কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো ঝাঁকড়া চুলের অভিজ্ঞ এক কবি
নিজের প্রিয় কবিতা আবৃত্তি শেষে বলেছিলেন
তোমার একটা কবিতা শুনিয়ো
ব্যাগ হাতরে যখন কবিতার পাতাটি পেলাম
তখন তিনি মুঠোফোনে ব্যস্ত
না , তাঁর আর সময় হয়নি।
সময়কে ধরতে পারিনি জনপ্রিয় পত্রিকার
সাহিত্য সম্পাদকের কাছে ধর্না দিয়েও।
সেদিন এক উঠতি কাব্য বিশ্লেষক গভীর আগ্রহে বলেছিলেন
ভালোইতো লিখছেন, আরও লিখুন আমি দেখবো
তাঁর আর দেখা হয়নি
দেখা হয়নি কতোগুলো কবিতা নামের নিশিপদ্ম জমেছে
ডাইরির পাতায়।
এক তরুণ নন্দিত কবির সাথে মাঝে মাঝে দেখা হতো
চারুকলার বকুল তলায়
কোন এক ভুল সময়ে বলেছিলাম ''আমিও লিখি মাঝে মাঝে''
তারপর সেই তরুন কবির আর দেখা পাইনি
কারনটা এখনো অজানা!
আজকাল মুখবইএর এক কবি বন্ধু
গল্পের ঝুড়ি নিয়ে হাজির হয় সময়রেখায়
কখনো গোপন বার্তা কক্ষে
খুব বিনয়ী হয়ে বলে
কবিতা ট্যাগ করো , পড়বো
করেছিও কয়েকটা কিন্তু .........
না , হয়তো সময় করে উঠতে পারেনি
কবিতা পড়ার সময় আজকাল আর হয়ে উঠে না কারো ।
Comments (11)
শুভেচ্ছা সুপ্রিয় হাসান ইকবাল। নক্ষত্র ব্লগে স্বাগতম।
ভালো লেগেছে পোষ্ট। বক্তব্য।
আমরা প্রত্যেকে যদি নারীকে আমার উৎস ভাবি, যার কাছ থেকে আমার সৃজন এমন করে ভাবি তবে ভালো হত। তাহলে তাদের আর নিজেকে রক্ষা করার প্রশ্ন আসতো না। যাইহোক আমাদের সবার দেখার দৃষ্টি অন্তরের ময়লা পরিষ্কার করে শালীন সুন্দর মানবিক মানুষ হবার চেষ্টা করা উচিত।
আপনার কথা গুলো সঠিক তবে ইনজেনালি সঠিক নয়। বিষয়টা প্রেক্ষাপটের। যারা নিজেদের নারী বাদী বা নারী বিদ্বেষী বলে প্রচার করেন তাদের সবারই নারীর প্রতি আচরন গুলো নারীর জন্য বেশ অস্বস্তিকর। একজন নারীকে নারী বানানোর চেস্টায় লিপ্ত আরেকদল নারীকে মানুষ বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত। ভাবখানা এমন যেন নারী জন্মগত ভাবে নারীও নয় মানুষও নয়।
একই কথা শুনলে প্রতিক্রিয়া নারী এবঙ পুরুষ একই আচরন করেনা। সুতরাঙ সমান বলে দাবী করাটা অবান্তর। মেয়েরা ইচ্ছে করলেই বাসে দৌড়ে উঠতে পারেনা। এইটা কারো তৈরী করে দেওয়া না। নারীদের জন্মগত ও শারিরিক বৈশিস্ট গত সমস্যা। তার মানে এই নয় সে ছোট হয়ে গেল। এখান চিতকার করে কোন লাভ নেই অমীমাংসা যোগ্য বিষয় নিয়ে কথা বলাটা কত খানি যুক্তি সঙ্গত। আপনি বাসে মহিলাদের আলাদা সিট নিয়ে বসানোটাকে অপমান জনক মনে করছেন অথচ নারীরাই আবার আলাদা বাসের পক্ষপাতী। তারা আলাদা বসলেতো আমি সমস্যা মনে করিনা। কিন্তু একত্রে বসলে অনেক সমস্যাই হতে পারে। আমি যদি এই সমস্য গুলো হবেনা এমন নিশ্চয়তা দিতে না পারি তাহলে তাকে টেনে হিচড়ে পুরুষের হাংগামার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলি কেন?
বললে অনেক কথাই বলা যায়। আপনি কখনোই শতভাগ মানুষকে শতভাগ শুদ্ধ বানাতে পারবেন না। তো..........আন্দোলন করে সে শেষ কোথায় তাও তো জানা থাকা দরকার। তানা হলে অসম্পুর্ন মতবাদ কি নারীর জীবনকে আরো বিষিয়ে তুলছেনা??
পাশা ভাই আর নীলদা ইতিমধ্যেই অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। তাই আমি বিস্তারিত আর কিছু লিখছি না। আমি শুধু বলবো, আমরা কিন্তু গোলাপকে গোলাপ এবং বেলীকে বেলীই বলি। তবে দুটোই কিন্তু ফুল। ঠিক তেমনি নারী এবং পুরুষের বেলায়ও একই কথা। দুজনেই মানুষ। সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীরা পুরুষদের ওপর নির্ভরশীল। এটা প্রকৃতি প্রদত্ত। এটাকে বৈষম্য বলি আমরা কিভাবে। নারীরা নিজেরাও এটা মেনে নিয়েছে বা জন্মগত ভাবেই এটা জানে। এটা স্বাভাবিক একটা ধারা। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তখনই বৈষম্য দেখা দেয়। সৃষ্টি কর্তা নিজেই নারী পুরুষের মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছেন শারীরিক গঠনগত দিক দিয়ে। সেটা উপেক্ষা করার সাধ্য কারো নাই। তাই ইচ্ছা করলেই নারীরা পুরুষদের মতো আর পুরুষরা নারীদের মতো আচরণ করতে পারবে না। যখন করতে যায়, তখনই মূলত বৈষম্য সৃষ্টি হয়। সবশেষে আবারও বলবো ফুলেদের বিভিন্নতা আছে, তাদের নিজস্বতাও আছে, যার যার আলদা সুবাস আছে। কিন্তু তারা সবাই ফুল। নারী পুরুষের বেলায়ও একই। ধন্যবাদ ইকবাল ভাই।
ভাইরে কি কঠিক কঠিন কথা। নারীর পুরুষ এক হওয়া সম্ভব না। দুইজন দেখতে দুইরকম একরকম হবে কিভাবে।