Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অব্যয় অনিন্দ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

তালপাখা

ঈশ্বরের থাপ্পর খেয়ে ভনভন করে ঘুরতে থাকা থুত্থুরে পৃথিবীটা বলল-
বরফ পোড়া ধুঁয়ায় ওর একটা চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, আর একটা যাই যাই করছে
সবুজমেধ যজ্ঞের আগুন হৃদপিণ্ডকে ঠান্ডা হতে দিচ্ছে না
 
আমি কথা দিয়েছিলাম –
আসছে বৈশাখী মেলায় ওকে একটা তালপাখা কিনে দেব
 
শুনে বলল, তাতেও তো তালবৃক্ষমেধ যজ্ঞ হবে
 
এর উত্তর আমার জানা নেই
তোমার জানা আছে – সভ্যতা?  
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    ভালো লাগলো আপনার লিখা

    • - তাপস কিরণ রায়

      অনেক ধন্যবাদ।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    পিরামিডের এই রহস্য গুলোতো জানা ছিলনা।

    আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রবন্ধটির জন্য।

    • - তাপস কিরণ রায়

      লেখা পড়ে ভাল লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।ধন্যবাদ রইল।   

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    আপনার লেখা ভাল লাগল। ধন্যবাদ দাদা।

    • - মুন জারিন আলম

      পিরামিড সম্পর্কিত পোষ্ট টি ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটির জন্য।শুভকামনা রইল।

    • Load more relies...
    Load more comments...

অব্যয় অনিন্দ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

লাসভেগাসের প্লেন

প্লেনে উঠার সময় পাইলট কথা দিয়েছিল -
আলোর গতিকে হারিয়েচোখের পলকে
আমাকে লাসভেগাসে পৌঁছে দিবে।  
অথচ চোখ খুলে দেখি পাঁচ বছরের ছোট্ট আমি কাগজের
প্লেনেপায়রার সাথে পাল্লা দিচ্ছি রায়পুর গ্রামের চাতালে;
পাশে দাদু দুহাতে আমার শৈশব নিয়ে খেলছে,
খেলতে খেলতে সমস্ত শৈশব চলে গেল তার চোখে,
কিছু বোঝার আগেই সেই চোখ বুজে গেল জন্মের মত।  
 
প্লেনটা আর একটু ঝাঁকুনি দিতেই দেখি -
জীয়ন পুকুরের উত্তরমাঠে রাবার ঢিলা হাফ-প্যান্টটাকে
শরমদণ্ডের পোয়াইঞ্চি উপরে টেনে টেনে তুলছি বার বছরের আমি;  
পাশের কুট্টি খালে উদোম গায়ে নাইতে নেমেছে আমার ছোট্ট প্রেমিকা,
জলে ধুয়ে যাচ্ছে প্রেমিকার শৈশব –
যৌবনে সে কোথায় ডলারের আলোয় গা ধুইছে সেটা খুঁজতেই  
মেরিলিন মনরোর মৃত্যুদৃশ্য ভেসে উঠল।   
 
হঠাৎ শুনছি পাইলট সুন্দরী বিমানবালাকে বলছে,
ওকে নামিয়েই দাও।
ওর প্লেন কখনো লাসভেগাসে যাবে না।
             *********
continue reading
Likes Comments
০ Shares

অব্যয় অনিন্দ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

ভুল// অব্যয় অনিন্দ্য

ভুলের অভিযোজন ক্ষমতা অসামান্য
 
হয়ত এজন্যেই দাদু শেষ জীবনে বলেছিল,
আমার চুল আর ভুলের মিল এইখানে যে –
এখন দুটোকেই গুনতে সমান সময় লাগে।
আর পার্থক্য এইখানে যে – একটা দিনে দিনে কমল
অন্যটা বাড়ল; একটা যৌবন হারিয়ে বৈধব্যের সজ্জা ধরল
অন্যটা বর্ণচোরা, দাঁড়ি গোঁফ একই রয়ে গেল।
 
আমিও ত্রিশ বছরে এসেই টের পাচ্ছি,
দুঃখজীবী প্রানী – মানুষের
চুল আর ভুল সংখ্যায় ব্যস্তানুপাতিক।
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মুন জারিন আলম

    আপনাকে বাংলা নতুন বছর ১৪২১-এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন.।

    বৈশাখ তুমি এসো কুহেলিকা বেশে-

    তুমি এসো দুর্নিবার ঘুর্ণিপাকে...

    আশার দীপান্বিতায় তোমায় করি বরণ

    বৈষম্যের ভীতে তুমি কর চাষ

    সম্প্রীতি আর ভালবাসার বন্ধন।

    চমৎকার বৈশাখের মেসেজ সেলিনা।খুব ভাল লিখেছেন বৈশাখের কবিতাটি।ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল অসংখ্য।

     

    - মাঈনউদ্দিন মইনুল

    অনেক দিন পর সেলিনা আপার কবিতা পড়ার সুযোগ পেলাম :) 

    শুভ নববর্ষ!

    - রোদের ছায়া

    আপু আপনাকে বৈশাখের অফুরন্ত শুভেচ্ছা। মাঝে মাঝে আমার লেখায় ঘুরে যাবেন, খুশি হবো। 

    Load more comments...

অব্যয় অনিন্দ্য

১০ বছর আগে লিখেছেন

নারী দিবসের কবিতাঃ 'সমাপ্তিহীন রূপকথা'

অন্ধ দাদু রূপকথা বলত
আর ছোট মামার লোমশ হাত
অশ্লীল রূপকথা লিখে চলত আমার বুকে।
কোন রাজপুত্রকে কোন ব্যাঙ্গমী এই খবর দেয়নি বলে
আমার ওই রূপকথার সোনারকাঠি সমাপ্তি হয়নি।

 
উচ্চতা রূপকথা থেকে একটু বড় হলে
এক বৃষ্টির দিনে রবীন্দ্রনাথকে মাথায় দিয়ে বাবার বয়সী গৃহশিক্ষক
আমাকে ভেজাতে চাইলেন কাদম্বরী দেবীর মত ।

 এ গল্পের শেষ নেই।

 কাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ক্লাস;
দাদুর সেই সন্ধ্যাগুলো আমাকে বিপদসীমার স্কেল উপহার দিয়েছে -
অনেক সাবধানী বানিয়েছে আমাকে।
রূপকথা দিয়ে কাদম্বরীর মত আর ভিজাতে পারবে না কেউ।

 
কিন্তু টিভিটা যে দিল্লীর নির্ভয়ার স্কেলে-না-ধরা রূপকথা দেখাচ্ছে;
আর কাগজে দিনাজপুরের ইয়াসমিন হত্যার রজতজয়ন্তীর খবর।

সব নারী শরীর পাথর না হওয়া পর্যন্ত এ রূপকথার শেষ নেই।  
অথবা বৃহন্নলা হোক সব পুরুষ।
 
****** //অব্যয় অনিন্দ্য// ******

XX
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    khub valo laglo boraborer moto!

    - মেজদা

    রবীন্দ্রনাথের ব্যাক্তিগত জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানলাম। ধন্যবাদ

অব্যয় অনিন্দ্য

১০ বছর আগে লিখেছেন

এরোপ্লেনের লাল আলো

‘কী বিশ্রী ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে যাচ্ছে পাখিটা’- কটমট করে তাকালেন ঊনআশি বছরের বৃদ্ধ কাঞ্চন মজুমদার। পাখি তাঁর দু’চোখের বিষ; সরীসৃপ প্রাণীগুলোর যেই না পাখা গজালো, তারা ম...াটি-জল সব ভুলে গেল; খালি ফুরুৎ - কোথাও তাদের যেন দু’দণ্ড সুস্থির রাখার উপায় নেই। বিবর্তনের সূত্র মানতে গিয়ে এদের পাখা দেওয়ার সময় প্রকৃতি সাইকলজিক্যাল বিষয়টা ভাবেইনি!

কাঞ্চন ভালবাসতেন গাছ। গাছ তো আর পাখিদের মতো ফুরুৎ করে উড়ে যায় না। গাছে গাছে স্বপ্ন বাসা বাঁধে, ইচ্ছেগুলো হয় ফুলেল; ভালোবাসা ফলবতী হয়ে নতুন আশার বীজ বুনে চিরহরিৎ মায়ার ভরিয়ে দেয় জীবন। অথচ সোহাগী ভালোবাসতেন পাখি। এই পাখি আর গাছ নিয়ে কত খুনসুটি! সোহাগী পাখি পুষবেনই। স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে কোত্থেকে সব টিয়া, ময়না, কবুতর দিয়ে ভরিয়ে তুলতেন বারান্দা। আর পাখিগুলিও ছিল সব যেন দার্শনিক পাখি। গীতার দর্শন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলত। সারাক্ষণ সোহাগীর আসক্তি থেকে নির্বাণের উপায় খুঁজত – আর দু’দিন পর পরই এক একটা করে ফুরুৎ। তখন কাঞ্চনের আনন্দ কে দেখে!
- ‘বুঝলে সোহাগী, বাগান কর, দুইটা গাছ লাগাও। গাছ পাখিদের মতো বেইমান নয়। গাছের ভালোবাসা শিকড়ে, তার দর্শন মায়ায়, যে কারও জন্য পথ চাওয়াতেই তার আনন্দ।’

সুযোগ অবশ্য সোহাগীরও আসত। হয়তো এক অলস বিকেলের রিমিঝিম আলোয় উঠোনের ওপর শখের জামগাছটার নিচে সোহাগীকে নিয়ে বসেছেন কাঞ্চন। আর তখুনি কোনো এক কূটনীতিক পাখির মনে হতো, ‘প্রেমকুঞ্জে পুরুষ তো সব সময়ই অস্ত্রহীন ও বুদ্ধিহীন, তাই এটাই সুযোগ’। আর কাঞ্চন হাত দিয়ে দেখতেন, তাঁর মাথায় লেপ্টে গেছে পাখির কূটনৈতিক হাগু। সঙ্গে অবশ্য বোনাস ছিল, সোহাগীর চোখের বিজয়িনী হাসি। আজ কত যুগ হয়ে গেল, সে বিজয়িনী চলে গেছে তাঁকে ছেড়ে।

বিয়ের এগারো বছর পরেই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - মিশু মিলন

    কবিতা ভাল লেগেছে অর্ঘ্য।

    শুভেচ্ছা.....

    - জাহাঙ্গীর আলম

    অসাধারণ ছব্দশিল্পের দৃশ্যপট ৷ নিরন্তর চলুক কবির তুলি ৷

    - আলমগীর সরকার লিটন

    কবিতা বেশ লাগল দাদা

    Load more comments...
Load more writings...