আরেকটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে । পঞ্চম T-20 বিশ্বকাপ । এবারেরআসরের আয়োজক আমাদের মাতৃভুমি বাংলাদেশ । যারা এর আগে সফলতার সাথে পঞ্চাশওভারের বিশ্বকাপ আয়জন করে নজড় কেড়েছে সারা বিশ্বের । এই তো কদিন আগেক্রিকেটের এই তীর্থভুমে শেষ হল এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর ‘এশিয়া কাপ’ । আরেকটি T-20 বিশ্বকাপের আগে একটু ঘুরে আসা যাক আগের চারটি আসর থেকে ।
প্রথম T-20 বিশ্বকাপ ।
আয়োজক দেশ – দক্ষিন আফ্রিকা (২০০৭) ।
চ্যাম্পিয়ন দেশ – ভারত ।
রানার্স আপ দেশ – পাকিস্তান ।
আসরের প্রথম ম্যাচেই মাত করে দেয় ক্রিস গেইল নামক দৈত্যরুপি এক মানুষ ।সেঞ্চুরী দিয়ে আফ্রিকান বোলারদের চোখের পানি, নাকের পানি এক করে ওয়েষ্টইন্ডিজকে পৌছে দেয় দুই শতাধিক রানের চূড়ায় । খেলার হাফটাইমে যারা ওয়েষ্টইন্ডিজ কে একরকম ম্যাচ দিয়ে দিয়েছেলেন, তারা আবার চোখ রগড়ে দেখেনঅবিশ্বাস্য এক ম্যাচ । যার পরিসমাপ্তি আফ্রিকানদের উল্লাসে । গিবসেরটর্নেডো ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে ঠেলে দেয়, ডু অর ডাই ম্যাচের দিকে । এখানেইঘটে অঘটন । শুরু থেকেই এই ম্যাচটাকে পাখির চোখ করে রেখেছিল বাংলাদেশের তরুনদলটি । শুরুতেই গেইলকে আউট করে সেই লক্ষ্যে দৃঢ়তার সূচনা করে তারা । তবুওআটকে রাখা যায়নি রানের লাগাম । যখন বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে তখন আস্কিংরেট আটেরও উপরে । প্রথমেই নেই উড়ন্ত সূচনার দূরন্ত বাহন তামিম ইকবালনামের টগবগে তরুন । উইকেটের দুই প্রান্তে তখন বাংলাদেশের দুই ভরসা আশরাফুলএবং আফতাব । শুরু হল আশরাফুলের লাগাম ছাড়া দৃষ্টিনন্দন সব মার । বোলার বলযেখানেই দিন না কেন, আশরাফুলের ব্যাট নামের বিশাল তক্তা সেসব খুঁজে নিয়েঠিকই বাউন্ডারির পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন । ইতিহাস করলেন আশরাফুল । মাত্র ২০ বলেফিফটি । যদিও পরে আর থাকেনি সেটা । বিদায় নিল ক্যারীবিয়ানরা । দ্বিতীয়রাউন্ডে বাংলাদেশ । এরপর ঐ বিশ্বকাপে আর কোন ম্যাচেই জয় তো দূরের কথান্যুনতম প্রতিদ্বন্ধিতা দেখাতেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ । সম্ভবত বিশ্বকাপে আর কোন ম্যাচেই আর জয় পায়নি বাংলাদেশ । আরো একটি অঘটন ঘটে সেবার । ব্রান্ডন টেলরের ব্যাটিংয়ের কাছে হেরে যায়পন্টিয়ের প্রবল-প্রতাপশালী অষ্ট্রলিয়া । যুবরাজের দূর্দান্ত ব্যাটিং, মিসবাহর অবিশ্বাস্য ফিনিশিং, আফ্রিকার কান্নাভেজা বিদায় সব কিছু মিলিয়েঅসাধারন সব ক্রিকেটের নজির হয়ে আছে প্রথম T-20 বিশ্বকাপ । যুবরাজের ছয়ছক্কা তো রুপকথাকেও হার মানাবে । কিংবা সেমিতে অষ্ট্রলিয়ার বিপক্ষে সেইইনিংস । আসরের সেরা ম্যাচ ছিল দুটি । দুটিতেই প্রতিপক্ষপাকিস্তান-ভারত । একটা ছিল গ্রুপ ম্যাচ । আর অন্যটা সেরার লড়াই । এখনপর্যন্ত টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে সেরা ফাইনাল হিসেবে রয়ে গেছে প্রথমটি-টুয়েন্টির সেই ফাইনাল ম্যাচ । এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে উত্থান ঘটেমাহেন্দ্র সিং ধোনী নামক এক অজাতশত্রু ক্রিকেটারের, অধিনায়কের, ফিনিশারের ।প্রায় ২৪ বছর পর ভারত কোন বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলে ।
_________
স্মৃতি থেকে লেখা । কোনরুপ ভুল-ত্রুটি হলে শুধরে দেবেন ।
Comments (0)
বসন্ত ভালোবাসা,,,,,,,,,,,
এমন দুঃখের দিনে তার মা দেখতে চেয়েছে। চোখে জল এসে গেল। মেয়েটি জেনে হয়তো আরও দুঃখের মধ্যে প্রে গেল। তার প্রতিক্রিয়া না বলে ভাল হয়েছে। এখন পাঠক তার মত করে ভেবে নেবে। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ মেজদা