরুটা বেইচ্ছা কোরবানিতে শরিক হইবো। আল্লাহর রহমে আমাগো গরুতো এখন চাইরট্টা। সামনের বছরটা গেলেইতো বাছুরটা বড় হইয়া যাইবো।
– আমারও তো ইচ্ছে করে কোরবানি দিতে। কিন্তু আপনার সমর্থের কথা চিন্তা কইরা কিছুই বলতে পারি নাই। শিহান প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ এলে কাঁইন্দা বেড়ায়। এহন আমার কোন আপত্তি নাই। আপনি গরু বেইছতে পারেন।
০ Likes ৩ Comments
০ Share