সূর্য পালিয়েছে অনেকক্ষণ
সন্ধ্যা পেরিয়ে নেমেছে রজনী
চারটি পথের সঙ্গম স্থলে এলাম
আমি এক তৃষ্ণার্ত পথিক।
যে পথে তৃষ্ণা মিটিবার হাতছানি
নিয়তির টানে পা বাড়াই সেই পথে।
অকস্মাৎ হেরিলাম
আবছা অন্ধকার ভেদ করে
ঘুরতে আসছে সে।
মনোরম চলার ছন্দে তাহার
শিশিরবিন্দু ঝরে যায়
হৃদয় হয় কম্পমান
মম তৃষ্ণা যায় বেড়ে।
ফিরে যায় সে
নয়নে লেগে রয় ছন্দ
আমিও চলি নীড়ে।
সে শুধু এক মানবী নয়
যেন পালানো সূর্যের ফিরে আসা আলো।
রাত অতিক্রান্ত হয়
দিবস পেরিয়ে আবার আসে রাতের তিমির
পূর্বের ক্ষণ হয় উপস্থিত
টের পাই দেহে-মনে অদৃশ্য সুতার টান
সেথায় আমায় নিয়ে যায়।
রাতের আবছা অন্ধকার ভেদ করে
নব এক হৃদয় কাঁপানো ছন্দে
সেও ঘুরতে আসে পুণরায়।
আজিকার চলার ছন্দ যেন সমুদ্রের বৃহৎ ঢেউ
শূন্যে, বাতাসেও যেন তরঙ্গ তোলে
হৃদয়ের খাঁচায় ধরায় কাঁপন
ইচ্ছা হয় আমি তাহার চলার পথ হই।
বিস্মিত আমি, খুশিতে উদ্দাম
পূর্বের সেই ক্ষণে আজও তাহার দর্শন
অন্য আভাস দিয়ে যায়
জেনে গেছে সে
এই পথিক তৃষ্ণার্ত তাহারই তরে।
Comments (20)
ভালো লাগলো
shuvo kamona janben
একটা নারী যেমন কারো ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আবার পারে উন্নতির শিখরে তুলে আনার কারণ হতে। তাই তো কবি বলেছেন, 'স্বপ্ন দেখিয়ে এক সময় স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে চলে যায়'। এমন নারীকে ভুলা বড় দায়। আর ওই নারীকে নিয়ে যদি থাকে কোন স্মৃতিমধুর কোন স্থান, তখন সেখানে আসলে তাকে মনে পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কবিতায় আপনি এক জায়গায় বলেছেন, 'মনে পড়াটাই স্বাভাবিক ও মানবিক।' মানবিক কেন বললেন ঠিক বুঝে উঠতে পাড়লাম না। তবে কবিতা ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য শফিকুল ভাই।