Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

kamrul Hasan Masuk

৮ বছর আগে লিখেছেন

প্রিয় বাংলাদেশের সম্ভবনা, সমস্যা ও সমাধান

প্রিয় বাংলাদেশের সম্ভবনা, সমস্যা ও সমাধান কামরুল হাছান মাসুক     সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, স্বর্গভূমি খ্যাত আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ। ১,৪৭, ৫৭০বর্গমাইলের এ দেশটিতে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলেও সম্ভবনা এবং প্রকৃতগত দিক দিয়ে এ দেশের মত অবস্থান বিশ্ব পৃথিবীতে বিরল।  জনসংখ্যা, সম্পদ এবং প্রকৃতিক উপদানাগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে এ দেশকে বিশ্ব পৃথিবীতে সম্ভবনাময় একটি ধনী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া কোন ব্যাপার নয়। প্রিয় এই স্বর্গভূমির যেমন রয়েছে সম্ভবনা তেমনি রয়েছে সমস্যা। আমাদের সম্ভবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে, সমস্যাগুলোকে দূর করে, সমাধানের মাধ্যামে এগিয়ে গেলে এই দেশকে বিশ্ব পৃথিবীতে পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।    আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশ হচ্ছে সম্ভবনার আধাঁর। এই দেশে বিপুল পরিমান খনিজ সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। জরিপে পাওয়া যায়, গ্যাসক্ষেত্র ২৫টি( অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯ এর তথ্য মতে ২৩টি)।  ২০০৮ সালে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধ্যানে সারা দেশকে ৪৭টি ব¬কে বিভক্ত করা হয়( যার মধ্যে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ব¬ক ২৮টি)।  ১৯৮৬ সালের ২২ডিসেম্বর সিলেটের হরিপুরে তেলক্ষেত্র আবি®কৃত হয়। বিজয়পুরে ২৫ লক্ষ ৭ হাজার টন চীনামাটি পাওয়া যায়।  ১৯৫৮ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চুনাপাথর পাওয়া যায়।  পিট ও কয়লা দিনাজপুর জেলার নওয়াবগঞ্জ উপজেলা দীঘিপাড়ায়( এর পরেই নাম আসে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি) পাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে কয়লা খনির নিচেই নাকি স্বর্ণ এবং হীরকের খনি পাওয়া যায়। সুতরাং স্বর্ণ এবং হীরকের খনি আমাদের প্রিয় এই দেশে পাওয়া অবাস্তব কোন ব্যাপার না।  ১৯৭৩ সালে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপকালে কঠিন শিলা পাওয়া যায়( এ কঠিন শিলা খনির আয়তন ১.৪৪ বর্গ কিলোমিটার)।  কক্রবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথম কালো সোনা পাওয়া যায় যা বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্মকর্তা এইচ কবির আবিষ্কার করেন। এছাড়া ও বহু খনিজ সম্পদ রয়েছে যা আমরা এখন ও আবিষ্কার করতে পারি নি।    খনিজ সম্পদের পরেই যার নাম আসে তা হচ্ছে কৃষি সম্পদ। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি কৃষি প্রদান দেশ। এ দেশে জমির পরিমান ৩কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার একর। এর মধ্যে চাষযোগ্য ২কোটি ১লক্ষ ৫৭ হাজার একর। যেগুলোর মধ্যে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, তেলবীজ, আলু, তুলা, তামাক, রেশম, আখ, আম এবং রাবার চাষ  করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশে ছোট বড় ১৬৩ টি চা বাগান আছে। সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় যেগুলোর চাষ করা হয়।    কৃষি সম্পদের পরেই আসে মৎস্য সম্পদের নাম। বাংলাদেশে প্রায় ২৩০টি নদ-নদী রয়েছে। এই নদীগুলোতে মৎস্য সম্পদে ভরপুর। এছাড়া চলনবিল, বিল ডাকাতিয়া, তামাবিল ইত্যাদিতে বিপুল পরিমান মৎস্য পাওয়া যায়। এছাড়া ও বিশাল সমুদ্র ক্ষেত্র থেকেও বিপুল পরিমান মৎস্য আহরণ করা যায়। এছাড়া চিংড়ি ঘের আছে। যেখান থেকে বিপুল পরিমান চিংড়ি উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশের ইলিশ চড়া দামে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।    বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র বিকাশের জন্য আকর্ষণীয় একটি দেশ হতে পারে। এমনিতেই এই দেশ অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিগত এবং ভৌগৌলিক উপাদানের কারণে এই দেশটা আরো  অনেক বেশি সুন্দর। এই দেশে বিভিন্ন পাহাড় রয়েছে যেমন, গারো, লালমাই, আলুটিলা, কুলাউড়া, চিম্বুক এবং চন্দ্রনাথের পাহাড়। যেগুলো দেখতে শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত। এছাড়া পর্বত শৃঙ্গ যেমন, তাজিং ডং, কেওক্রাডং। উপত্যকা যেমন, ভেঙ্গিভ্যালী, নাপিত ভ্যালি, হালদা ভ্যালি, বলিশিরা ভ্যালি। জলপ্রপাত যেমন, মাধবকুন্ড, ঋজুক। এছাড়াও হিমছড়ি, শৈলপ্রপাত, চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ঝরণা। দ্বীপ রয়েছে যেমন, ভোলা , ছেড়াঁ, মহেশখালী, মনপুরা, সোনাদিয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের লেক যেমন, ফয়’স, বগা, প্রান্তিক, কাপ্তাই ইত্যাদি। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত প্রায় ১৫৫কিলোমিটার কক্্রবাজার সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও কুয়াকাটা, ইনানী ইত্যাদি জায়গা রয়েছে যা পর্যটন বিকাশের জন্য উপযুক্ত জায়গা। এছাড়া ও দুটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে চট্রগ্রাম এবং মংলা। পৃথিবীর শ্রেষ্ট ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনও প্রিয় এই বাংলাদেশেই রয়েছে। যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে শুরু করে অনেক প্রজাতির পাখি এবং জীবজন্তু পাওয়া যায়।  এগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনিভাবে বিদেশীদের আকৃষ্ট করার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে।    পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে মানব সম্পদ। পৃথিবীতে যত কিছুই আবিষ্কার হওক না কেন মানব সম্পদের চাহিদা কখনও শেষ হয়ে যাবে না। আমাদের দেশের বিপুল পরিমান লোক বিদেশে কর্মরত। তারা অত্যান্ত কম মূল্যে শ্রমের বিনিময়ে বিদেশীদের অর্থনীতির চাকাগুলোকে ঘুরাতে চেষ্টা করেন। এই সমস্ত মানুষদের যদি আমাদের দেশে কাজে লাগানো যায় তাহলে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকাগুলো ঘুরাতে সক্ষম  হবে। এমন অনেক দেশ আছে যেই দেশে শুধু বাংলাদেশী শ্রমিকের কল্যানে ঐ দেশ এত উন্নত। বাংলাদেশী শ্রমিকের শ্রমের বিনিময়েই পৃথিবীর শ্রেষ্ট টাউয়ার, ইমারত, ভবন এবং বালাখানা তৈরি করে। তাদের পরিশ্রমের বিনিময়েই ঐ দেশ গুলো এত উন্নত। বলা হয়ে থাকে, আমদের দেশের শ্রমিকদের এত কম মূল্যে যদি না পাওয়া যেত তাহলে ঐ দেশগুলো এত উন্নত হওয়ার কোন অবকাশ পেত না।    বাংলাদেশ হচ্ছে  অপার সম্ভবনাময় একটা দেশ। এই দেশে অনেক কিছু উৎপাদিত হচ্ছে যা বিশ্ব সেরা। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এই দেশ কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারছে না। বাংলাদেশ এখন জাহাজ তৈরির শিল্প দিয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের পোশাক বিশ্ব বিখ্যাত একটা ব্যান্ড হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ঔষধ, চামরা, সিরামিক এবং বিভিন্ন ধরণের পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।    পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই বাংলাদেশটাকে দেখে সম্ভবনাময় দেশ হিসেবে উলে¬খ করেছেন। আমরা নিজেরা ও জানি এই দেশ অপার সম্ভবনাময় একটি দেশ। কিছু সমস্যার কারণে আমরা অপার সম্ভবনাময় দেশটাকে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে পারছি না।    প্রথমেই বলতে হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই দেশে রাজনীতি মানেই অসংনি সংঙ্কেত। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। এক জনের উন্নয়নে আরেকজন মন তৃক্ত করে তুলে। কেউ কাউকে মান্য করে না। একজনের কাজগুলোকে অন্যজন ভাল হলেও, সমর্থন করে না। একজনের অসম্পন্ন কাজ অন্যজন সম্পন্ন করার কোন তাগাদা অনুভব করে না।     দ্বিতীয়ত হচ্ছে, গ্যাস, বিদ্যুতের সমস্যা। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গ্যাস থাকার পরও আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি না। নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ যদি না দেওয়া যায়, তাহলে শিল্প কারখানা চালানো যায় না।  বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ও বিনিয়োগ করতে চায় না। যারা বিনিয়োগ করে রেখেছেন তারাও সুযোগ বুঝে পালাতে চেষ্টা করেন।     তৃতীয়ত, আমাদের দেশে বিপুল পরিমান জনসংখ্যা আছে। আমরা তাদের কাজে লাগতে পারছি না। এই বিপুল পরিমান জনগণকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে দেশের চেহারা রাতারাতি পাল্টানো সম্ভব। এছাড়া আমাদের দেশের লোকদের একটা প্রধান সমস্যা হচ্ছে ছোট কাজ কেউ করতে চায় না। সবাই এটাকে অবহেলা করে। তাদের বোঝাতে হবে যে, সকল কাজই কাজ। কাজ হলেই হল। সকল কাজকেই প্রাধান্য দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।    চতুর্থত, আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। এখানের অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর জীবিকা নির্বাহ করেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এই দেশের কৃষকরা এখনও মান্ধাতার আমলের কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার করে কৃষি কাজ করেন। এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদন কমে যায় অন্যদিকে লাভের পরিমানও শূন্যের কোটায় নেমে যায়।     পঞ্চমত, আমাদের দেশের বিশাল একটা অংশ জুরে সমুদ্র রয়েছে। আমাদের স্থলভূমির আয়তনের তুলনায় জলভূমির আয়তন অনেক বেশি। আমরা এত বিশাল পরিমান আয়তনের জলভূমি দিয়ে কিছুই করতে পারছি না। এই বিশাল পরিমান জলভূমিকে যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে একদিকে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে তেমনিভাবে দেশের উন্নয়নের বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।    ষষ্ঠত, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা না। এর ফলে বিপুল পরিমান ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা নিয়েও কোন কাজ করতে পারছে না। তাদের যদি বাস্তব এবং কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় তাহলে তাদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব।    যেকোন জিনিসেরই সমস্যা থাকলে তার সমাধানের পথও থাকে। সুতরাং প্রিয় এই বাংলাদেশের সমস্যার সমাধানের পথও রয়েছে। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে এই সম্ভবনাময় দেশের সমস্যাগুলোকে সহজে সমাধান করা যায়।    প্রথমেই রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে। ব্যক্তিগত অথবা দলীয় মতামত যাই থাকুক দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের কল্যাণের জন্য দলীয় মত যাই থাক সবার স্বার্থে দলীয় মতকে বিসর্জন দিতে হবে। দেশের প্রশ্নে সবাইকেই একতা বদ্ধ থাকতে হবে। শিল্প কারখানা বিকাশে দল মত নির্বিশেষে সবাইকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতে হবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যাতে করে পড়ালেখা শেষ করেই কোন না কোন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে। বেকার সময় বসে না থেকে বিভিন্ন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে করে সবাই কাজ পায়। পড়ালেখার পাশাপাশি স্বল্প কালিন চাকুরির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে পড়ালেখার পাশাপাশি স্বল্প কালিন কাজ করে নিজের পড়ালেখার খরচ, পকেট খরচ চালাতে পারে। সৃজনশীল কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সৃজনশীলতার দিকে মেধা বাড়ানোর চেষ্টা চালাতে হবে। সৃজনশীল কাজে যেন উৎসাহ বৃদ্ধি পায় সেই জন্য বরাদ্ধ বাড়াতে হবে। গবেষণা খাতে বেশি বরাদ্ধ দিতে হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর প্রতি বিদেশীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে প্রচারণা চালাতে হবে। হোটেল-মোটেল তৈরি করতে হবে। বিদেশীদের নিরাপত্তা এবং সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে জায়গাগুলোকে কৃত্রিমভাবে আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে যেন সহজেই যাতায়াত করা যায়। বিদেশীদের আকৃষ্ট করার জন্য যতরকম সুযোগ সুবিধা আছে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।    আমাদের দেশের যে খনিজ সম্পদ আছে সেই সম্পদগুলোকে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। নতুন নতুন খনিজ সম্পদগুলো খনন করে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। মেধা পাঁচার রোধ করতে হবে। আমাদের মেধাবী সন্তানদের যথোপযোক্ত সম্মাননা দিয়ে রাখতে হবে। তাদের জাতির বৃহৎ কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। বনজসম্পদগুলোকে ফেলে না রেখে বনজ সম্পদ দিয়ে কিভাবে আয় করা যায় তা ভাবতে হবে। পাহাড়ি এলাকায় চা বাগান করা যায় কিনা তা চিন্তা ভাবনা করতে হবে। বনের ভিতর বিভিন্ন ফল-ফসলাদি চাষ করা যায় কিনা তা বিবেচনায় আনতে  হবে।     শিল্প-কল-কারখানা স্থাপন করতে হবে। দেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়েই যেন দেশ চলতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশীয় শিল্প বিকাশে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দিতে হবে। বিদেশী শিল্প বিকাশে বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ এবং বিভিন্ন ধরণের শুল্কের প্রচলন ঘটাতে হবে। রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে রপ্তানি যেন করতে পারে সে জন্য কৃটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দেশের জনগণকে বোঝাতে হবে, দেশ উন্নত করতে হলে সমগ্র জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া দেশ উন্নয়ন করা যায় না। সুতরাং সমগ্র জনতাকে কাজে লাগাতে হবে। মহিলাদের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প স্থাপনের জন্য ঋণ দিতে হবে। তাদের জন্য কর্মপরিবেশ  তৈরি করতে হবে।     বর্তমান পৃথিবী যেহেতু কম্পিউটার ভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবী তাই সমগ্র জনতাকে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে যেন চলতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষন এবং পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যামে জনগণকে বোঝাতে হবে। অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন কৌশল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের ছাত্রদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন দিতে হবে। যে কোন নতুন ধরনের প্রযুক্তিকেই স্বাগত জানাতে হবে। প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে কিভাবে দেশের জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া যায় তার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তিকে সবসময়ই অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তি বিকাশে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে জনগণ আকৃষ্ট হয়ে প্রযুক্তি বিকাশে ততপর হয়।    দলীয় নয় দেশীয় পরিচয়ে সবাইকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দুর্নিতি বন্ধ করতে হবে। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকেই নিয়েই দেশের উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। জনগণের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত করতে হবে। সবার উপরে দেশ, তাহার উপরে নাই এই বিষয়টা জনগণের মাথায় প্রবেশ করাতে হবে। সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, ডাকাতি ্ চাঁদাবাজি ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। আইন শৃংঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে হবে। সবাইকে নিজের জীবনের নিরাপিত্তা দিতে হবে।       প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বিপুল এই জনসংখ্যার দেশটিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারলে এই দেশকে আলাদিনের চেরাগের মত রাতারাতি ধনী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি করিয়ে দেওয়া সম্ভব। এরজন্য সরকারের ইচ্ছা, জনগণের পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের সম্ভবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে, সমস্যার সমাধান করে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে গেলেই কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব। দেশ প্রেম জাগ্রত করে মেধাবীদের মূল্যায়নের করে নতুন নতুন প্রযুক্তি বিকাশের মাধ্যামে যদি দেশটাকে পরিচালনা করা যায় তাহলে এই দেশটা বিশ্ব দরবারে একটা মডেল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে বলতে পারবে আমরা ও পারি। আমাদের ও আছে ক্ষমতা, বল, শক্তি, মেধা এবং জনবল।  চিরসবুজের  এই দেশটাকে লাল-সবুজের পতাকা বেষ্টিত সম্ভবনাময় দেশটাকে সদিচ্ছা এবং একতাবদ্ধতার কারণে জলাঞ্জলি দিতে পারি না।                 
Likes Comments
০ Share